পশ্চিমা বিশ্বের
সতর্কতা ও হুঁশিয়ারিকে উপেক্ষা করে পূর্ব ইউক্রেনে রুশপন্থী বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত
বিচ্ছিন্ন দুই অঞ্চলকে স্বীকৃতি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ নিয়ে এক
আদেশে স্বাক্ষর করেছেন তিনি। এর পরপরই পূর্ব ইউক্রেনের ওই দুই অঞ্চলে রাশিয়ার সেনা
মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা
সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে
বলা হয়, পূর্ব ইউক্রেনের দোনেতস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি
দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর সেখানে রুশ সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দেন ভ্লাদিমির পুতিন। মূলত
এই দুই অঞ্চলে ‘শান্তি নিশ্চিত’ করতে রুশ সেনাদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
দোনেতস্ক এবং
লুহানস্ক অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর মস্কো থেকে জারি করা পৃথক
দু’টি ডিক্রিতে
সেখানে মোতায়েন করতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন পুতিন।
ওই দুই অঞ্চলে
ঠিক কী পরিমাণে রুশ সেনা মোতায়েন করা হবে সেটি অবশ্য ওই ডিক্রি বা অন্য কোথাও উল্লেখ
করা হয়নি। তবে মস্কোর সরকারি ডিক্রিতে বলা হয়েছে, পূর্ব ইউক্রেনের সদ্য স্বাধীন এই
অঞ্চলে সামরিক ঘাঁটি তৈরির অধিকার রয়েছে রাশিয়ার।
এদিকে, পুতিনের
এই সিদ্ধান্তে বেজায় চটেছে পশ্চিমা বিশ্ব। এ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর
মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ বলেন, 'আমি স্বঘোষিত ডোনেস্ক পিপলস রিপাবলিক ও লুহানস্ক
পিপলস রিপাবলিক-কে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য রাশিয়ার সিদ্ধান্তের নিন্দা করছি।'
এছাড়া এর নিন্দা
জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। নিন্দা জানিয়েছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস। তিনি
বলেন, পুতিনের এই সিদ্ধান্ত মিনস্ক চুক্তির অধীনে রাশিয়ার প্রতিশ্রুতিগুলোর জন্য স্পষ্ট
অবজ্ঞা।
এ নিয়ে ব্রিটিশ
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন পুতিনের এই সিদ্ধান্তকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ
করেন। তিনি রাশিয়ার এই পদক্ষেপকে 'অশুভ ও অত্যন্ত অন্ধকার লক্ষণ' বলে অভিহিত করেছেন।