অবশেষে প্রথমবারের মতো রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহের কথা স্বীকার করল ইরান। তবে দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর আগে তারা রাশিয়ায় ড্রোন সরবরাহ করেছিল। আজ শনিবার গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
রিপোর্ট, ইরানের এসব ড্রোন দিয়ে রুশ বাহিনী ইউক্রেনে বিদ্যুৎ অবকাঠামো ও বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দোল্লাইয়ান বলেন, ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর আগে অল্প সংখ্যক ড্রোন রাশিয়ায় পাঠানো হয়।
হোসেইন আমির-আব্দোল্লাইয়ানের বরাত দিয়ে আইআরএনএ সংবাদ সংস্থা বলেছে, কিছু পশ্চিমা দেশ দাবি করে- ইরান ইউক্রেনের যুদ্ধে সাহায্য করার জন্য রাশিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন সরবরাহ করেছে। এর মধ্যে রাশিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর তথ্য সম্পূর্ণ ভুল। ড্রোন পাঠানোর বিষয়টি সত্য এবং ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর কয়েক মাস আগে আমরা রাশিয়ায় কিছু সংখ্যক ড্রোন পাঠিয়েছি।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউক্রেনে বেসামরিক স্থাপনায় ব্যাপক ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে দেশটির বিদ্যুৎ স্থাপনা ও বাঁধে। ইরানের তৈরি শাহেদ ১৩৬ ড্রোন দিয়ে এসব হামলা চালানো হয় বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। তবে রাশিয়া ইরানের ড্রোন দিয়ে ইউক্রেনে হামলা চালানোর বিষয়টি অস্বীকার করে।
আব্দোল্লাইয়ান আরও জানান, দুই সপ্তাহ আগে তেহরান এবং কিয়েভ ইউক্রেনে ইরানি ড্রোন ব্যবহারের অভিযোগের বিষয়ে আলোচনা করতে রাজি হয়। তবে শেষমেশ ইউক্রেন এই আলোচনায় বসে নি।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর আজ শনিবার পর্যন্ত টানা ২৫৫ দিনের মতো চলছে দেশ দুইটির সংঘাত। এতে দুই পক্ষের বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে যুদ্ধ বন্ধে এখন পর্যন্ত কোনো লক্ষণ নেই। উলটো পূর্ব ইউক্রেনে দেশ দুইটির মধ্যে সংঘাত আরও বেড়েছে।