Logo
শিরোনাম

রেকর্ড বাণিজ্য ঘাটতি দক্ষিণ কোরিয়ার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

২০২২ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৪ হাজার ৭২০ কোটি ডলার। ২০০৮ সালে বাণিজ্য ঘাটতির হিসাব রাখা শুরুর পর তা রেকর্ড সর্বনিম্ন। গত বছর দক্ষিণ কোরিয়ার রফতানিতে নতুন রেকর্ড হয়েছে। তবে ক্রমবর্ধমান জ্বালানি মূল্যের কারণে বাণিজ্য ঘাটতিতে পড়েছে দেশটি।

সরকারি উপাত্তে জানা গেছে, ২০২২ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৭২০ কোটি ডলার, যা দেশটির ইতিহাসে রেকর্ড সর্বোচ্চ এবং ১৯৯৬ সালের রেকর্ড বাণিজ্য ঘাটতির প্রায় দ্বিগুণ। ২০০৮ সালে বাণিজ্য ঘাটতির উপাত্ত রাখা শুরু করে দক্ষিণ কোরিয়া। প্রথম বছরে দেশটির বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ১ হাজার ৩২৬ কোটি ডলার।

দক্ষিণ কোরিয়ার বাণিজ্য, শিল্প ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় ১ জানুয়ারি জানায়, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে দেশটির রফতানি আয় ছিল ৫ হাজার ৪৮৯ কোটি ডলার। ২০২১ সালের একই মাসের তুলনায় যা ৯ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। এ নিয়ে টানা তিন মাস রফতানি কমল দক্ষিণ কোরিয়ার। খাতওয়ারি, সেমিকন্ডাক্টর রফতানি কমেছে ২৯ দশমিক ১ শতাংশ এবং ইস্পাত, পেট্রোকেমিক্যাল ও ডিসপ্লে রফতানি কমেছে যথাক্রমে ২০ দশমিক ৯ শতাংশ, ২৩ দশমিক ৮ শতাংশ ও ৩৫ দশমিক ৯ শতাংশ। গত ডিসেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ার জ্বালানি আমদানি ২৭ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯৬৮ কোটি ডলার। এতে ২০২২-এর শেষ মাসে দেশটির বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৪৬৯ কোটি ডলার।

২০২২ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার রফতানি ৬ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ৬৮ হাজার ৩৯০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। দৈনিক গড় রফতানি ছিল ২৫১ কোটি ডলার। দেশটির দৈনিক রফতানি প্রথমবারের মতো ২৫০ কোটি ডলার ছাড়াল। সেমিকন্ডাক্টর রফতানি রেকর্ড সর্বোচ্চ ১২ হাজার ৯২০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। গাড়ি রফতানি হয়েছে ৫ হাজার ৪৩০ কোটি ডলারের।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো দেশটির রফতানি ১০০ বিলিয়ন বা ১০ হাজার কোটি ডলারের সীমা অতিক্রম করেছে। শীর্ষ তিন রফতানি গন্তব্য আসিয়ান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) রফতানি বেড়েছে যথাক্রমে ১৪ দশমিক ৮, ১৪ দশমিক ৫ ও ৭ দশমিক ১ শতাংশ। ভারতে দক্ষিণ কোরিয়ার রফতানি বেড়েছে ২১ শতাংশ। শীর্ষ চার গন্তব্যেই দক্ষিণ কোরিয়ার রফতানি রেকর্ড সর্বোচ্চ ছিল। গত বছর দক্ষিণ কোরিয়ার আমদানি হয়েছে ৭৩ হাজার ১২০ কোটি ডলার, যা বছরওয়ারি ১৮ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে। অপরিশোধিত জ্বালানি তেল, গ্যাস ও কয়লা আমদানিতে বার্ষিক আমদানি ব্যয়ের ২৬ দশমিক ১ শতাংশ গেছে।

ডিসেম্বরে টানা সাত মাসের মতো চীনে রফতানি কমেছে দক্ষিণ কোরিয়ার। বার্ষিক রফতানি কমেছে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। চীনের অর্থনীতিতে শ্লথগতি ও দ্বিতীয়ার্ধে সেমিকন্ডাক্টরের দাম হ্রাসে এমনটা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: দক্ষিণ কোরিয়া

আরও খবর



আজ জাতীয় পাট দিবস : পুরস্কার পাচ্ছেন ১১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ৮৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আজ সোমবার (৬ মার্চ) জাতীয় পাট দিবস। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে এ দিবসটি পালন করবে। পাট ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে অবদানের জন্য ১১ ব্যবসায়ী, বিজ্ঞানী, চাষি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দিচ্ছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। এছাড়াও পাটসংশ্লিষ্ট অংশীজনদের ৭টি শুভেচ্ছা স্মারক দেওয়া হবে। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী রোরবার (৫ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।

তিনি বলেন, সোনালি আঁশ পাটের সঙ্গে বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য গভীরভাবে জড়িয়ে আছে। শুধু তাই নয়, বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তির হাতিয়ার হিসেবে পাটের ভূমিকা একটি স্বীকৃত ইতিহাস। এবারের জাতীয় পাট দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে পাট শিল্পের অবদান-স্মার্ট বাংলাদেশ বিনিমার্ণ।

পুরস্কারের জন্য মনোনীত ব্যক্তিরা হলেন- পাটবীজ, পাট ও পাটজাত পণ্যের গবেষণায় সেরা গবেষক ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিজেআরআই) মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাহমুদ আল হোসেন, সেরা পাটবীজ উৎপাদনকারী চাষি ক্যাটাগরিতে কিশোরগঞ্জের আবু হানিফ ও সেরা পাট উৎপাদনকারী চাষি পাবনার মো. এনামুল হক।

পাটজাত পণ্য উৎপাদনকারী সেরা প্রতিষ্ঠান (হেসিয়ান, সেকিং ও সিবিসি) হিসেবে মনোনীত হয়েছে উত্তরা জুট ফাইবার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেড, পণ্য রপ্তানিকারক সেরা প্রতিষ্ঠান (হেসিয়ান, সেকিং ও সিবিসি) জোবাইদা করিম জুট মিল মিলস লি., পাটের সূতা উৎপাদনকারী সেরা পাটকল হিসেবে আকিজ জুট মিলস লিমিটেড, পাটের সুতা রপ্তানিকারক সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে জনতা জুট মিলস লিমিটেড, বহুমুখী পাটজাত পণ্য উৎপাদনকারী সেরা পাটকল হিসেবে সোনালি আঁশ লিমিটেড, বহুমুখী পাটজাত পণ্য রপ্তানিকারক সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ক্রিয়েশন (প্রা.) লিমিটেড, বহুমুখী পাটজাত পণ্যের সেরা নারী উদ্যোক্তা হিসেবে তরঙ্গ এবং বহুমুখী পাটজাত পণ্যের সেরা পুরুষ উদ্যোক্তা হিসেবে গোল্ডেন জুট প্রোডাক্ট মনোনীত হয়েছে।

এছাড়া সম্মাননা প্রদানের জন্য সুপারিশকৃত অ্যাসোসিয়েশন ও সমিতিগুলো হচ্ছে, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ী সমিতি, বাংলাদেশ পাট চাষি সমিতি, বাংলাদেশ চারকোল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ লেমিনেটিং জুট ব্যাগ ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদক ও রপ্তানিকারক সমিতি, বাংলাদেশ জুট গুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজেজিইএ), বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএ), বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএমএ), বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএসএ)।

নিউজ ট্যাগ: জাতীয় পাট দিবস

আরও খবর



বায়ুদূষণে আজ শীর্ষ ছয়ে ঢাকা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ৪৭জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বিশ্বজুড়ে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউ এয়ারের তথ্য অনুযায়ী সোমবার (১৩ মার্চ) ঢাকার বাতাসের মান অস্বাস্থ্যকর। এদিন বেলা সাড়ে ৮টার দিকে ১৫৯ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা।

এদিন ১৯৯ স্কোর নিয়ে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। ১৯৬ স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। ১৮৮ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু। ১৭৯ স্কোর নিয়ে তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারতের মুম্বাই।

এ ছাড়া একইসময়ে একিউআই স্কোর ১৬৮ নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি। ১৫৯ স্কোর নিয়ে সপ্তম স্থানে রয়েছে থাইল্যান্ডের চিয়াংমাই। ১৫৬ স্কোর নিয়ে অষ্টম স্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা। ১৫৬ স্কোর নিয়ে নবম স্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা। ১৫১ স্কোর নিয়ে দশম স্থানে রয়েছে মায়ানমারের ইয়াঙ্গুন। এর আগে ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে ঢাকার বায়ু ছিল অস্বাস্থ্যকর বা খুবই অস্বাস্থ্যকর অবস্থায়। প্রায় প্রতিদিনই দূষিত বায়ুর তালিকায় শীর্ষে ছিল ঢাকা।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার দূষিত বাতাসের শহরের এ তালিকা প্রকাশ করে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।

তথ্যমতে, একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ সহনীয় হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।

একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকলে খুব অস্বাস্থ্যকর এবং স্কোর ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকলে বিপজ্জনক বলে বিবেচিত হয়। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

ঢাকায় বায়ু দূষণের জন্য ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলোকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। বায়ুদূষণের ফলে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, কাশি, নিম্ন শ্বাসনালির সংক্রমণ এবং বিষণ্ণতার ঝুঁকি।


আরও খবর



ক্রেডিট সুইসের মন্দায় বিশ্বের ব্যাংকিং খাতে নতুন সঙ্কটের শঙ্কা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ৪২জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকিং সেক্টরে ব্যর্থতার পর ক্রেডিট সুইস ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য এতোটাই পড়ে গেছে যে তা ইউরোপের অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় ঋণপ্রদানকারী সংস্থাগুলোর ওপর প্রভাব ফেলছে আর এতে বিশ্বের ব্যাংকিং খাতে আরও গভীর সমস্যা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গতকাল বুধবার ক্রেডিট সুইস ব্যাংকের সবচেয়ে বড় শেয়ার হোল্ডার সৌদি ন্যাশনাল ব্যাংক সংবাদ মাধ্যমে ঘোষণা দেয় যে, তারা সুইস ব্যাংকটিতে আর অর্থ লগ্নি করবে না, আর এরপরেই ক্রেডিট সুইসের শেয়ারের দর রেকর্ড চার ভাগের এক ভাগেরও বেশি পড়ে যায়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংক ধসের ঘটনার পর সৌদি ব্যাংকটিও নানা রকম সমস্যায় পড়ে।

এই অস্থিরতার কারণে সুইস শেয়ার মার্কেটে ক্রেডিট সুইসের শেয়ার বাণিজ্য ভীষণ বাধার মুখে পড়ে। পাশাপাশি অন্যান্য ইউরোপীয় ব্যাংকের শেয়ারেরও দর পড়ে যায়, কোনো কোনোটির দরপতন দুই অঙ্কে গিয়ে পৌঁছায়।

যুক্তরাষ্ট্রে সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক ও সিগনেচার ব্যাংকের সাম্প্রতিক ধসের পর নতুন করে স্বাস্থ্য ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এখন নতুন শঙ্কার মুখে পড়ছে।

ক্রেডিট সুইস ব্যাংকের প্রতিটি শেয়ারের দর ১.৬০ সুইস ফ্রাঙ্ক (১.৭৩ ডলার) কমে যায় যা ভিত্তিমূল্যের চেয়ে ৩০ শতাংশ কম। আর ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির সঙ্গে হিসেব করলে এই পতন ৮৫ শতাংশেরও বেশি।

গতকাল বুধবার সুইস সেন্ট্রাল ব্যাংক জানায়, ক্রেডিট সুইস ব্যাংকের মূলধন ও তারল্য প্রয়োজন মতোই রয়েছে। তবে সংস্থাটি তারল্য সঙ্কট এড়াতে প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান দিতে প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানায়।

এদিকে, ওয়াল স্ট্রিটে শেয়ারের দরপতনের কারণে আবারও আটলান্টিক মহাসাগরের দুই পাড়ে ব্যাংকগুলোর সামর্থের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ জানায়, তারা সুইস ব্যাংকটির সঙ্কটের দিকে দৃষ্টি রাখছে আর এ বিষয়ে বিশ্বের অন্যান্য সহযোগি সংস্থার সঙ্গে তাদের যোগাযোগ রয়েছে।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের মিলকেন ইনস্টিটিউটের প্রধান অর্থনীতিবিদ উইলিয়াম লির মতে, সৌদি ব্যাংকের সিদ্ধান্ত ক্রেডিট সুইসের গভীর সমস্যারই ইঙ্গিত দেয়। আলজাজিরাকে তিনি বলেন, যা অনুমান করা হয়েছিল তার চাইতেও বড় সমস্যায় পড়তে যাচ্ছে সুইস ব্যাংকটি বলে মনে করছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। আর তাদের এই সিদ্ধান্ত বিশ্বের অন্যান্য বৃহৎ ব্যাংগুলোর অবস্থা সম্পর্কে বিনিয়োগকারীদের তদন্ত করে দেখার প্রয়োজনীয়তাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে।


আরও খবর



‘বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করা হয়েছি’

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ২৮জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস এবং জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়া যে গুম, খুন ও অপহরণের ঘটনা ঘটিয়েছে, তার সামান্যটুকুও তারা সহ্য করতে পারবে না।

রোববার (২৭ মার্চ) বিআইসিসি মিলনায়তনে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পর নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছে। বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের হত্যার পর তাদের লাশ গুম করা হয়েছ। বিচারের নামে বাহিনীর সদস্যদের অন্যায়ভাবে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। জিয়ার আমলে সাদা মাইক্রোবাস ছিল। সেই মাইক্রোতে যে উঠেছে, সে আর মায়ের কোলে ফিরে আসতে পারেনি।

বিএনপির নেতাকর্মীরা অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন- এমন অভিযোগের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী দলের সদস্যদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না। আমরা তো তাদের মিছিল করতে দিচ্ছি। তারা আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতেই থাকতে দেয়নি। সড়কে নামলে বর্বর নির্যাতন চালিয়েছে, বাড়িঘর দখল করেছে। হত্যা-গুমের মাধ্যমে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করেছিল।

প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, তারা যা করেছে, এর এক ভাগ করলেও তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু আমরা প্রতিশোধ নেইনি, আমরা অন্যায় করিনি। আমরা কেবল তাদের অন্যায়ের বিচার করছি।


আরও খবর



আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ৮১জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

সারাদেশে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি মসজিদগুলো উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্য দিয়ে সারাদেশে মোট ১৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন হলো। এরই মধ্যে প্রকল্পের দুই ধাপে একশ মসজিদ উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ তৃতীয় পর্যায়ে আরও ৫০টি মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়েছে।

ইসলামের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চিন্তাচেতনা অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় ৫৬৪টি মডেল মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা নেন। প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রূপ দিতে কাজ করে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। বাকি মসজিদগুলোর কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। এসব মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করে বিশ্বের ইতিহাসে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন প্রধানমন্ত্রী।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চারতলা ও তিনতলা বিশিষ্ট মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ধাপে ধাপে নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব মসজিদে ১৪টি বিশেষ সুবিধা আছে। এগুলো হলো- মসজিদে হজযাত্রীদের প্রশিক্ষণসহ পবিত্র হজ পালনের জন্য ডিজিটাল নিবন্ধনের ব্যবস্থা, নারী ও পুরুষের পৃথক অজু ও নামাজ আদায়ের সুবিধা, প্রতিবন্ধী মুসল্লিদের টয়লেটসহ নামাজের পৃথক ব্যবস্থা, ইসলামিক বই বিক্রয়কেন্দ্র, ইসলামিক লাইব্রেরি, অটিজম কর্নার, ইমাম ট্রেনিং সেন্টার, ইসলামিক গবেষণা ও দ্বীনি দাওয়াত কার্যক্রম, পবিত্র কোরআন হেফজখানা, শিশু ও গণশিক্ষা ব্যবস্থা, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আবাসন ও অতিথিশালা, মরদেহ গোসল ও কফিন বহনের ব্যবস্থা, গাড়ি পার্কিং সুবিধা, ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থা। এসব মসজিদে একসঙ্গে ১ হাজার ২০০ জন নামাজ আদায় করতে পারবেন। আর তিনতলা বিশিষ্ট মডেল মসজিদে একত্রে ৯০০ জনের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা আছে।

প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালের ১০ জুন প্রথম ধাপে সারা দেশে একযোগে মোট ৫০টি মসজিদ উদ্বোধন করেন। চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করেন। আজকে তৃতীয় ধাপে আরও ৫০টি মসজিদ উদ্বোধন করলে তিনি।

প্রসঙ্গত, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন এবং ১৯৭৫ সালের ইসলামিক ফাউন্ডেশন আইন প্রণয়ন করেন। বঙ্গবন্ধুর চিন্তাধারার সঙ্গে সংগতি রেখে সারা দেশে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে একটি শক্তিশালী ইসলামি সাংগঠনিক কাঠামো গড়ে উঠবে।

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলো যেসব এলাকায় রয়েছে, সেগুলো হলো- ঢাকা বিভাগের ফরিদপুর জেলার সদর ও বোয়ালমারী, রাজবাড়ী জেলা সদর এবং পাংশা। রাজশাহী বিভাগের জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর ও কালাই, নওগাঁ জেলা সদর, পত্নিতলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল, শিবগঞ্জ ও ভোলাহাট, পাবনা জেলার ফরিদপুর ও রাজশাহী জেলার চারঘাট, তানোর। রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম জেলা সদর, ফুলবাড়ী, লালমনিরহাট জেলা সদর, নীলফামারী জেলা সদর, পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া, বোদা, অটোয়ারী, রংপুর জেলার তারাগঞ্জ, দিনাজপুরের পার্বতীপুর। ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়ীয়া, নান্দাইল, নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা, কেন্দুয়া ও মদন উপজেলা। বরিশাল বিভাগের বরিশাল জেলা সদর, আগৈলঝাড়া। চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া, চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ, নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ, সোনাইমুড়ী, চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড, লক্ষ্মীপুর সদর এবং রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলা। খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা, সদর, দামুড়হুদা, জীবননগর, ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর, মহেশপুর, খুলনা জেলার তেরখাদা, কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর, মিরপুর, বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট, মোল্লাহাট এবং যশোর জেলার সদর।


আরও খবর