Logo
শিরোনাম

শাহবাগে সাংবাদিকদের উপর হামলায় সাংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:রবিবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | ৯৯৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

৯ ই সেপ্টেম্বর শাহবাগের জনসমাবেশে সাধারণ নারী-পুরুষ শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের উপর পুলিশের নৃশংস হামলা-নির্যাতনের প্রেক্ষিতে ও নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ এর দাবীতে প্রতিবাদী সাংবাদ সম্মেলন।

শ্রদ্ধেয় গণমাধ্যম প্রতিনিধিগণ- আপনারা অবগত আছেন আমরা গতকাল সকালে প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে আপনাদের অবগত করে চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ এর দাবিতে শাহবাগে জনসমাবেশ আয়োজন করি যেখানে প্রায় ৫০০ সাধারণ শিক্ষার্থী তথা চাকরি প্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়।

জনসমাবেশের এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা শাহবাগ চৌরাস্তায় অহিংসভাবে অবস্থান নেয়। পুলিশের সাথে নিয়মিত বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। রাস্তা থেকে সরে যাওয়ার পরেও অতর্কিত শুরু হয় এডিসি হারুনের নেতৃত্বে নৃশংস হামলা ও নির্যাতন। রাজপথে প্রকাশ্যে হায়েনার মতো ঝাপিয়ে পড়েন তারা৷ পুরুষ পুলিশ সদস্যরা নারীদের উপর নির্যাতনও বাদ দেন নাই। আপনাদের নিকট আমরা কয়েকটি প্রশ্ন রাখতে চাই-

Ø  রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার পরেও কেন এডিসি হারুন অতীতের ন্যায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলে পড়লেন? এ বিষয়ে উপর মহল থেকে তিনি কি নির্দেশনা প্রাপ্ত হয়েছিলেন?

Ø  কোন বিধি বা আইন মোতাবেক পুরুষ পুলিশ সদস্য নারী শিক্ষার্থীদের উপর রাজপথে প্রকাশ্য নির্যাতন করেন? এটি কি নারী নির্যাতন নয়?

Ø  অনেকজন সাংবাদিককে প্রকাশ্যে পুলিশের টিম গতকাল পিটিয়েছেন। এই অধিকার তাদের কে দিয়েছে?

Ø  সকল প্রকার হামলা ও নির্যাতনের ভিডিও ফুটেজ সকল ধরনের অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় গতকাল থেকে ভাইরাল হয়েছে। এই বিষয়ের সুষ্ঠু বিচারের দাবী আমরা জানাই। সাংবাদিক বন্ধুরা আপনাদের ভূমিকা কি হবে?

Ø  নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখের পরেও সরকার শিক্ষার্থীদের নিয়মিত উপেক্ষা করে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ব্যতীত সকল উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের নিকট আমরা করুণভাবে দাবি জানিয়ে আসছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে গত তিন মাসে অন্তত: ৫ (পাঁচ) বার দেখা করার অনুমতি চেয়ে আমরা ডকুমেন্ট দিয়েছি। যোগাযোগ করেছি জনাব ফজলে শামস্ পরশ (যুবলীগ চেয়ারম্যান), গাজী লিকু (এপিএস, পিএম)। আপনারা আমাদের দয়া করে বলতে পারেন কি করলে এদেশের সাড়ে পাঁচ লক্ষ উচ্চশিক্ষিত ছেলেমেয়েদের প্রতিনিধিরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ পেতে পারে?

পূর্বের বিষয়বস্তু

প্রিয় কলম যোদ্ধা সাংবাদিক বন্ধুগণ - আপনারা অবগত আছেন বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষিত যুব সমাজ বিগত এক যুগ ধরে সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ বছর থেকে বৃদ্ধি করে ৩৫ বছরে উন্নীতকরণের গঠনমূলক ও যৌক্তিক দাবি জানিয়ে আসছে।  কোভিড-১৯ এর আঘাতে সকল বয়সী শিক্ষার্থীরা ২ বছরের অধিক সময় হারানোর পর বর্তমান যুব প্রজন্ম সাংবিধানিক অধিকার সুযোগের সমতা বঞ্চিত হয়ে আবারও চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীতকরণের দাবি জানিয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট। এই প্রক্রিয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট খোলা চিঠি প্রদান করা হয়েছে; তাঁর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা জনাব গাজি লিকুর মাধ্যমে ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুব লীগের সম্মানিত চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।  জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে আমরা যোগাযোগ করেছি স্মারকলিপি দিয়ে।

২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত সংবাদে দলীয় সাধারণ সম্পাদক জনাব ওবায়দুল কাদের স্টেটমেন্ট দিয়েছিলেন কয়েক মাসের মধ্যেই চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করা হবে। গত ২৫শে আগস্ট আমরা ধানমন্ডি দলীয় কার্যালয়ে আমরা উনার সাথে স্বাক্ষাত করলে আবারও বিবেচনার আশ্বাস দেন। জনপ্রশাসন সম্পর্কিত পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন " আমরা কমিটি থেকে তো বাস্তবতার নিরিখে বয়সসীমা ৩৫ বাস্তবায়নের জন্য অনেক আগেই সুপারিশ করেছি। কিন্তু প্রতিমন্ত্রী মহোদয় তো এই বিষয়ে অগ্রসর হন না"। পিএসসি চেয়ারম্যান জনাব সোহরাব হোসাইন এর সাথে এই টিম দেখা করলে তিনি বলেন, "সরকার যদি নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী বয়সসীমা বৃদ্ধি করে সেটাতে পিএসসির কোন আপত্তি নেই"। সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আমাদের উপলব্ধি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখা হাসিনার সাথে দেখা করলে এই বিষয়টি উনাকে উপলব্ধি করানো জেতে পারে। কিন্তু আমরা অনেকভাবে চেষ্টা করেও সেই সুযোগ বা প্রবেশাধিকার পাইনি। আপনাদের মাধ্যমে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করার সুযোগ প্রাপ্তির জোরালো আবেদন জানাচ্ছি।

সেই সাথে রাজপথের কর্মসূচীও করা হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তথা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এত বড় জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সরকারের উপেক্ষা স্বাভাবিকভাবেই এদেশের যুব প্রজন্মকে যারপরনাই হতাশ করছে। তাদের মধ্যে এই মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটছে যে আমাদেরকে কি সরকারের কখনোই লাগবে না নাকি আমরা এই দেশের ভাড়াটে নাগরিক!

প্রিয় রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভের প্রতিনিধিগণ ২০১৮ সালের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধির অঙ্গীকার উল্লেখ করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের প্রায় ৪ বছর পেরিয়ে আর একটি নির্বাচন আসন্ন এমন সময়েও উক্ত ওয়াদা বাস্তবায়ন করেনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আদর্শের রাজনীতি করা এই দলটি। করোনা ২ বছরের অধিক সময় কেড়ে নেওয়ার পর বয়সসীমা হারিয়ে ফেলা চাকরীপ্রত্যাশী উচ্চশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষাধিক।

নিত্তনৈমিত্তিক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে সারা বাংলাদেশজুড়ে। জাতীয় সংসদে এখন অবধি ৭১ বার (মহামান্য রাষ্ট্রপতি, তৎকালীন স্পীকার জনাব আব্দুল হামিদসহ) বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবিটি উত্থাপিত হয়েছে যার সাম্প্রতিক উদাহরণ জাতীয় পার্টির সাংসদ জনাব শামীম হায়দার পাটোয়ারীর ব্যক্তব্য। বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়য়সীমা ২৭ থেকে ৩০ বছরে উন্নীত হয় এখন থেকে ৩১ বছর আগে ১৯৯১ সালে, সেটাও অন্য সরকারের আমলে।

তখন গড় আয়ু ছিলো ৫৭ বছর আর এখন ৭৩। বিশ্বের ১৬২টি দেশে আমাদের চেয়ে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা অধিক। বাংলাদেশের জাতীয় যুবনীতিতে যুবকের সংজ্ঞায় ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়স বলা হচ্ছে আবার এখানে ৩০ বছরে আটকে দেওয়া হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ। অথচ জনপ্রশাসন সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি লিখিতভাবে বয়সসীমা ৩৫ অনুমোদন করার জন্য সুপারিশ করেছেন

 

নিউজ ট্যাগ: সাংবাদ সম্মেলন

আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর