সাবেক প্রেমিকাকে
খুনের পর দেহ ৬টি টুকরো করার অভিযোগ উঠেছে এক প্রেমিকের বিরুদ্ধে। ভারতের উত্তরপ্রদেশের
আজমগড়ে ঘটেছে এই ঘটনা। ইতোমধ্যে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের
খবরে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম প্রিন্স যাদব। তিনি উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ের
বাসিন্দা। একই এলাকারবাসিন্দা আরাধনা নামে এক তরুণীর সঙ্গে বছরখানেক প্রেমের সম্পর্ক
ছিল তার। তবে সম্প্রতি সম্পর্কের অবনতি হয়। অন্যত্র বিয়েও ঠিক হয় তরুণীর। তা মেনে নিতে
পারছিল না যাদব। বারবার আগের সম্পর্কে ফিরে আসার জন্য তরুণীকে চাপও দিচ্ছিল। তবে কোনও
কথাতেই কাজ হয়নি।
অভিযোগ, এরপর
গত ৯ নভেম্বর সাবেক প্রেমিকা আরাধনার সঙ্গে দেখা করতে চায় যাদব। আরাধনাও রাজি হয়ে যান।
প্রিন্সের সঙ্গে দেখা করার পর তার বাইকে চড়ে বসেন। দুই জনে বাইকে চড়ে স্থানীয় একটি
মন্দির সংলগ্ন আখখেতে যায়। তারপর থেকে নিখোঁজ তরুণী। আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। তরুণীর
পরিবারের লোকজন নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
এরপর গত ১৫
নভেম্বর পশ্চিমী গ্রামের পরিত্যক্ত কুয়া থেকে প্লাস্টিকবন্দি দেহাংশ উদ্ধার করা হয়।
তদন্ত করে দেখা যায়, এই দেহ আরাধনার। আরাধনার পরিবারের লোকজনের দাবি, এ কাজ করেছে প্রিন্স।
তড়িঘড়ি তাকে আটক করে পুলিশ। প্রিন্স পুলিশি ধরপাকড়ে বাধা দেয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে
গুলিও চালায় ।
রিপোর্ট, প্রথমে
জেরায় কিছুই বলতে চায়নি যাদব। যদিও লাগাতার জেরায় খুনের কথা কার্যত স্বীকার করে নেয়।
জানায়, মন্দিরে দেখা করতে যাওয়ার নামে ডেকে পাঠায় আরাধনাকে। এরপর নিকটাত্মীয় ভাইয়ের
সাহায্যে আখখেতে নিয়ে যাওয়া হয় ওই তরুণীকে। খুনের পর দেহ মোট ৬টি টুকরো করে কাটা হয়।
দেহাংশ প্লাস্টিকবন্দি করে ফেলে দেওয়া হয় কুয়োয়।
আজমগড়ের পুলিশ
সুপার অনুরাগ আর্য জানান, অভিযুক্ত প্রিন্স যাদব তার বাবা-মা, কাজিন এবং পরিবারের অন্য
সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে এই খুন করে। অভিযুক্তের কাছে ওয়ান শটার বন্দুক এবং একটি কার্তুড
বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।