Logo
শিরোনাম

সাফল্যের আরেকটি বছর পার করলো সরকার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ জানুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | ১৮৪০জন দেখেছেন
Image

বৈশ্বিক করোনা মহামারির মধ্য দিয়ে আরও একটি বছর পার করলো আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন টানা তৃতীয়বারের সরকার। এ বছরও ছিল না রাজনৈতিক কোনো চাপ। তৃতীয় মেয়াদের এই সরকারের দুই বছর অতিবাহিত হওয়ার মধ্য আওয়ামী লীগ টানা এক যুগ ক্ষমতায় থাকার রেকর্ডও গড়লো।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় আওয়ামী লীগ। এর পর ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে দলটি। এ বছর আরো একটি বিষয়ে আওয়ামী লীগ তাদের নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছেছে, তা হলো ভিশন-২০২১। আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীকে লক্ষ্য নির্ধারণ করে নির্বাচনী ইশতেহারে ভিশন-২০২১ ঘোষণা করে। ওই নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ।

পার করে আসা এ বছরটিতে আওয়ামী লীগ সরকারকে বড় ধরনের কোনো রাজনৈতিক আন্দোলন বা চাপের মধ্যে পড়তে হয়নি। রাজপথে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী দল বিএনপির দিক থেকেও সরকারের ওপর চাপ তৈরির অথবা আন্দোলনের কোনো জোরালো কর্মসূচি লক্ষ্য করা যায়নি। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের দিক থেকেও কোনো আন্দোলনের চাপ আসেনি সরকারের ওপরে। তাছাড়া করোনা পরিস্থিতির কারণে বলতে গেলে সারা বছরই রাজনৈতিক কার্মকাণ্ড ছিল স্থবির।

রাজনৈতিক চাপ না থাকলেও বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতি নিয়ে প্রায় সারা বছরই হিমশিম খেতে হয় সরকারকে। করোনায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে দেশ। ৮ মার্চ দেশে ভাইরাসটি শনাক্ত হওয়ার পর তা দ্রুত ছড়াতে থাকে। সরকার বাধ্য হয়ে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। ২৬ মার্চ থেকে এই ছুটি চলে টানা ৬৬ দিন। এ সময় অর্থনেতিকভাবে দেশ ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে। করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সরকার প্রায় ৭৪ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। গত ৩১ মে থেকে কোভিডজনিত সাধারণ ছুটি তুলে দেওয়া হলেও পরিস্থিতি এখনও অব্যাহত থাকায় স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে আসতে বেগ পেতে হচ্ছে সরকারকে।

এ বছরটিতে সরকার ঘোষিত বড় কর্মসূচি ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী মুজিববর্ষ উদযাপন। দীর্ঘ প্রস্তুতি নিয়ে সরকার মুজিবর্ষের কর্মসূচি ঘোষণা করে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে মূল কর্মসূচি স্থগিত রয়েছে। ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মদিনটিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিত থাকার কথা ছিলো। মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশি বিদেশি বরেণ্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সব কর্মসূচি স্থগিত রাখা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি একটু কমে এলে নভেম্বরে মুজিববর্ষ উপলক্ষে জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। ঘোষণা অনুযায়ী মুজিববষর্ষের কর্মসূচি যথাযথভাবে উদযাপন করা সম্ভব না হওয়ায় মুজিববর্ষের সময় বাড়ানো হয় ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

সরকারের এই বছরটিতে করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশে রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ থাকে। করোনা সংক্রমণের শুরুতেই সভা সমাবেশ ও গণজমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। গত ৩০ জুন সাধারণ ছুটি তুলে নেওয়ার পরও এই নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত ছিলো। তবে এই পরিস্থিতির মধ্যেই রাজনৈতিক পরিস্থিতি হঠাৎ করেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনকে কেন্দ্র করে গত নভেম্বরে এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। ঢাকার যাত্রাবাড়ীর ধোলাইপাড় মোড়ে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হচ্ছে।

বঙ্গবন্ধুর এই ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতায় নামে হেফাজতে ইসলাম, খেলাফত মজলিসসহ কয়েকটি ইসলামিক দল ও সংগঠন। তারা ভাস্কর্য ভেঙে ফেলারও হুমকি দেয়। এর মধ্যেই কুষ্টিয়ায় নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়। এর কয়েক দিন পর একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে ভাঙচুর করা হয় ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য। বছরের শুরুতে ১ জানুয়ারি ঠাকুরগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর করা হয়।

এদিকে সরকার ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নির্ধারিত স্থানেই বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন হবে এবং সারা দেশে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি বা ভাস্কর্য নির্মাণের পূর্ব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে। তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতা বরদাস্ত করা হবে না।

বিগত বছরে সরকারের একটি বড় সফলতা পদ্মা সেতু। বছরের শেষ সময় আলোচিত এ সেতু দৃশ্যমান হয়। দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর নিজস্ব অর্থায়নে এ সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন শেখ হাসিনা।

এর পাশাপাশি গত এক বছরে এই সরকারের নেওয়া অন্যান্য কাজও এগিয়ে গেছে। করোনার মধ্যেও কার্যক্রম অব্যাহত থাকায় এগিয়ে গেছে দেশের সর্ববৃহৎ প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ কাজ। রাজধানীতে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের কাজও এগিয়ে যাচ্ছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর