অবশেষে কাঙ্ক্ষিত
উইকেটের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশের বোলাররা। দুই সেঞ্চুরিয়ানের একজনকে ফেরালেন পেসার ইবাদত।
পাঁচ উইকেট শিকার করে শ্রীলংকাকে অলআউট করে দিয়েছে বাংলাদেশ।
সবকটি উইকেট হারিয়ে
৫০৬ রানে প্রথম ইনিংস শেষ করল শ্রীলংকা। ১৪১ রানের বড় লিড নিয়েছে সফরকারীরা। ১৪৫ রানে
অপরাজিত থেকে গেলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস।
এক বল আগে চমৎকার
পুলে বাউন্ডারি মেরে লিড ১০০ স্পর্শ করেন দিনেশ চান্দিমাল। পরের বলেই কাভারে তামিম
ইকবালের দারুণ ক্যাচে বিদায় নিলেন এই অভিজ্ঞ মিডল অর্ডার ব্যাটার।
ইবাদত হোসেনের
তৃতীয় উইকেটে ভাঙে ৪১৫ বল স্থায়ী ১৯৯ রানের জুটি। ২১৯ বলে ১১ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায়
১২৪ রানে শেষ হয় চান্দিমালের ইনিংস।
অন্যপ্রান্তে
দেড়শ ছোঁয়ার আশায় থাকা ম্যাথুসকে না হারাতে পারলেও চান্দিমালের প্রান্ত ঠিক মতো ধরে
রাখতে পারেনি লঙ্কান ব্যাটাররা।
নিরোশান ডিকভেলা
বেশিক্ষণ ম্যাথুসের সঙ্গী হতে পারেননি।
দিনের প্রথম সাফল্য
পান সাকিব আল হাসান। সাকিব আল হাসানকে উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এসে খেলেন নিরোশান ডিকভেলা।
ব্যাটসম্যানের মুভমেন্ট বুঝতে পেরে বল অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে করেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি
স্পিনার।
ঠিকমতো ব্যাটে
লাগাতে পারেননি ডিকভেলা। অনেকটা স্লো বল লিটন গ্লাভসে জমিয়ে ভেঙে দেন স্টাম্প। কট বিহাইন্ড
আউট হন ডিকভেলা।
এক চারে ৯ বলে
৯ রান করে ফেরেন তিনি। সাকিবের চতুর্থ শিকার তিনি।
টিকতে পারেননি
রমেশ মেন্ডিসও। মাত্র ১০ রানে ইবাদতের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেছেন তিনি। মিডল-স্টাম্প
লাইনে পড়ে হালকা ভেতরে ঢোকা বলের লাইন মিস করেন রমেশ। বল প্যাডে আঘাত করলে জোরালো আবেদন
করেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। এরপরই ফের সাকিবের আঘাত।
প্রবীন জয়াবিক্রমাকে
শূন্য রানে ফেরালেন তিনি। সাকিবের ঝুলিয়ে দেওয়া বল ডিফেন্স করেন জয়াবিক্রমা। কিন্তু
টার্নের সঙ্গে বাড়তি বাউন্স করা বলটি ব্যাটে খেলতে পারেননি তিনি। গ্লাভসে হালকা ছুঁয়ে
বল জমা পড়ে কিপার লিটন দাসের গ্লাভসে।
ফের ফাইফারের
স্বাদ নিলেন সাকিব।