Logo
শিরোনাম

রোজায় আমদানি পণ্যের দাম বেশি থাকবে ৩০ ভাগ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | ৮১জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এবার রোজায় আমদানি করা পণ্যের দাম প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি থাকবে। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম না বাড়লেও দেশে এমন পরিস্থিতি বিরাজ করবে। এমন আশঙ্কার কথা ব্যক্ত করেছেন খোদ সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের উপপরিচালক মো. মাহমুদুল হাসান। সোমবার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন। সরকারি এই কর্মকর্তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে ব্যবসায়ীরা আরেক ধাপ এগিয়ে বলেন, আমদানির ক্ষেত্রে যদি স্বাভাবিকভাবে এলসি খোলা না যায়, তাহলে দাম বাড়বেই।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে রাজধানীর কাওরান বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এএইচএম সফিকুজ্জামান। এফবিসিসিআই-এর সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন ও কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) প্রতিনিধি এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। গুরুত্বপূর্ণ এ সভাটিতে পাইকারি এবং খুচরা ব্যবসায়ী নেতারাও যোগ দেন।

সভার শুরুতে কয়েকজন ব্যবসায়ী নেতা তাদের বক্তৃতায় বলেন, আমদানি না হওয়ায় আদা-রসুনের দাম বাড়ছে। ভারত থেকে রসুন আমদানি বন্ধ ছিল। চীন থেকেও আমদানি হচ্ছে না। আদা-রসুন আমদানিতে এলসি স্বাভাবিক না হলে দাম আরও বাড়বে। ডলারের মূল্য অনেক বেড়েছে। ব্যাংকে এলসি খোলা যাচ্ছে না। অনেক জটিল হয়ে গেছে। এ অবস্থায় আসন্ন রমজান সামনে রেখে এলসি জটিলতা দূর করাসহ শুল্ক প্রত্যাহার করে পণ্য আমদানি বাড়ানোর সুযোগ দিতে হবে। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এখন থেকে যদি পণ্য আমদানি করা না যায়, তাহলে রমজানে দাম বাড়বে।

এদিকে সভায় কোনো ধরনের রাখঢাক না রেখে খোলাখুলি আমদানি পণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কার বিষয়টি সামনে আনেন সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের উপপরিচালক মো. মাহমুদুল হাসান। তিনি বলেন, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এবার রোজায় আমদানি করা পণ্যের দাম প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি থাকবে। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম না বাড়লেও দেশে এমন পরিস্থিতি বিরাজ করবে। এর বেশি বাড়বে না।

ক্যাবের সহসভাপতি নাজের হোসাইন বলেন, ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর জন্য একেক সময় একেক বাহানা সামনে নিয়ে আসেন। একসময় বলেন, ডলার সমস্যা, আবার এর মধ্যে বলেছেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতি দাম বাড়াচ্ছে। এখন আবার এলসি সমস্যাকে অজুহাত হিসাবে এনেছেন। তিনি বলেন, রমজানের জন্য যেসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রয়োজন; সেগুলো ইতোমধ্যেই এলসি করা হয়েছে। কারণ পণ্য আসার দুই থেকে তিন মাস আগে এলসি করতে হয়। সে অনুসারে রমজানের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য ইতোমধ্যেই বন্দরে এসে পৌঁছেছে। এলসি ইস্যুটা একটা অজুহাতমাত্র।

সভায় উপস্থিত ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে ভোক্তা অধিদপ্তরসহ সরকারের বাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলোর মনিটরিং আরও জোরদার করতে হবে। বাজারে অভিযান চালালে বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকে। যার প্রমাণ আমরা আগেও পেয়েছি।

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ করে এফবিসিসিআই-এর সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, অসাধু ব্যবায়ীরা খুবই নগণ্য। তবে তাদের জন্য সবার ওপর দায় পড়ে। আমরা ব্যবসায়ীরা সরকারের সব আইনকানুন মেনে ব্যবসা করতে চাই। এজন্য এলসি এবং ডলারের দাম সমন্বয় করে বাজারব্যবস্থাকে স্বাভাবিক রাখতে হবে।

সব শেষে সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, আসন্ন রমজানে বাজার মনিটরিং আরও জোরদার করা হবে। নিত্যপণ্যের আমদানি স্বাভাবিক না থাকলে রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে। তাছাড়া কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে বাজার অস্থির হয়ে যায়। আসন্ন রমজানে এসব অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকবে ভোক্তা অধিদপ্তর। রমজানের আগে আমাদের দেশি পেঁয়াজ উঠবে। এতে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কোনো সম্ভাবনা নেই। ৫০ টাকার মধ্যেই থাকবে দাম। কিন্তু আদা-রসুনের বাজার অস্থির। রমজান আসার আগেই দাম বাড়তে শুরু করেছে। হঠাৎ করে আদা-রসুনের দাম ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে উঠেছে। কিছু পণ্য আমদানিনির্ভর। ডলারের দাম বাড়ার হিসাব অনুসারে ২৫ শতাংশ দাম বাড়তে পারত। কিন্তু ডলার বাজারের তুলনায় পণ্যের দাম আরও বেশি বাড়ানো হয়েছে। তাই অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিদপ্তর এবার কঠোর অবস্থানে থাকবে।

আদা-রসুনের দাম বৃদ্ধি নিয়ে এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, মূল্য যাচাইয়ে গত সপ্তাহে আমাদের টিম বাজার নিয়ে কাজ করেছে। সেখানে আমরা কাওরান বাজার, শ্যামবাজারসহ পাইকারি, খুচরা এবং আড়তে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, আদা, রসুন, শুকনা মরিচ ও হলুদ আমদানিনির্ভর পণ্য। ফলে এই পণ্যগুলোর সঙ্গে এলসি জড়িত। এসব পণ্যের ক্ষেত্রে দেশীয় উৎপাদন দিয়ে সম্পূর্ণভাবে বাজারের চাহিদা মেটানো সম্ভব না। ফলে এই পণ্যগুলোর ক্ষেত্রে চাহিদা অনুযায়ী আমদানি করা না গেলে অবশ্যই বাজারে ঘাটতি দেখা দেবে।

এখন বিবেচ্য বিষয় হলো-সামনে রমজানের পর আসবে কোরবানির ঈদ। তাই এসব পণ্য যদি আমদানি সচল না রাখতে পারি, তাহলে স্থানীয় উৎপাদন দিয়ে এই বাজার ধরে রাখা যাবে না। একইভাবে আমদানি স্বাভাবিক না থাকলে রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে।  সভায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে যে পরামর্শ এসেছে, তা সুপারিশসহ লিখিত প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।


আরও খবর



ইউক্রেন ইস্যুতে ভোট না দেওয়ার কারণ জানাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩ | ১০৩জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের রেজুলেশনে বাংলাদেশের ভোটদানে বিরত থাকার ব্যাখ্যা দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ব্যাখায় ঢাকা বলছে, প্রস্তাবে ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় টেকসই ও বাস্তবসম্মত পথরেখা না থাকায় ভোটদানে বিরত ছিল বাংলাদেশ। আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

ভোটের ব্যাখ্যায় মুখপাত্র বলেন, আমরা এই সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানাই। আমাদের অঙ্গীকারে প্রতিজ্ঞ যে জাতিসংঘ সনদের উদ্দেশ্য ও নীতি যেকোনো মূল্যে বহাল রাখা উচিত। এই বিষয়ে আমরা প্রস্তাবিত রেজুলেশনে ইউক্রেনে একটি ব্যাপক, ন্যায্য এবং স্থায়ী শান্তির প্রচারের জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব এবং সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানোর গুরুত্ব দেই।

সেহেলী সাবরীন বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, বর্তমান সংঘাতের যেকোনো অর্থবহ এবং টেকসই সমাধানের জন্য অবশ্যই সংঘাতে জড়িত পক্ষগুলোর মধ্যে নিবিড় কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা ও সংলাপ প্রয়োজন। আমাদের মতে এই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টটি রেজুলেশনে অনুপস্থিত ছিল। সে কারণে আমরা বিরত থাকতে বাধ্য ছিলাম।

মুখপাত্র বলেন, বঙ্গবন্ধুর সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং কারও প্রতি শত্রুতা  নয়-এ নীতি অনুযায়ী বাংলাদেশ একটি শান্তিকেন্দ্রিক পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে। সার্বভৌম সব রাষ্ট্রের আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধা, আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি এবং সম্মানের নীতির ওপর ভিত্তি করে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি জাতিসংঘের সনদে উল্লেখিত নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

সেহেলী সাবরীন বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি অবশ্যই সর্বজনীনভাবে সর্বত্র সবার জন্য, সব পরিস্থিতিতে কোনো ব্যতিক্রম ছাড়াই মেনে চলতে হবে। যদিও বর্তমান রেজুলেশনের চূড়ান্ত উদ্দেশ্য ইউক্রেনে একটি ব্যাপক, ন্যায্য এবং দীর্ঘস্থায়ী শান্তি খোঁজা।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব পাস হয়। প্রস্তাবে ভোটাভুটিতে বাংলাদেশ, চীন, ভারত, পাকিস্তানসহ ৩২টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল।

প্রস্তাবটিতে ভোটদানে বিরত থাকা আরও উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দেশ হলো শ্রীলঙ্কা, আলজেরিয়া, বলিভিয়া, ইরান, কিউবা, ইথিওপিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুদান, ভিয়েতনাম ও জিম্বাবুয়ে।

এদিকে, যুদ্ধ বন্ধ করে রাশিয়াকে ইউক্রেন ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আনীত রেজুলেশনে ভোটদানে বিরত থাকায় বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে মস্কো।


আরও খবর

বায়ুদূষণে আজ সপ্তম ঢাকা

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




বনানীতে গার্মেন্ট শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩ | ৭৬জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর বনানীতে বাসের ধাক্কায় শ্রমিক আহত হওয়ার ঘটনায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে পোশাক শ্রমিকরা। এ অবরোধের ফলে বহু মানুষ রাস্তায় আটকা পড়েছেন।

শনিবার (০৪ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়।

জানা গেছে, সকাল ৮টার দিকে বনানী থানার সৈনিক ক্লাব এলাকায় একটি দ্রুতগমী বাসের ধাক্কায় এক নারী শ্রমিক আহত হন। এ ঘটনার জের ধরে সেই এলাকায় পোশাক শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এ সময় যান চালাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে শ্রমিকদের সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, একটি বাসের ধাক্কায় গার্মেন্টেস এক কর্মী আহতের ঘটনার পর ওই গার্মেন্টেসের কর্মীরা সড়ক অবরোধ করেন। অবরোধকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। এখন যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেলেও আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে।


আরও খবর

বায়ুদূষণে আজ সপ্তম ঢাকা

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




৯০ হাজার পাকিস্তানি এবার হজে যেতে পারবেন না

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | ৮৯জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

অর্থনৈতিক সংকট চরম আকার ধারণ করায় এ বছর ৯০ হাজার পাকিস্তানি হজ পালন করতে পারবেন না। রিজার্ভ-সংকট আর মুদ্রার বড় পতনের কারণে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চরমে।

বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির কারণে বিদেশে বসবাসরত প্রায় ৯০ হাজার পাকিস্তানিকে হজের কোটা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খবর দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের। এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে, বৈদেশিক মুদ্রার অভাবে প্রায় ৯০ হাজার মানুষ পাকিস্তান থেকে এ বছর হজে যেতে পারবেন না।

পাকিস্তানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছেই। মূল্যস্ফীতি চরম পর্যায়। ভয়াবহ দুঃসময় কাটাতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে দেশটি। এরই মধ্যে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে এক ধরনের ফ্যানের উৎপাদন বন্ধ করেছে। রাতে দোকানপাট বন্ধসহ নানাভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছে শাহবাজ সরকার।  এর মধ্যে দেশটির হজের কোটা দিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাদের প্রবাসী নাগরিকদের। এর ফলে এই ৯০ হাজার কোটা হিসেবে সুযোগ পাবেন বিদেশে অবস্থানরত পাকিস্তানিরা।

দেশ থেকে অর্থ বাইরে যাওয়া ঠেকাতে এ উদ্যোগ বলে সরকারের সূত্রগুলো বলছে। এ উদ্যোগের ফলে প্রায় ৪০ কোটি ডলার (৪০০ মিলিয়ন ডলার) দেশের বাইরে যাওয়া বন্ধ করা যাবে বলে ভাবছে দেশটির সরকার। সম্প্রতি পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী মুফতি আবদুল শাকুরের মধ্যে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে কোটার অর্ধেক বা ৮৯ হাজার ৬০৫ অনাবাসী পাকিস্তানিদের হজের জন্য সুযোগ দেওয়া হবে। এ উদ্যোগের ফলে অনাবাসী পাকিস্তানিরা হয় নিজেরাই কোটা নিতে পারেন বা পাকিস্তান থেকে কাউকে পৃষ্ঠপোষকতা করতে পারেন।


আরও খবর

ট্রাম্প বললেন, ‘আই এম ব্যাক’

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও সরকারপ্রধান করতে মানুষ উন্মুখ হয়ে আছে’

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | ৪৮জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও সরকারপ্রধান করতে সারা দেশের মানুষ উন্মুখ হয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, সবার জন্য রাজনৈতিক অঙ্গন মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। যে যেভাবে পারছে, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে, আমরা বাঁধা দিচ্ছি না।

আজ শনিবার (৪ মার্চ) দুপুর দেড়টায় যশোর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজীর আহমেদ, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান ও খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মইনুল হক।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের ঐতিহ্যবাহী দল আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করেএকটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে আবারও নতুন সরকার নির্বাচিত হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কখনই বিশ্বাস করে না যে তারা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে, পেশীশক্তির মাধ্যমে, বন্দুকের নলের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসবে। আওয়ামী লীগ সব সময় চিন্তা করেজনগণই তার শক্তি।

মন্ত্রী বলেন, নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী করতে সারা দেশের মানুষ উন্মুখ হয়ে আছে। কারণ, তারা আর অন্ধকারের দিকে যেতে চায় না। তারা আলোকিত বাংলাদেশ দেখতে চায়। আলোকিত বাংলাদেশের নাগরিক হতে চায়।

মন্ত্রী বলেন, আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি ভাল, স্বনির্ভর, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ দিয়ে যেতে চাই।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যশোর-২ আসনের সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) ডাক্তার মো. নাসির উদ্দিন, যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, যশোর-৫ আসনের সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল নুরুল আনোয়ার, জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম মিলন প্রমুখ।


আরও খবর

বায়ুদূষণে আজ সপ্তম ঢাকা

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি ১০ জ‌নের কেউই শঙ্কামুক্ত নন

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩ | ১৪৩জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর গুলিস্তানের নর্থ সাউথ রোডের সিদ্দিক বাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চি‌কিৎসাধীন ১০ জ‌নের কেউই শঙ্কামুক্ত নন ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।

বুধবার (৮ মার্চ) বার্ন ইনস্টিটিউটে সাংবা‌দিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।

ডা. সামন্ত লাল সেন ব‌লেন, গুলিস্তানে বিস্ফোরণের ঘটনায় আমা‌দের এখানে ১১ জন রোগী ছিলেন, তার ম‌ধ্যে একজন‌কে ঢাকা মে‌ডি‌কেলে স্থানান্তর করা হ‌য়ে‌ছে। কারণ তার বার্নট নাই। যে ১০ জন আছেন তার ম‌ধ্যে তিনজন আই‌সিইউ‌তে, দুইজন লাইফ সা‌পো‌র্টে, বাকিরা এস‌ডিইউ‌তে।

চি‌কিৎসাধীন ১০ জ‌নের ম‌ধ্যে কেউই শঙ্কামুক্ত নয় জা‌নি‌য়ে তিনি ব‌লেন, দগ্ধদের কারও ৮০ শতাংশ, কারও ৯০ শতাংশ; কারও ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে। সবারই শ্বাসনালী পু‌ড়ে গে‌ছে। যেহেতু সবারই শ্বাসনালী‌ পুড়ে গেছে তাই আমরা শঙ্কামুক্ত বল‌তে পারব না।

বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ১৭ জন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বর্তমানে ১৯ জন চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া।


আরও খবর

বায়ুদূষণে আজ সপ্তম ঢাকা

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩