স্বাধীনতার পর থেকেই অবহেলিত জনপথ হিসেবে পিরোজপুর জেলা পরিচিত। বিশেষ করে পিরোজপুর-১ আসনের জন্য বিগত সময় উন্নয়নের জন্য বরাদ্ধ এলেও তা দিয়ে কতিপয় নেতার পকেট উন্নয়নের কাজ হয়েছে। উন্নয়নের সুফল প্রান্তিক জনগোষ্ঠির কাছে পৌছায় নি। এমনকি সাবেক সংসদ সদস্য একেএমএ আউয়াল এর বিরুদ্ধে দুদকে একাধিক মামলাও চলমান আছে। একেএমএ আউয়াল তার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন বঞ্চিতও হয়েছেন।
বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনে পিরোজপুর-১ (পিরোজপুর-নাজিরপুর-স্বরূপকাঠি) মনোনয়ন পান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তৎকালীন আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম। বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন, বিরোধীপ্রার্থী যুদ্ধাপরাধী দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর পুত্র হারিয়েছে জামানত।
অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহনের পরপরই পিরোজপুরবাসীদের জন্য আসে আরো একটি সুখবর। তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহনের আমন্ত্রণপত্র পান। তাঁর হাত ধরেই শুরু হয় উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার পিরোজপুরের। একের পর এক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড শুরু হয় পিরোজপুর-১ আসনকে কেন্দ্র করে।
অগ্রগতি আর উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সুফল যখন পিরোজপুর-১ আসনের জনগণ পেতে শুরু করেছে তখনই শুরু হয়েছে উন্নয়ন বিরোধী ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্রকারীরা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম ও তাঁর পরিবার নিয়ে প্রতিনিয়ত অনলাইন-অফলাইনে মিথ্য গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে। শুধু গুজব ছড়িয়েই খান্ত হয়নি ওই সব চিহ্নিত ষড়যন্ত্রকারীরা, তারা আজগুবী সব তথ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
অনুসন্ধানে জানা যায়, পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সাংসদ একেএমএ আউয়াল ও তার ছোট ভাই পিরোজপুরের পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মালেকের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত ও মামলা দায়ের হওয়ার পরে তাদের কিছু অনুসারি পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ বর্তমান সংসদ সদস্য ও মাননীয় মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিমকে দোষারোপ করে তাঁকে ভবিষ্যতে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ কিছু স্ট্যাটাস দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় অতি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু ভূয়া আইডি থেকে মন্ত্রী মহোদয় ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মানহানীকর তথ্য প্রচার শুরু হয়। অনুসদ্ধান করে দেখা গেছে ওই সব ভূয়া আইডি থেকে যাদের বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে তাদের অধিকাংশ নারী-পুরুষ পিরোজপুরের বাসিন্দা নয়, যারা বহু বছর আগে বাংলাদেশে ছেড়ে ভারতের স্থায়ী বাসিন্দা হয়েছেন। এছাড়া, চিহ্নিত জামায়াত-শিবির ও নেতা কর্মীরা এসব অপপ্রচারের সাথে যুক্ত রয়েছে।
একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম এর হাত ধরে পিরোজপুরে ব্যপক উন্নয় ও সাধারণ জনগণের মধ্যে বর্তমান সরকার, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা তৈরী হওয়ায় ভবিষ্যতে শ ম রেজাউল করিমই পিরোজপুর-১ আসনের দলের মনোনয়ন পাবেন এমন রাজনৈতিক ভিতি থেকে পিরোজপুরের একটি রাজনৈতিক অপশক্তি, শ ম রেজাউল করিমকে রাজনৈতি ও সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে বহু বিতর্কিত প্রিয়া বালা সাহা, যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতা বিরোধী চক্র এবং হেফাজতে ইসলামের সাইবার ইউনিটকে ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরণের অপ-প্রচারে লিপ্ত আছে।
এ বিষয়ে মন্ত্রী মহোদয়ের ছোট ভাই এস.এম. নুরে আলম সিদ্দিকী জানান, রাজনৈতির প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে পিরোজপুরের একটি রাজনৈতিক অপশক্তি মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় এবং আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা ও বানোয়াট অপ-প্রচারে লিপ্ত আছে। এ বিষয়ে নাজিরপুর থানায় সাধারণ ডায়েরী এবং ঢাকার সিআইডি পুলিশ বিভাগের সাইবার ক্রাইম ইউনিটে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিরোজপুরের এক ব্যবসায়ী জানান, বিগত সময় পিরোজপুরে ব্যবসা করতে বিভিন্ন প্রকার চাঁদ দিতে দিতে ব্যবসা প্রায় বন্ধ হতে বসেছিল। মন্ত্রী মহোদয় সেই চাঁদাবাজদের হাত থেকে আমাদের বাঁচিয়েছে। এ কারণে অনেকের সমস্য হচ্ছে আর সেখান থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে এই অপপ্রচার শুরু হয়েছে।
একই ভাবে মনের কষ্টের কথা জানান এক বাস ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, একটি পরিবার পুরো পিরোজপুরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছিল। মনে করতো তারা ছাড়া আর কেউ নেই। মন্ত্রী মহোদয় ক্ষমতায় আসার সাথে সাথে সেই সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়েছে। এই অক্রোশে এই মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছে। কিন্তু জনগণ এখন জানে এবং বোঝে কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা। ষড়যন্ত্রকারীরা বিগত সময়ের মত মুখ থুবরে পরবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এক সংবাদকর্মী জানান, বিগত সময়ে সত্য কথা লিখলে বা বললে মিলতো হুমকি অথবা মামলা। কিন্তু বর্তমান সময়ে সেই অবস্থা নেই। আমরা নির্ভয়ে সব সংবাদ প্রচার করতে পারি। বিগত সময়ে যারা দুর্নীতি করে সম্পদের পাহাড় গড়েছে তাদের বিরুদ্ধে নির্ভয়ে সংবাদ প্রকাশ করতে পারি। সেইসব দুর্নীতিবাজদের মুখোশ উন্মোচিত হয়ে যাওয়া মন্ত্রী মহোদয়ের প্রতি একের পর এক মিথ্য প্রচার করে চলছে।
পিরোজপুর শহরতলীর বাসিন্ধা ইলিয়াস হোসেন বলেন, আমরা বিরোধী দলের রাজনীতি করি। কিন্তু তাই বলে মন্ত্রী মহোদয়ের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা অস্বীকার করতে পারিনা। তাঁর এই দুই বছরে যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পিরোজপুরে শুরু হয়েছে তা অনেকেই হয়তো পছন্দ করতে পারেনি। সে কারণেই অনেকে তাঁর বিরুদ্ধে অনেক বাজে কথা বলে। কিন্তু আমি মনে করি মন্ত্রী মহোদয় তাঁর এই উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখলে এসেই অপপ্রচারকারীরাই আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।
নারী নেত্রী দোলাগুহ বলেন, শুধুমাত্র উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দেখে ভীত হয়ে এই অপপ্রচারে যারা লিপ্ত হয়েছে তারা পিরোজপুরের উন্নয়ন চায় না। সময়ের ব্যবধানে সব সত্যি একদিন প্রকাশিত হবে। যারা পিরোজপুরের উন্নয়ন বিরোধী এ এলাকার জনগণ তাদের প্রত্যাখান করবে।