বরিশাল, চট্টগ্রাম
ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগের
অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা
বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তী দু’দিনে বৃষ্টিপাতের
প্রবণতা কমতে পারে। পরের ৫ দিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
এছাড়া চট্টগ্রাম,
কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে সতর্ক সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। উত্তর
বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে
ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। খবর বাসসের।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে
অবস্থানরত মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারসমূহকে শনিবার সকাল পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে বলা
হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা
৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে
খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে।
ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিও হতে পারে এ কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি
এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধ্বসের সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে
বলা হয়েছে, বাংলাদেশের খুলনা-সাতক্ষীরা ও এর কাছাকাছি পশ্চিমবঙ্গ এলাকায় অবস্থানরত
স্থল নিম্নচাপটি বর্তমানে সুস্পষ্ট লঘুচাপ হিসেবে বিহার ও এর আশপাশে পশ্চিমবঙ্গ এলাকায়
অবস্থান করছে। পশ্চিমবঙ্গে আবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে উত্তর-পশ্চিম
দিকে আগ্রসর হতে পারে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।
সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত
গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের কোনো কোনো জায়গায় অতিভারি বৃষ্টি হয়েছে। এ সময় সবচেয়ে
বেশি ফেনীতে ১৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া চট্টগামে ১১৭ ও কুতুবদিয়ায় ৯৫ মিলিমিটার
বৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ঢাকায় ১২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলেও জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।