দীর্ঘদিন পর অভিনয়ে ফিরলেন নবাবকন্যা সোহা আলী খান। ‘হাশ হাশ’ নামের একটি সিরিজে ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টের চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। সিরিজটি ২২ সেপ্টেম্বর আমাজন প্রাইমে মুক্তি পায়। গল্পটা চার বন্ধুর, যারা একই কমপ্লেক্সে থাকে আর তাদের জীবনে এমন কিছু ঘটে, যা তাদের আরও কাছাকাছি নিয়ে আসে।
সোহা বলেন, সিরিজে আমি একজন সাংবাদিক। চরিত্রটির ভয়ডর একটু কম। মুখের ওপর সব বলে দেয়। এ রকম চরিত্রে আমি কমই অভিনয় করেছি। তবে বাস্তবজীবনে আমি এমনই। ছোটবেলায় গোয়েন্দা কর্মকর্তা হতে চেয়েছিলেন সোহা। বাস্তবে সেটা হতে পারেননি, তবে সিরিজের চরিত্রটা সেই স্বপ্ন পূরণ করেছে কিছুটা হলেও। সোহা তাই বেশ খুশি। আমরা দিল্লিতে থাকতাম। আমাদের খুব বড় পরিবার ছিল। খুব শখ ছিল ডিটেক্টিভ হওয়ার। পরে অবশ্য ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টও হতে চেয়েছিলাম। আমি সবার কাছে গিয়ে দেখতাম, কে কী করছে। তারপর সেসব একটা ছোট্ট নোটবুকে লিখে রাখতাম। একদিন বাবা আমাকে ডেকে বলেন এসব না করতে, তখন ওসব বন্ধ করে দিই। পরে ডায়েরি লেখা শুরু করি।
‘হাশ হাশ’ সিরিজের মূল চরিত্রগুলো নারী। অভিনয় করছেন জুহি চাওলা, আয়েশা জুলকা, কারিশমা তান্না, কৃতিকা কামরা ও সাহানা গোস্বামীর মতো অভিনেত্রীরা। পরিচালনা করেছেন তনুজা চন্দ্রা। কেমন অভিজ্ঞতা হলো? সোহা বলেন, একটা স্বাভাবিক বোঝাপড়া তো থাকেই। এই সিরিজের শুটিং হয়েছিল কোভিডের সেকেন্ড ওয়েভের সময়ে, বায়োবাবলের মধ্যে। শুটিংয়ের সময়ে প্রত্যেকের জন্য আলাদা মেকআপ ভ্যান ছিল। কিন্তু সেটে আমরা সব সময় একসঙ্গে সময় কাটাতাম।
মেয়ে ইনায়ার জন্মের পর সিনেমার সংখ্যা বেশ কমিয়ে দিয়েছেন সোহা আলী খান। অনেকেই কিন্তু সন্তান জন্মের কিছুদিন পরই শুটিং শুরু করে দেন। সোহা বলেন, আমি একসঙ্গে অনেক কাজ করতে পারি না। একবারে একটা কাজই করি। মেয়ে হওয়ার পরে দুই বছরের একটা বিরতি নিয়েছিলাম। কিন্তু এখন মনে হয়, অত লম্বা বিরতি না নিলেই হতো। সেই সময় তো আমি অভিনয় বাদ দিয়ে ঘুরে বেড়ানো, বই লেখা, ওয়ার্কআউট... সবই করেছি। আসলে কর্মজীবনে ভারসাম্য রাখাটা খুব জরুরি। আমার মনে হয়, ইন্ডাস্ট্রিতে আমি খুব কম সময় দিয়েছি, খেয়ালখুশিমতো অভিনয় করেছি। তাই ইন্ডাস্ট্রিও আমাকে খুব বেশি সফলতা দেয়নি।