দক্ষিণ আফ্রিকা
সিরিজ নিয়ে সাকিব বলেন, আমি মানসিক ও শারীরিকভাবে সে অবস্থায় আছি, আমার মনে হয় না আমার
পক্ষে এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা সম্ভব। এ কারণেই আমার মনে হয় আমি যদি একটা
ব্রেক পাই, আমি যদি ওই আগ্রহটা ফিরে পাই, তাহলে আমার জন্য খেলাটা সহজ হবে।
আজ মিরপুরে সাংবাদিকদের
সঙ্গে আলাপকালে ক্ষোভ ঝাড়লেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনও। তিনি সরাসরি বলে দিলেন,
সাকিব না খেলতে চাইলে খেলবে না। আই ডোন্ট কেয়ার। আমি মনে করি বিসিবিও কনসার্ন না।
সাকিব বার বার
নিজের ইচ্ছেমতো খেলতে চান, আবার হঠাৎ করে বলেন খেলবো না। এটাকে আর চলতে দেওয়া যায় না
বলেই মন্তব্য করেছেন সুজন। তিনি বলেন, আমার মনে হয় এখন সবচেয়ে বড় সময়। বোর্ডের উচিত
একটা ফুলস্টপ করা। ইটস অ্যানাফ। এটা বারবার এমন হতে পারে না যে, আমি চাইলাম খেললাম,
চাইলাম খেললাম না। এখন শুধু সাকিবের কথা বলছি না, সবাইকে ছাড়াই ভাবার সুযোগ এসেছে।ব্রেক
হলে ফুল ব্রেক। কেউ তোমাকে আটকাবে না। বিসিবি সভাপতিও বলতে যায় এভাবে। উনি একটু আস্তে
বলেছেন আমি একটু জোরে বললাম।
তামিম ইকবাল সম্প্রতি
টি-টোয়েন্টি থেকে ছয় মাসের ছুটি চেয়েছেন। মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, বায়োবাবল যতদিন
থাকবে ততদিন টেস্ট খেলবেন না।
খালেদ মাহমুদ
সুজন এ ব্যাপারে বলেছেন, সাকিব-তামিম একটা সিরিজ না খেললে ওই জায়গায় নতুন কাউকে সুযোগ
দেওয়া হবে। আবার ওরা ফিরলে ওই ছেলেটার কী হবে? সিনিয়র ক্রিকেটারদের প্রয়োজন অপরিসীম।
কিন্তু ওদের ছাড়া দল হবে না এমন নয়। তারা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। কিন্তু তারা
না খেললে যে দেশের ক্রিকেট বন্ধ হয়ে যাবে তা নয়। জোর করে তো কাউকে খেলানো যাবে না।
তাদের জায়গায় অন্য যারা সুযোগ পাবে তাদের জন্য বড় সুযোগ হবে।
অন্য এক প্রশ্নে
এই প্রসঙ্গে সুজন বলেন, বাংলাদেশ দল কারও জন্য বসে থাকবে না। এটা ভাবা ভুল। আপনারা
যেমন ভাবেন, এটা ছাড়তে হবে। হ্যাঁ, তারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। দুই-তিন বছর
পর ওদের ছাড়াই খেলতে হবে। নতুনরা আসছে। এটাই তো স্বাভাবিক। এটা একটা প্রসেসের মধ্যে
যাবে। তবে আমরা চাই সেরা দলে সেরা ক্রিকেটাররা খেলুক। খেলা না খেলা একদম ক্রিকেটারের
ওপর ছেড়ে দেয়া ঠিক না। তবে কথা বলে নেয়াটা ভাল।