ইউক্রেনের সামরিক
বাহিনী দাবি করেছে, রাশিয়া-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা একটি শহরে হামলা করার পর তা প্রতিহত
করার সময় প্রায় ৫০ জন ‘দখলদার রাশিয়ান’ নিহত হয়েছেন। বার্তা সংস্থা এএফপি আজ বৃহস্পতিবার এ খবর জানিয়েছে। তবে
এএফপির পক্ষে এককভাবে তাৎক্ষণিক নিহত ব্যক্তির এই সংখ্যা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
রাশিয়ার সেনারা
ইউক্রেনের যে শহরে হামলা করেছিলেন, সেই শহরের নাম শাচিসতিয়া। ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর
প্রধান টুইটারে বলেছেন, ‘শাচিসতিয়া নিয়ন্ত্রণে এসেছে। দখলদার ৫০ রাশিয়ান নিহত হয়েছেন। ক্রামাটোরস্ক
জেলায় রাশিয়ার আরও একটি বিমান ভূপাতিত করা হয়েছে। এ নিয়ে ছয়টি বিমান ভূপাতিত হলো।’
এর আগে ইউক্রেনের
পূর্বাঞ্চলে বিদ্রোহী–নিয়ন্ত্রিত এলাকার কাছে রাশিয়ার পাঁচটি বিমান ও একটি হেলিকপ্টার ভূপাতিত
করার দাবি করেছিলেন ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল সেরহিই শাপটাললা। পরে
রাশিয়া দাবি করে, ইউক্রেনের কয়েকটি বিমানঘাঁটি অচল এবং আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস
করেছে তারা।
এদিকে ইউক্রেনের
পুলিশ বলেছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে আজ ইউক্রেনে হামলা শুরু
করেছে রুশ সামরিক বাহিনী। হামলায় এখন পর্যন্ত আটজন নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার বিমান হামলায়
ইউক্রেনের এসব নাগরিক নিহত হন। এ ছাড়া আরও ১৯ জনের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট
ভ্লাদিমির পুতিন আজ সকালে এক টেলিভিশন ভাষণে ইউক্রেনে বিচ্ছিন্নতাবাদী-নিয়ন্ত্রিত দুটি
অঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন। পুতিনের নির্দেশের পর রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের
বেশ কিছু এলাকায় বিস্ফোরণ হয়েছে। প্রাণভয়ে কিয়েভের বাসিন্দারা হন্যে হয়ে আশ্রয় খুঁজছেন।
পুতিনের ঘোষণার
কয়েক ঘণ্টা পর রুশ পদাতিক বাহিনী বিভিন্ন দিক থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ইউক্রেনে ঢুকছে বলে
দাবি করেছে ইউক্রেনের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। ট্যাংকসহ ভারী সামরিক যান নিয়ে উত্তরাঞ্চলের
বেশ কয়েকটি সীমান্ত দিয়ে ইউক্রেনে ঢুকে রাশিয়ার সেনারা হামলা করছেন বলেও দাবি করা হচ্ছে।
পুতিনের নির্দেশে
রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ বিশ্বনেতারা
ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। ইউক্রেনে সামরিক শাসন জারির আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রুশ হামলার আশঙ্কায় গতকাল বুধবার দেশটিতে এক মাসের
জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।