Logo
শিরোনাম

রোজা রেখে কী করা যাবে ও যাবে না

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | ১১৭৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

শরিয়তে এমন কিছু কাজ রয়েছে, যা রোজার দিন ছাড়া বৈধ, কিন্তু রোজা পালনরত অবস্থায় সেগুলো করা যায় না।

ইচ্ছাকৃতভাবে পানাহার ও স্ত্রীসম্ভোগ। এর দ্বারা রোজা ভেঙে যায়। সুরা বাকারার ১৮৭ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, তোমরা সুবহে সাদিকের আগ পর্যন্ত পানাহার করো, অতঃপর রাত আসার আগ পর্যন্ত রোজা পালন করো। মসজিদে যখন তোমরা এতেকাফ অবস্থায় থাকবে, তখন নারীসম্ভোগ থেকে বিরত থাকবে।’

এই আয়াতে কারিমার মাধ্যমে রোজা পালনের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত। এই সময়ে পানাহার ও স্ত্রীসম্ভোগ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে ভুলক্রমে কেউ কিছু খেলে ও পান করলে তাতে রোজা ভঙ্গ হবে না। সহিহ্ বুখারি ও মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে, নবি করিম (স.) বলেন, যদি কেউ ভুলক্রমে পানাহার করে, সে যেন তার রোজা পূর্ণ করে নেয়।’ কিন্তু, কেউ ভুলে পানাহার করার পর যদি সে মনে করে তার রোজা ভেঙে গেছে, এরপর যদি সে কিছু খায় ও পান করে, তাহলে তার রোজা হবে না। পরে এই রোজা তাকে কাজা করতে হবে।

রোজা রাখা অবস্থায় মুখ দ্বারা ওষুধ সেবন করা যাবে না। অনুরূপভাবে কান, নাক ও মলদার দ্বারাও ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না। এতে রোজা ভেঙে যায়। মোটকথা, যে ওষুধের প্রভাব সরাসরি পাকস্থলীতে গিয়ে পৌঁছাবে, তা গ্রহণ করায় রোজা ভেঙে যাবে। তবে রোজা অবস্থায় গ্লুকোজ ও বলবর্ধক ইনজেকশন ছাড়া জীবন রক্ষাকারী সব ধরনের ইনজেকশন ও করোনার টিকা নেওয়া যাবে। এনজিওগ্রাম, আলট্রাসনোগ্রামও করানো যাবে। এন্ডোসকপির বিষয়ে মাসআলা হচ্ছে, যদি ভেতরে কোনো ওষুধ দেওয়া হয়, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে, শুধু নল বা পাইপ প্রবেশ করানোর দ্বারা রোজা ভঙ্গ হবে না। অক্সিজেন গ্রহণ করলে দুই অবস্থায় যদি ওষুধমিশ্রিত অক্সিজেন হয়, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। কেবল বাতাসের অক্সিজেন গ্রহণ করলে তার দ্বারা রোজা ভঙ্গ হবে না। রোজা রাখা অবস্থায় শরীরের ক্ষতস্থানে মলম ও ওষুধ ব্যবহার করা যাবে। তেল-সুগন্ধিও ব্যবহার করা যাবে। তবে কান ও নাকের ভেতরে তেলের ফোঁটা দেওয়ার পর যদি তা মাথার ভেতরে চলে যায়, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে।

ছোলার সমপরিমাণ বা তার চেয়ে বেশি খাদ্য দাঁতের মধ্যে আটকে থাকার পর তা গিলে খেলে রোজা ভেঙে যাবে। ছোলার পরিমাণের চেয়ে কম হলে রোজা ভাঙবে না। সাহরি শেষ করে পান খেতে খেতে তা মুখে রেখে ঘুমানো অবস্থায় যদি সুবহে সাদিক হয়ে যায়, তাহলে রোজা হবে না। কুলি করতে গিয়ে হঠাৎ গলার ভেতরে পানি চলে গেলে রোজা ভেঙে যাবে। এজন্য রোজা পালনরত অবস্থায় গড়গড়া করে কুলি করা নিষেধ। বৃষ্টির পানি মুখে পড়ার পর যদি তা গলার ভেতর চলে যায়, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। দাঁত থেকে বের হওয়া রক্ত বা রক্ত মিশ্রিত থুতু গিলে ফেললে রোজা ভেঙে যাবে। তবে মুখের মধ্যকার থুতু ও শ্লেষ্মা ভেতরে যাওয়ায় রোজার কোনো ক্ষতি হবে না।

ধূমপান করলে রোজা ভেঙে যাবে। ইচ্ছাকৃতভাবে আগরবাতির ধোঁয়া গলার ভেতরে টেনে নিলে রোজা ভেঙে যাবে। তবে অনিচ্ছাকৃতভাবে যদি রান্নার সময় কোনো ধোঁয়া বা রাস্তার ধুলাবালু নাক ও গলার ভেতরে চলে যায়, তাহলে এর দ্বারা রোজার কোনো ক্ষতি হবে না।

ইচ্ছাকৃতভাবে মুখ ভরে বমি করলে রোজা ভেঙে যাবে। তবে অনিচ্ছাকৃত মুখ ভরে বমি হলে তাতে রোজা ভঙ্গ হবে না। প্রখ্যাত সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, যে ব্যক্তি অনিচ্ছায় বমি করল, তাকে উক্ত রোজা কাজা করতে হবে না। কিন্তু যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় বমি করল, তাকে সেই রোজা কাজা করতে হবে। (হাদিসটি আবু দাউদ ও তিরমিযি শরিফে উল্লেখ হয়েছে)

রোজার দিনে ঘুমে স্বপ্নদোষ হলে তাতে রোজার কেনো ক্ষতি হয় না। রোজা অবস্থায় শরীরের কোনো অঙ্গ থেকে রক্ত বের হলে কিংবা প্রয়োজনবশত সিরিঞ্জ দিয়ে শরীর থেকে রক্ত বের করলে তার দ্বারা রোজা ভঙ্গ হবে না। তবে রোজা রেখে অপ্রয়োজনে ইচ্ছাকৃত রক্ত বের করা মাকরুহ। রোজা অবস্থায় চোখে ড্রপ ব্যবহার করলে রোজা ভঙ্গ হবে না। তবে নাকে নস্যি ব্যবহার করা যাবে না। রোজা রেখে সুরমা লাগানো, গাছের কাঁচা ডালা দিয়ে মেসওয়াক করা জায়েজ আছে; এতে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। তবে টুথপেস্ট ও মাজন ব্যবহার করলে তা গলার মধ্যে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি, তাই রোজা পালনরত অবস্থায় এগুলো ব্যবহার মাকরুহ বলা হয়েছে। রোজা রেখে পরনিন্দা নিষেধ। এর দ্বারা অনেকের মতে রোজা ভেঙে যায়। তবে হানাফি মাজহাব মতে, রোজা ভঙ্গ না হলেও মাকরুহ হবে। মিথ্যা বলা, মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া এবং অশ্লীল বাক্য উচ্চারণ দ্বারা রোজা মাকরুহ হয়।


আরও খবর

আজ ঈদ

বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪




আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৯০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮০০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর