সারা দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় থাকায় চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, বিহার ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বর্তমানে উত্তর প্রদেশ ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে।
দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পাবনা, টাঙ্গাইল, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালি, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পরবর্তী তিন দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।
রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায়
চট্টগ্রাম বিভাগের কোনো কোনো জায়গায় অতিভারি বৃষ্টি হয়েছে। এ সময় সবচেয়ে বেশি সন্দ্বীপে ৯৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজারে ৮৪
ও কুতুবদিয়ায় ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ঢাকায় মাত্র ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে
বলেও জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রবিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে
৩৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হাতিয়া ও কুতুবদিয়াতে ২৫
দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, বিহার ও এর কাছাকাছির
এলাকায় অবস্থারত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বর্তমানে উত্তর প্রদেশ ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান
করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বাড়তি অংশ রাজস্থান, হরিয়ানা, সুস্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল,
বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
এর বাড়তি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।