Logo
শিরোনাম

শ ম রেজাউল করিম এর জনপ্রিয়তায় ভিতু হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অপ-প্রচার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ এপ্রিল ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | ৭৮১৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

স্বাধীনতার পর থেকেই অবহেলিত জনপথ হিসেবে পিরোজপুর জেলা পরিচিত। বিশেষ করে পিরোজপুর-১ আসনের জন্য বিগত সময় উন্নয়নের জন্য বরাদ্ধ এলেও তা দিয়ে কতিপয় নেতার পকেট উন্নয়নের কাজ হয়েছে। উন্নয়নের সুফল প্রান্তিক জনগোষ্ঠির কাছে পৌছায় নি। এমনকি সাবেক সংসদ সদস্য একেএমএ আউয়াল এর বিরুদ্ধে দুদকে একাধিক মামলাও চলমান আছে। একেএমএ আউয়াল তার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন বঞ্চিতও হয়েছেন।  

বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনে পিরোজপুর-১ (পিরোজপুর-নাজিরপুর-স্বরূপকাঠি) মনোনয়ন পান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তৎকালীন আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম। বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন, বিরোধীপ্রার্থী যুদ্ধাপরাধী দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর পুত্র হারিয়েছে জামানত।

অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহনের পরপরই পিরোজপুরবাসীদের জন্য আসে আরো একটি সুখবর। তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহনের আমন্ত্রণপত্র পান। তাঁর হাত ধরেই শুরু হয় উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার পিরোজপুরের। একের পর এক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড শুরু হয় পিরোজপুর-১ আসনকে কেন্দ্র করে।

অগ্রগতি আর উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সুফল যখন পিরোজপুর-১ আসনের জনগণ পেতে শুরু করেছে তখনই শুরু হয়েছে উন্নয়ন বিরোধী ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্রকারীরা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম ও তাঁর পরিবার নিয়ে প্রতিনিয়ত অনলাইন-অফলাইনে মিথ্য গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে। শুধু গুজব ছড়িয়েই খান্ত হয়নি ওই সব চিহ্নিত ষড়যন্ত্রকারীরা, তারা আজগুবী সব তথ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।

অনুসন্ধানে জানা যায়, পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সাংসদ একেএমএ আউয়াল ও তার ছোট ভাই পিরোজপুরের পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মালেকের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত ও মামলা দায়ের হওয়ার পরে তাদের কিছু অনুসারি পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ বর্তমান সংসদ সদস্য ও মাননীয় মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিমকে দোষারোপ করে তাঁকে ভবিষ্যতে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ কিছু স্ট্যাটাস দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় অতি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু ভূয়া আইডি থেকে মন্ত্রী মহোদয় ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মানহানীকর তথ্য প্রচার শুরু হয়। অনুসদ্ধান করে দেখা গেছে ওই সব ভূয়া আইডি থেকে যাদের বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে তাদের অধিকাংশ নারী-পুরুষ পিরোজপুরের বাসিন্দা নয়, যারা বহু বছর আগে বাংলাদেশে ছেড়ে ভারতের স্থায়ী বাসিন্দা হয়েছেন। এছাড়া, চিহ্নিত জামায়াত-শিবির ও নেতা কর্মীরা এসব অপপ্রচারের সাথে যুক্ত রয়েছে।

একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়,  মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম এর হাত ধরে পিরোজপুরে ব্যপক উন্নয় ও সাধারণ জনগণের মধ্যে বর্তমান সরকার, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা তৈরী হওয়ায় ভবিষ্যতে শ ম রেজাউল করিমই পিরোজপুর-১ আসনের দলের মনোনয়ন পাবেন এমন রাজনৈতিক ভিতি থেকে পিরোজপুরের একটি রাজনৈতিক অপশক্তি, শ ম রেজাউল করিমকে রাজনৈতি ও সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে বহু বিতর্কিত প্রিয়া বালা সাহা, যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতা বিরোধী চক্র এবং হেফাজতে ইসলামের সাইবার ইউনিটকে  ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরণের অপ-প্রচারে লিপ্ত  আছে।

এ বিষয়ে মন্ত্রী মহোদয়ের ছোট ভাই এস.এম. নুরে আলম সিদ্দিকী জানান, রাজনৈতির প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে পিরোজপুরের একটি রাজনৈতিক অপশক্তি মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় এবং আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা ও বানোয়াট অপ-প্রচারে লিপ্ত আছে। এ বিষয়ে নাজিরপুর থানায় সাধারণ ডায়েরী এবং ঢাকার সিআইডি পুলিশ বিভাগের সাইবার ক্রাইম ইউনিটে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

এবিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিরোজপুরের এক ব্যবসায়ী জানান, বিগত সময় পিরোজপুরে ব্যবসা করতে বিভিন্ন প্রকার চাঁদ দিতে দিতে ব্যবসা প্রায় বন্ধ হতে বসেছিল। মন্ত্রী মহোদয় সেই চাঁদাবাজদের হাত থেকে আমাদের বাঁচিয়েছে। এ কারণে অনেকের সমস্য হচ্ছে আর সেখান থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে এই অপপ্রচার শুরু হয়েছে।

একই ভাবে মনের কষ্টের কথা জানান এক বাস ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, একটি পরিবার পুরো পিরোজপুরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছিল। মনে করতো তারা ছাড়া আর কেউ নেই। মন্ত্রী মহোদয় ক্ষমতায় আসার সাথে সাথে সেই সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়েছে। এই অক্রোশে এই মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছে। কিন্তু জনগণ এখন জানে এবং বোঝে কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা। ষড়যন্ত্রকারীরা বিগত সময়ের মত মুখ থুবরে পরবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এক সংবাদকর্মী জানান, বিগত সময়ে সত্য কথা লিখলে বা বললে মিলতো হুমকি অথবা মামলা। কিন্তু বর্তমান সময়ে সেই অবস্থা নেই। আমরা নির্ভয়ে সব সংবাদ প্রচার করতে পারি। বিগত সময়ে যারা দুর্নীতি করে সম্পদের পাহাড় গড়েছে তাদের বিরুদ্ধে নির্ভয়ে সংবাদ প্রকাশ করতে পারি। সেইসব দুর্নীতিবাজদের মুখোশ উন্মোচিত হয়ে যাওয়া মন্ত্রী মহোদয়ের প্রতি একের পর এক মিথ্য প্রচার করে চলছে।

পিরোজপুর শহরতলীর বাসিন্ধা ইলিয়াস হোসেন বলেন, আমরা বিরোধী দলের রাজনীতি করি। কিন্তু তাই বলে মন্ত্রী মহোদয়ের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা অস্বীকার করতে পারিনা। তাঁর এই দুই বছরে যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পিরোজপুরে শুরু হয়েছে তা অনেকেই হয়তো পছন্দ করতে পারেনি। সে কারণেই অনেকে তাঁর বিরুদ্ধে অনেক বাজে কথা বলে। কিন্তু আমি মনে করি মন্ত্রী মহোদয় তাঁর এই উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখলে এসেই অপপ্রচারকারীরাই আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।        

নারী নেত্রী দোলাগুহ বলেন, শুধুমাত্র উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দেখে ভীত হয়ে এই অপপ্রচারে যারা লিপ্ত হয়েছে তারা পিরোজপুরের উন্নয়ন চায় না। সময়ের ব্যবধানে সব সত্যি একদিন প্রকাশিত হবে। যারা পিরোজপুরের উন্নয়ন বিরোধী এ এলাকার জনগণ তাদের প্রত্যাখান করবে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর