চলতি মৌসুমে বিলবাওয়ের বিপক্ষে তিনবারের দেখায় সবকটিতেই জিতেছিল রিয়াল। কিন্তু কোপা দেল রের কোয়ার্টার ফাইনালে এসে খেই হারিয়ে ফেললো দলটি। শেষ মুহূর্তের গোলে রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে সেমিফাইনালে গেল অ্যাথলেটিক বিলবাও। শেষ ষোলোতে আরেক জায়ান্ট বার্সেলোনাকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল এই দলটি। বৃহস্পতিবার রাতে শেষ আটের ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছে স্বাগতিক বিলবাও। শেষ মুহূর্তে জ্বলে উঠে বিলবাওকে উৎসবে ভাসালেন আলেশ বেরেনগার।
চোটের কারণে
এ ম্যাচে ছিলেন না বেনজেমা। আক্রমণভাগের সেরা খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতিতে অনেকটা বাধ্য
হয়ে ভিনিসিউস জুনিয়র, রদ্রিগো ও কাসেমিরোকে নামিয়ে দেন রিয়াল কোচ।
ম্যাচে বল দখলে
কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও মোট ১৫টি শট নেয় বিলবাও, এর ৩টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে রিয়াল
মাত্র ৭ শট নিতে পারে, যার দুটি ছিল লক্ষ্যে।
গতিময় ফুটবলে
শুরু ম্যাচের নবম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো বিলবাও। তবে ডি-বক্সের বাইরে থেকে দানি
গার্সিয়ার বুলেট গতির শট ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান থিবো কোর্তোয়া। চার মিনিট
পর আবারও দূর থেকে চেষ্টা করেন গার্সিয়া। এবার তার নিচু শট রক্ষণে প্রতিহত হয়।
এভাবেই প্রথমার্ধে
আক্রমণের পর আক্রমণ সাজিয়েছে বিলবাও, রিয়াল ছিল কেবল ঘর বাঁচানোর চেষ্টায়। দ্বিতীয়ার্ধেও
সেই ধারা অব্যাহত থেকেছে।
দ্বিতীয়ার্ধের
দ্বিতীয় মিনিটে আক্রমণে যায় বিলবাওয়। এবার কোনোমতে এক হাত দিয়ে পাঞ্চ করে বিপদমুক্ত
করেন রিয়াল গোলরক্ষক। দুই মিনিট পর ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে রাউল গার্সিয়ার হেড হয়
লক্ষ্যভ্রষ্ট।
প্রতিপক্ষের
একের পর এক আক্রমণ সামলে ওপরে উঠতেই পারছিল না রিয়াল। এ পর্বে প্রতিটি আক্রমণের শেষে
বিলবাওয়ের খেই হারানোটাও ছিল হতাশাজনক।
৮১তম মিনিটে
সুযোগ এসেছিল রিয়ালের। প্রতি-আক্রমণে গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন কাসেমিরো। কিন্তু সেই
বল গোলরক্ষক বরাবরই মেরে দেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার।
অবশেষে ৮৯তম
মিনিটে কাঙ্খিত সাফল্য পায় বিলবাও। মিকেল ভেসগার পাস থেকে কোনাকুনি শটে ঠিকানা খুঁজে
নেন বিরতির পর বদলি হিসেবে নামা বেরেঙ্গার। ১-০ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল।
অবশেষে ৮৯তম
মিনিটে ‘ডেডলক’ ভাঙেন আলেশ। মিকেল ভেসগার পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে ডিফেন্ডার নাচো ফের্নান্দেসকে
কাটিয়ে কোনাকুনি শটে ঠিকানা খুঁজে নেন বিরতির পর বদলি নামা স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। কোর্তোয়া
ঝাঁপিয়েও বলের নাগাল পাননি।
এই হারে ট্রেবল
জয়ের শেষ হয়ে গেল লা লিগার পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা রিয়ালের। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও
এখনও টিকে আছে তারা।
দিনের আরেক
রিয়াল সোসিয়েদাদকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে রিয়াল বেতিস। আগের দিন জিতে সেমি-ফাইনালে
জায়গা করে নিয়েছে রায়ো ভাইয়েকানো ও ভালেন্সিয়া।