Logo
শিরোনাম

রওশন এরশাদকে সরাতে চায় জাতীয় পার্টি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ | ১২৪জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রওশন এরশাদকে সরিয়ে দলীয় চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় পার্টি। বিরোধীদলীয় নেতার পদে জিএম কাদেরকে মনোনয়ন দিতে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে চিঠিও দিয়েছে জাপার সংসদীয় দল। রওশন এরশাদ দলের সম্মেলন ডাকার একদিনের মধ্যে দলটির সংসদীয় দল বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নেয়।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে বলেন, বিরোধীদলীয় নেতা অনেক দিন ধরে অসুস্থ। তিনি স্বাস্থ্যগত কারণে সংসদেও ঠিকমতো আসতে পারছেন না। এ জন্য সংসদীয় দল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দলের সংসদীয় কমিটির বৈঠক হয়েছে উল্লেখ করে মুজিবুল হক বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সিদ্ধান্তের কথা মাননীয় স্পিকারকে জানিয়েছি। ওই বৈঠকে ২৬ জন এমপির মধ্যে ২৩ জন উপস্থিত ছিলেন এবং একজন টেলিফোনে তাঁর সম্মতির কথা জানিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জিএম কাদেরের সভাপতিত্বে জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ সংসদ অধিবেশনে মাগরিবের নামাজের বিরতির সময় চুন্নু, বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ, সালমা ইসলাম, ফখরুল ইমামসহ ৬ / ৭ জন সংসদ সদস্য দলের সংসদীয় দলের সিদ্ধান্তের কথা স্পিকারকে চিঠি দিয়ে জানান।

এ ব্যাপারে অনুমোদন দেওয়ার এখতিয়ার স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর। তবে দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য কোনো সিদ্ধান্ত নিলে স্পিকার সাধারণত সেটি অনুমোদন করেন। সংরক্ষিত আসনসহ সংসদে জাতীয় পার্টির সদস্য সংখ্যা ২৬ জন।

রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নানা বৈঠকে রওশন এরশাদ ও জিএম কাদের দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছিলেন।এরশাদের গড়া দল জাতীয় পার্টি ভেঙেছে বেশ কয়েকবার। দলটির সাবেক মহাসচিবদের নেতৃত্বে আলাদা কয়েকটি দল এখনো সক্রিয় রয়েছে।

তিন বছর আগে এরশাদের মৃত্যুর পর দলে কর্তৃত্ব নিয়ে দেবর-ভাবির বিরোধে দলটি আবার ভাঙনের মুখে পড়েছিল। সেই সময় জ্যেষ্ঠ নেতাদের হস্তক্ষেপে সমঝোতা হয়। তারই অংশ হিসেবে রওশনকে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার পাশাপাশি দলে প্রধান পৃষ্ঠপোষকের পদ দেওয়া হয়। আর জিএম কাদের দলের চেয়ারম্যানের পদ রাখার পাশাপাশি সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা হন।

অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন ধরেই ব্যাংককে চিকিৎসাধীন রওশন এরশাদ। গত জুন মাসে কয়েক দিনের জন্য দেশেও আসেন। সেই সময় দলের কর্তৃত্ব নিতে নানান কর্মকাণ্ড করেছিলেন। তবে সেটা কার্যত ব্যর্থ হয়। ওই সময় রাজধানীর একটি হোটেলে মতবিনিময় সভা করে তিনি অভিযোগ করেন, অসুস্থতার সময়ে দলীয় নেতাদের কেউ তাঁর খোঁজখবর নেয়নি। আর এরশাদের মৃত্যুর পর দলটিও এলোমেলো হয়ে পড়েছে।

জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে তিনি আবার বিদেশে ফেরত যান। এরপর গতকাল বুধবার রাতে তাঁর নামে আসা চিঠিতে আগামী নভেম্বরে দলের কাউন্সিল ডাকা হয়।এরপর জিএম কাদেরের পক্ষে তাঁর প্রেসসচিব বিবৃতি দিয়ে বলেন, জাতীয় পার্টিতে চেয়ারম্যান ছাড়া আর কারও কাউন্সিলর ডাকার এখতিয়ার নেই। রওশনের ওই পদক্ষেপ অবৈধ।

রওশন কাউন্সিলের প্রস্তুতির জন্য নিজেই আহ্বায়ক হয়ে কমিটি গঠনের কথা জানান চিঠিতে। দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ ছয়জন কো-চেয়ারম্যানকে করেন যুগ্ম-আহ্বায়ক। তবে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের প্রেস সচিবের বিবৃতিতে দাবি করা হয়, মহাসচিব চুন্নুসহ কো-চেয়ারম্যানেরা ওই কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির বিষয়ে কিছু জানেন না।


আরও খবর



‘তারা কীভাবে খালেদা জিয়ার জন্য আমার কাছ থেকে আরও সহানুভূতি আশা করে’

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ | ১০১জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে তার পক্ষ থেকে আর কিছুই করার নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আইন অনুযায়ী যা করতে পারেন খালেদা জিয়ার জন্য তাই করেছেন। অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, তারা কীভাবে খালেদা জিয়ার জন্য আমার কাছ থেকে আরও সহানুভূতি আশা করে।

লন্ডনের মেথোডিস্ট সেন্ট্রাল হল ওয়েস্টমিনস্টারে তার সম্মানে আয়োজিত একটি কমিউনিটি সংবর্ধনায় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকেই এখন যুক্তি দিচ্ছেন, আইন নিজের গতিতে চললেও খালেদা জিয়ার প্রতি আমি বেশি সহানুভূতি দেখাতে পারি।

শেখ হাসিনা এসময় ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ সালের হত্যাকাণ্ড, ২১ আগস্ট, ২০০৪ গ্রেনেড হামলা, শেখ রেহানার বাড়িটিকে একটি পুলিশ ফাঁড়িতে পরিণত করা, যা তিনি জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য প্রণীত আইনের অধীনে পেয়েছিলেন এবং তা বিএনপি সরকারের লংঘনের ঘটনা উল্লেখ করেন। খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর তাকে (শেখ হাসিনা) বাড়িতে প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা কীভাবে খালেদা জিয়ার জন্য আমার কাছ থেকে আরও সহানুভূতি আশা করে।

সরকার প্রধান প্রবাসী বাংলাদেশিদেরকে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানান। চলমান ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির পটভূমিতে, অনুমোদন এবং পাল্টা নিষেধাজ্ঞা, তিনি খাদ্যের জন্য অন্যের ওপর নির্ভরতা কমাতে এক ইঞ্চি জমি ছেড়ে না দেওয়ার জন্য সবাইকে বলেন।

বাংলাদেশ স্মার্ট হবে জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, আমরা বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল ও ডিজিটাল দেশে রূপান্তরিত করেছি এবং ২০৪১ সালের মধ্যে এটিকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছি।


আরও খবর

আবারও বন্ধ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র

শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




রোনালদোর 'অভিষেক' গোলে আল নাসরের বড় জয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৮১জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

২১ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে ৮৫৫ গোল রোনালদোর। এতদিন পর এসে কীসে অভিষেক গোল পেলেন রোনালদো! ইউরোপীয় ফুটবলকে বিদায় বলার কারণে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নেই রোনালদো। তবে আল নাসরের হয়ে আরেক চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলছেন তিনি। সেটা এএফসি চ্যাম্পিয়ন লিগে। এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে গতকাল অভিষেক গোল পেয়েছেন সিআর সেভেন। পর্তুগিজ তারকার 'অভিষেক' গোলের রাতে তাজিকিস্তানের ক্লাব ইস্তিকললের বিপক্ষে ৩১ ব্যবধানে জয় পেয়েছে আল নাসর।

আল আওয়াল পার্কে প্রথমার্ধে দাপট দেখায় স্বাগতিক আল নাসর। তবে প্রথম ৪৫ মিনিটে গোলের দেখা পায়নি। উল্টো বিরতির মিনিটখানেক আগে ইস্তিকললের কাছে গোল হজম করে আল নাসর। প্রথম আক্রমণে গিয়ে গোল করেন সেনিন সেবাই।

বিরতির পর গোলের দেখা পাচ্ছিল না সৌদি ক্লাবটি। অবশেষে ৬৬ মিনিটে সমতাসূচক গোল করেন রোনালদো। তার শট প্রথমে ব্লক হলেও ফিরতি শটে ইস্তিকলোল কিপার রুস্তম ইয়াতিমোভের মাথার ওপর দিয়ে বল জালে জড়ান। এ নিয়ে টানা সপ্তম ম্যাচে গোলের দেখা পেলেন এই পর্তুগিজ তারকা। প্রতিযোগিতায় রোনালদোর প্রথম গোলের পর আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যায় পুরো দলের। এরপর পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করেন অ্যান্ডারসন তালিস্কা। তাতে জিতে যায় আল নাসর।

এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম গোল পেয়ে উচ্ছ্বসিত রোনালদো। ম্যাচ শেষে সামাজিক মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, 'দলের প্রত্যেকে ভালো খেলেছে। প্রথম এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ গোল পেয়ে আমি খুশি। আমরা জয়কে অব্যাহত রাখি।'

সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই নিয়ে টানা ১০ ম্যাচ জিতল সৌদি ক্লাবটি। আর এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে পেল দ্বিতীয় জয়।

 


আরও খবর



নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার ৪ কারণ চিহ্নিত করেছে বিশ্বব্যাংক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ | ৩২জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

দেশে বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম। দাম বাড়ার চারটি কারণ চিহ্নিত করেছে বিশ্বব্যাংক। গত আগস্টে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশে পৌঁছেছে। মূল্যস্ফীতি এখন প্রধান মাথাব্যাথার কারণ হয়েছে দেশবাসীর কাছে।

নিত্যপণ্যের চড়া দামে দিশেহারা ক্রেতারা। দেশে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির জন্য চারটি বিষয়কে দায়ী করেছে বিশ্বব্যাংক। যেসব কারণে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে সেগুলো হলো, অভ্যন্তরীণ জ্বালানির মূল্য বেড়ে যাওয়া, দুর্বল মুদ্রানীতি, টাকার অবমূল্যায়ন ও বৈদেশিক মুদ্রা কমে যাওয়ায় আমদানি কমে যাওয়া।

একই প্রতিবেদনে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছর বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কিছুটা কমিয়ে এনেছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির নতুন এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই অর্থবছর জিডিপি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সংস্থাটির ঢাকা অফিসে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশ ও ভুটানে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক প্রতিবেদনের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, দেশে ২০২৫ সালে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারতে ৬ দশমিক ৩ ও মালদ্বীপে ৫ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। ২০২৩ সালে শ্রীলঙ্কায় প্রবৃদ্ধি ছিল নেতিবাচক, মাইনাস ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০২৪ সালে দেশটি ঘুরে দাঁড়াবে প্রবৃদ্ধি হবে ১ দশমিক ৭ শতাংশ।

এর আগে বাংলাদেশে ২০২১-২২ অর্থ বছরে ৭ দশমিক ১ ও ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল সংস্থাটি।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশে দারিদ্র্য কমে ৫ শতাংশ হয়েছে ২০১৬ সালে যা ছিল ৯ শতাংশ।


আরও খবর



ডিসিদের পক্ষপাতমূলক আচরণ চাই না: সিইসি

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ১২৬জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

কোনো জেলা প্রশাসকের আচরণ পক্ষপাতমূলক হোক নির্বাচন কমিশন সেটা চায় না। এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আমরা কোনোভাবেই চাইব না কোনো জেলা প্রশাসকের আচরণে পক্ষপাতমূলক আচরণ প্রতিফলিত হোক। আজ সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

জামালপুরের ডিসিকে প্রত্যাহার করার চিঠি দেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, তফসিলের আগে চিঠি দিতে কোথাও বাধা নেই। পাঁচ বছর পুরো সময়টাই নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব, কর্তব্য, এখতিয়ার রয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর স্পেসিফিক কিছু দায়িত্ব বাধ্যতামূলকভাবে আমাদের করতেই হবে। তফসিলের আগেও এমনটি করা যায়, যদি এমন কোনো কিছু হয় যেটা নির্বাচনের আস্থাভাজনতা, সরকার বা নির্বাচন কমিশনের আস্থাভাজনতা বা যারা নির্বাচন করবেন তাঁদের পক্ষপাতহীন আচরণ নিয়ে বিতর্ক তৈরি করে। তাহলে নির্বাচন কমিশন অবশ্য়ই সরকারের নজরে সেটা আনতে পারে। এটা নির্বাচনের স্বার্থে, মানুষের আস্থার স্বার্থে, সরকারের স্বার্থে এবং নির্বাচন কমিশনের স্বার্থে।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ভোটের পরিবেশ আমরা নিশ্চয়ই পর্যবেক্ষণ করতে থাকব। আমাদের যে পর্যবেক্ষণ এবং প্রক্ষেপণটা অবশ্যই সজাগ রাখতে হবে। জেলা প্রশাসক গুরুত্বপূর্ণ পদ। অনেক ক্ষেত্রে তাঁদেরকেই রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করতে হয়। পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নির্বাচনের সময় অতি অনিবার্য প্রয়োজনীয় আইনশৃঙ্খলা বিষয়টি তাঁদেরকেই দেখতে হবে। তাই কোনোভাবেই আমরা চাইব নাকোনো জেলা প্রশাসকের আচরণে পক্ষপাতমূলক আচরণ প্রতিফলিত হোক। 

জামালপুরের ডিসি প্রত্যাহারের মতো আরও কোনো উদ্যোগ নেবেন কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, যদি আমাদের কাছে এ রকম কিছু প্রতীয়মান হয়, আমরা নিশ্চয়ই তখন এই ধরনের উদ্যোগ নেব।

আপনারা রোডম্যাপে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করেছিলেন, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা, প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করাএমন প্রশ্নে সিইসি বলেন, নো কমেন্টস, থ্যাংক ইউ। ওইটার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করব না।

এখন কেউ ভোট চাইতে পারবেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই প্রশ্নের উত্তর আমি এখন দিচ্ছি না। 

আপনি বলছেন যে তফসিলের আগেও নির্বাচনের পরিস্থিতি নিয়ে আপনাদের কিছু করার সুযোগ আছে। সে ক্ষেত্রে যখন প্রধানমন্ত্রীর সফরে বা সরকারি বা রাষ্ট্রীয় কোনো কাজে যাচ্ছেন। ওখানে সরকারি কাজে যাওয়ার পরও যখন ভোট চাইছেন। সেখানে কি কমিশনের কথা বলার এখতিয়ার রয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এই প্রশ্নের উত্তর এই মুহূর্তে চট করে আপনাকে দিতে পারব না। এখন সবাই নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেনবিএনপি কথা বলছে, আওয়ামী লীগ কথা বলছে, জাতীয় পার্টি কথা বলছে। সবাই কথা বলছে তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি বলেন, আপনারা আমাকে ছাড়া আর কাউকে ভোট দেবেন না। তাহলে নিশ্চয়ই আমরা ইন্টারফেয়ার করতে পারব। কিন্তু উনি ভোট চাইছেন, বিএনপি ভোট চাইছে, জাতীয় পার্টি ভোট চাইছে, সবাই ভোট চাইছে। এ বিষয়টি আমরা ওইভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখিনি।

সরকারি সফরে গিয়ে যদি কেউ ভোট চান? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়টি কেউ উত্থাপন করেননি। আমরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখিনি। যখন তফসিল ঘোষণা হয় এরপর যে নির্বাচনী আচরণ...কারণ উনি নির্বাচনে দাঁড়াবেন কি দাঁড়াবেন না, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কি করবেন না, সেটি আমরা এখনো জানি না। কাজেই সময় হলে তখন আমরা দেখব।


আরও খবর

আবারও বন্ধ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র

শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ভারী বর্ষণের আভাস দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৭৭জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দেশের আট বিভাগেই বৃষ্টি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। এ বৃষ্টির প্রবণতা আগামী দু-তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সব বিভাগেই বৃষ্টির হয়েছে। তবে বেশিরভাগ স্থানেই বৃষ্টির পরিমাণ কম ছিল। চট্টগ্রাম ও খুলনার কয়েকটি অঞ্চলে বৃষ্টিও হয়নি। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে টেকনাফে। ঢাকায় ৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল থেকে ঢাকার আকাশে রোদ ছিল। তবে সাড়ে ১১টার দিকে ঘণ মেঘে ঢাকার আকাশ ঢেকে গেছে। বেলা পৌনে ১২টার দিকে শুরু হয় বৃষ্টি।

ভারী বর্ষণের সতর্কবাণীতে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সারাদেশে কোথাও কোথাও ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারী (৮৯ মিলিমিটার বা এরও বেশি) বর্ষণ হতে পারে।

আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বর্তমানে পূর্ব মধ্য প্রদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ হিসেবে অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানান, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আগামী দুদিন (বুধ ও বৃহস্পতিবার) বৃষ্টির এ প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময়ে দিন ও রাতের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ। সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল চাঁদপুরে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

অন্যদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়- রাজশাহী, পাবনা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষি বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘন্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।


আরও খবর