Logo
শিরোনাম

সাফের প্রথম ম্যাচে ভুটানের জালে ভারতের এক ডজন গোল

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ২০৮জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে ভুটানকে উড়িয়ে দিয়েছে শক্তিশালী ভারত। ভুটানের মেয়েদের জালে গোলের ডালি সাজিয়েছে ভারতীয়রা। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে ভুটানকে  ১২-০ হারিয়েছে গোলে অন্যতম ফেভারিট ভারত।

শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল ম্যাচে নিজেদের দাপট দেখিয়েছে ভারত। ম্যাচের ২৭ মিনিট পর্যন্ত নিজেদের জাল অক্ষত রাখতে পেরেছিল ভুটানের মেয়েরা। কিন্তু এরপর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে সব প্রতিরোধ।

ভারত প্রথমার্ধে গোল পায় চারটি। আর বিরতির পর আটটি। মোট তিনজন হ্যাটট্রিক করেন।৫১, ৬৯, ৭৮ মিনিটে আনিতা কুমারি দলের হয়ে দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক করেছেন। ৪৫, ৫৫ ও ৯০ মিনিটে নেহা তৃতীয় হ্যাটট্রিকটি করেছেন। আর লিন্ডা কম মাঝে ৬১, ৬৩ ও ৭৫ মিনিটে লক্ষ্যভেদ করে পূরণ করেন দলের প্রথম হ্যাটট্রিক।

এছাড়া বাকি তিনটা গোলের মধ্যে অপূর্ণা করেন দুটি ২৯ ও ৩৬ মিনিটে। আর বাকি গোলটি আসে ৪৩ মিনিটে নিতুর পা থেকে।

এবারের টুর্নামেন্টে ভারত ও ভুটান ছাড়াও খেলছে বাংলাদেশ ও নেপাল।


আরও খবর

২০২৬ বিশ্বকাপে ১০৪ ম্যাচ

বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩

ঢাকায় ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল

শুক্রবার ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




বিএনপির দুই শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | ৭৭জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় উত্তর জেলা বিএনপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলসহ দুই শতাধিক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। রবিবার চান্দিনা থানার অফিসার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) তাপস দাস বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছেলে ও কেন্দ্রীয় বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মারুফ হোসেন, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক ও চান্দিনা উপজেলা বিএনপি সভাপতি আতিকুল আলম শাওন, সাধারণ সম্পাদক কাজী আরশাদসহ কুমিল্লা উত্তর জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা বিএনপির ৩৬ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ১৭০ জনকে।

বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি উপজেলার দড়ানিপাড়া এলাকায় অবস্থান নেয় কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সেখানে পুলিশি বাধায় স্থান ত্যাগ করে মহাসড়কের চান্দিনা-মুরাদনগর উপজেলার সীমান্তবর্তী গোমতা এলাকায় অবস্থান নেয়। সেখানেও বাধা পেয়ে দেবিদ্বার ও চান্দিনা উপজেলার সীমান্তবর্তী কুটুম্বপুর-খাদঘর এলাকা থেকে প্রায় দুই সহস্রাধিক নেতা-কর্মী পদযাত্রা শুরু করলে বাধা দেয় পুলিশ।

এদিকে, দফায় দফায় পুলিশি বাধার মুখে পড়ে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে বিএনপি নেতা-কর্মীরা। ক্ষিপ্ত বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশের উপর চড়াও হয়ে ধস্তা-ধস্তি শুরু করলে পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে। এতে বিএনপির অন্তত ২৫ নেতা-কর্মী আহত হন। তাদের কেউ রাবার বুলেটে, কেউ পুলিশের লাঠিচার্জে আবার কেউবা কালভার্ট থেকে লাফিয়ে পড়ে ও পদদলিত হয়ে আহত হন।

চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. সাহাবুদ্দীন খাঁন বিষয়টি নিয়ে বলেন, সরকারি কাজে বাধা, মহাসড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ভাংচুর ও বিস্ফোরক দ্রব্যাদি বহনের অপরাধে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। আমরা আসামিদের অবস্থান নিশ্চিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা করছি। ঘটনার সাথে আরও কারা জড়িত সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



র‍্যাগিং-যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে পদযাত্রা করবে ছাত্রলীগ

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | ৯২জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

দেশের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে সম্প্রতি। এর অধিকাংশে জড়িত হিসেবে ছাত্রলীগের নাম উঠে এসেছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সহসভাপতির বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও ভিডিও ধারণের অভিযোগ, শাবিপ্রবিতে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগে ছাত্রলীগের পাঁচ কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার ও রাবিতে এক ছাত্রকে ছাত্রলীগ নেতাদের দ্বারা নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে সম্প্রতি।

এমন পরিস্থিতিতে র‍্যাগিং ও যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ছাত্রলীগ। এর নাম দেওয়া হয়েছে অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পেইন অ্যাগেনস্ট র‍্যাগিং অ্যান্ড সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট ইন ক্যাম্পাস

আজ শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ক্যাম্পাসে নির্যাতন, হয়রানি ও যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে আগামীকাল সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে পদযাত্রা বের শুরু হয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গিয়ে শেষ হবে। পদযাত্রায় নির্যাতন, হয়রানি ও যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে সমাবেশ ও সচেতনতামূলক প্রচারপত্র বিতরণ করবেন তারা।

কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের সব নেতাকর্মীকে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে ছাত্রলীগের সব ইউনিটকে নিজ নিজ ক্যাম্পাসে এই কর্মসূচি আয়োজনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

২৭ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি সব বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কলেজ এবং ১ থেকে ৩ মার্চের মধ্যে সব কলেজ, মাদরাসা, পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট, টেকনিক্যাল কলেজসহ অন্যান্য সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পেইন অ্যাগেনস্ট র‍্যাগিং অ্যান্ড সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট ইন ক্যাম্পাস কর্মসূচি আয়োজনেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ : জিএম কাদের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ১৪জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় ক্ষোভ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের। আজ বৃহস্প্রতিবার (১৬ মার্চ) এক বিবৃতিতে হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন তিনি।

এক বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা, ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। সংবাদ সংগ্রহের সময় নিরাপরাধ সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা সভ্য সমাজে মেনে নেওয়া যায় না।

জাতীয় পার্টির এই নেতা বলেন, এমনিতেই দেশের গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। বিভিন্ন নিবর্তনমূলক আইনের কারণে দেশের গণমাধ্যমে বেড়েছে সেলফ সেন্সরশিপ। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে দেশের গণমাধ্যম সাধ্যমত চেষ্টা করে তথ্য প্রবাহ সচল রাখছে। গণমাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনতা ছাড়া গণতন্ত্র সমুন্নত রাখা অসম্ভব। তাই, গণতন্ত্রের স্বার্থেই গণমাধ্যমের বিকাশে সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে গণমাধ্যমকর্মীদের সকল নিরাপত্তা। 

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় একইভাবে ক্ষোভ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু।


আরও খবর



জাতিসংঘের বাংলা ফন্ট এখন ইউনিকোডে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | ৭৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি), বাংলা ভাষার ব্যবহারকারীদের জন্য ইন্টারনেট অ্যাক্সেস সহজ করতে ইউএন বাংলা ফন্টের সাতটি ভিন্ন প্রতিলিপিসহ ইউনিকোড সংস্করণ চালু করেছে। ইউএন বাংলা ফন্টটি ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সালে অফলাইনে ব্যবহারের জন্য একক সংস্করণসহ প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।

ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার এবং গুডউইল অ্যাম্বাসেডর জয়া আহসান সোমবার ঢাকায় সংস্থার কার্যালয়ে ইউনিকোড সংস্করণটি চালু করেন।

ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান বলেন, বাংলা ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ২০২০ সালে আমরা প্রথম ফন্টটি চালু করি। যেহেতু ইন্টারনেটে বাংলা ভাষার ব্যবহার বাড়ছে, তাই আমরা সবার জন্য ইউনিকোড সংস্করণ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি আশা করি এই ইউনিকোড সংস্করণটি বাংলা লেখার নতুন ক্ষেত্র উন্মোচন করতে সহায়তা করবে।

তিনি আরো বলেন, এখন যারা তাদের সেল ফোন এবং কম্পিউটারে লেখেন তারা লিখলে আরও বৈচিত্র্য থাকবে। ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত জয়া আহসান বলেন, আমরা যারা বাংলায় লিখি তাদের জন্য এটি একটি দুর্দান্ত জিনিস। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইউএনডিপির এই উদ্যোগের অংশ হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।

ইউএনডিপির যোগাযোগ প্রধান মো. আব্দুল কাইয়ুম বলেন, আমরা শিগগিরই এই ফন্ট ব্যবহার করে আমাদের ইউএনডিপি বাংলাদেশের ওয়েবসাইটের বাংলা সংস্করণ চালু করব। আমাদের অন্যান্য প্রকাশনাও এই ফন্ট ব্যবহার করবে।

তিনি আরও বলেন, শুধু ইউএনডিপি নয়, জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থাও এই ফন্ট ব্যবহার করতে পারবে। এটি বিনামূল্যে সর্বজনীন ডাউনলোড এবং ব্যবহারের জন্যও উন্মুক্ত।

ইউনিকোড ফন্ট প্যাকেজে ফন্টের সাতটি প্রতিলিপি রয়েছে, যার মধ্যে ইটালিক্সসহ ফন্টের একটি বোল্ড, রেগুলার, থিন ও লাইট সংস্করণ রয়েছে।

ফন্টটির ডিজাইনার মহিবুবুর রহমান রাজন বলেন, বাংলা লিপিতে অনেক বৈচিত্র্য রয়েছে এর ধ্বনিতত্ত্ব, লিগ্যাচার ইত্যাদির বৈচিত্র্যের কারণে এর ফন্ট নিয়ে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। ডিজাইনের ক্ষেত্রে অফারে এত বৈচিত্র্য আছে এমন খুব বেশি বাংলা ফন্ট নেই। উদ্বোধনকালে ইউএনডিপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

বায়ুদূষণে আজ সপ্তম ঢাকা

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




ক্ষমতা ধরে রাখতে পুরোনো খেলায় মেতেছে সরকার : মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | ১১২জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই অনির্বাচিত, অবৈধ, ফ্যাসিষ্ট সরকার ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখার জন্য এবং বিএনপিকে নেতৃত্বহীন করার লক্ষ্যে পুরোনো খেলায় মেতে উঠেছে। মিথ্যা, গায়েবি মামলা, গ্রেপ্তার, ঘরে ঘরে তল্লাশি-হয়রানির মাধ্যমে নির্যাতন-নিপীড়নের মাত্রা বহু গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে তারা। মিথ্যা মামলায় নেতাকর্মীদের কারাগারে নিয়ে যে ধরনের নির্যাতন করে, তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়। আজ সোমবার (৬ মার্চ) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, মিথ্যা মামলাকে এই সরকার প্রজেক্টের মতো নিয়েছে। এতে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হচ্ছে। নেতারা জামিন নিয়ে যখন বের হবেন, তখনই আবার জেলগেটে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এখানে আছে বাণিজ্যের ব্যাপার। কারণ, এখন পুলিশি রাষ্ট্র হয়ে গেছে। আমাদেরকে প্রথম কারাগারে নেওয়ার পর কনডেম সেলে রাখা হয়েছিল কোয়ারেন্টিনের নামে। যা চরম অমানবিক। এ ক্ষেত্রে কারাবিধি মানা হয়নি। কারাগারের আচরণ ও নিপীড়ন যেন মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়। নির্বাচনের আগে সরকার আবারও বিএনপিকে মাঠশূন্য করতে চায়।

মির্জা ফখরুল বলেন, মিথ্যা, গায়েবি মামলা, গ্রেপ্তার, ঘরে ঘরে তল্লাশি এবং হয়রানি করে নির্যাতন-নিপীড়নের মাত্রা বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার। এই হীন পরিকল্পনায় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী ও অনেক সিনিয়র নেতাসহ  অসংখ্য কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে এবং কারাগারে অমানবিক নির্যাতন শুরু করেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, মিথ্যা ও হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় এবং সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে বর্তমানে কেরানীগঞ্জ কারাগারে কারান্তরীণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সুচিকিৎসা প্রদানে সরকার ও কারা কর্তৃপক্ষের অবহেলায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে বুকে ও পায়ে গুলিবিদ্ধ রুহুল কবির রিজভী ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, করোনায় আক্রান্ত হয়ে ফুসফুসে জটিলতা ও হার্টের অসুখসহ বিভিন্ন মারাত্মক অসুখে শারীরিকভাবে অসুস্থ একজন মানুষ। তিনি সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠার সময় অন্যের সাহায্য ছাড়া চলতে পারেন না, তাছাড়া তাকে সব সময় লাঠির ওপর ভর করে চলতে হয়। এমন এক পরিস্থিতিতে কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে পুরান ঢাকার আদালতে আসার দীর্ঘ পথ প্রিজন ভ্যানে তাকে আনা-নেওয়া করা হচ্ছে। এই প্রিজন ভ্যানগুলোতে বসার কোনো ব্যবস্থা নেই এমনকি কোনো কিছু ধরে দাঁড়িয়ে থাকারও ব্যবস্থা নেই। অসুস্থ রুহুল কবির রিজভী আহমেদকে চরম ঝুঁকি নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই আদালতে আনা-নেওয়া করানো হয়, যা চরম অমানবিকতা ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন। শাসকগোষ্ঠীর ইচ্ছারই প্রতিফলন।

মির্জা ফখরুল বলেন, মূলত রিজভী আহমেদ বর্তমান সরকারের চরম রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। বর্তমান অনৈতিক সরকার ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে আজ মানবিকতাবোধও হারিয়ে ফেলেছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সরকারের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে একজন সোচ্চার কণ্ঠ বলেই তিনি সরকারের রোষানলের শিকার। তাঁর মতো একজন জাতীয় নেতা কারাগারে ভীষণ অসুস্থ হলেও তাঁকে সুচিকিৎসা দিতে কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, রুহুল কবির রিজভী ছাড়াও বিএনপির স্বেচ্ছাসেবা বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহসভাপতি ইউসুফ বিন জলিল কালু, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহবায়ক গোলাম মাওলা শাহীন, ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহবায়ক আতাউর রহমানসহ অসংখ্য নেতাকর্মী বর্তমান সরকারের রোষানলে কারাবন্দি আছেন। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নির্মূল ও পর্যদুস্ত করতে নিষ্ঠুর আওয়ামী সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে মিথ্যা মামলার মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়ে সারাদেশকে কারাগারে পরিণত করেছে। কারাগারগুলোতে এখন তিল ধারণের ঠাঁই নেই।

মির্জা ফখরুল বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যরাতের মহাভোট ডাকাতির নির্বাচনের পর বর্তমান সরকারের দুঃশাসন যেন আরও তীব্র মাত্রা লাভ করেছে। সরকার দেশকে বিএনপিশূন্য করতে এখন বেপরোয়া ভূমিকায় মাঠে নেমেছে। কর্তৃত্ববাদী স্বৈরাচারী সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে চারিদিকে ভীতির বিস্তার ঘটাচ্ছে, যাতে সরকারের বিরুদ্ধে কেউ আওয়াজ করারও সাহস না পায়। বিশ্বের গণধিকৃত সব স্বৈরাচারকে টেক্কা দিয়ে জনসমর্থনহীন আওয়ামী সরকার এখন মানুষের জানমালের নিরাপত্তাকে চরম হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে।  

মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান স্বৈরশাহী দেশে বিরোধী দলের অস্তিত্ব ধ্বংস করে নিজেদের দুঃশাসনকে প্রলম্বিত করতে চায়। তবে জনগণ তাদের এই মনোবাঞ্ছা কোনোদিনই পূরণ হতে দেবে না। অতীতের সংগ্রামী ঐতিহ্যের ধারায় বাংলাদেশের মানুষ যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে দ্বিধা করবে না।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমি অবিলম্বে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে সুচিকিৎসা প্রদান এবং তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা প্রত্যাহারসহ বিএনপির সব কারারুদ্ধ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহবান জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় নেতা জহির উদ্দিন স্বপন প্রমুখ।


আরও খবর