‘আগে দর্শনধারী পরে গুণবিচারী’-বহুল প্রচলিত এ প্রবাদটি যতটা জনপ্রিয় ততটা যৌক্তিকও বিবেচনা করা হয়।
এখানে যে দর্শন শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে তা বাহ্যিক সৌন্দর্যের দিকে ইঙ্গিত করে। একজন
মানুষের জন্মের মাস দেখে যেমন একটি মানুষের জীবন, আচরণ এবং তার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে
অনেক ধারণা পাওয়া যায়, তেমনি তার অবয়ব দেখেও অনেক কিছুই বলা যায়। কারণ এটা বিশ্বাস
করা হয়ে থাকে, মুখই হলো মানুষের মনের দর্পণ।
জ্যোতিষ শাস্ত্র
মতে, মানুষের মুখের কিছু বৈশিষ্ট্য দেখেই বোঝা যায় তার চরিত্র। ছেলে বা মেয়ে সবার
মুখের মধ্যেই তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ফুটে ওঠে। শুধু মুখই নয়, পাশাপাশি শারীরিক আরও
অনেক বৈশিষ্ট্য দেখে বলে দেওয়া যায় আসলে সেই মানুষটি কেমন।
মুখের আকৃতি: যাদের
মুখ লম্বার তুলনায় চওড়া কম তারা পরিস্থিতি অনুযায়ী সচেতন থাকেন এবং সিদ্ধান্ত নেন।
আবার যাদের মুখ লম্বার তুলনায় চওড়া বেশি তারা জন্মগতভাবেই খুব আত্মবিশ্বাসী হন, বলছেন
বিশেষজ্ঞরা।
ঠোঁট ও নাকের দূরত্ব: সেন্স অফ হিউমার বা রসবোধের ক্ষমতা একটি বিশেষ গুণ, যা সব মানুষের মধ্যে
থাকে না। এ ক্ষেত্রে উপরের ঠোঁট এবং নাকের মধ্যে দূরত্ব কতটা তা দেখলেই বোঝা যায় কার
রসবোধ কেমন? যার দূরত্ব যত বেশি হবে, তার রসবোধও তত বেশি হবে।
নাকের ছিদ্র: নাকের
ছিদ্র দেখেও অনেক কিছু বলা যায়। নাকের ছিদ্র বড় হলে, সেই মানুষটি খুবই কর্মনিপুণ এবং
তার কল্পনাশক্তি প্রবল হয়। আর নাকের ছিদ্র ছোট হলে তাদের খুব একটা বড় মনের পরিচয় পাওয়া
যায় না এবং তারা অনেকের কাছেই অপ্রিয় হয়।
দাঁতের উপর দাঁত: যাদের দাঁতের উপর দাঁত থাকে, তারা খুবই বুদ্ধিমান, ভাগ্যবান ও সৃজনশীল
প্রকৃতির হয়। সেইসঙ্গে তাদের ভোগ-বিলাসিতার উপর আসক্তি খুব বেশি থাকে।
ঠোঁট: যার উপরের
ঠোঁট যত বেশি মোটা হয়, তার কথায় ও আচরণে তত বেশি ভদ্রতা এবং মহত্ব থাকে।
ভ্রূ: যেসব মেয়েদের
ভ্রূ চোখ থেকে যত বেশি উপরে থাকে তার আত্মকেন্দ্রিকতা তত বেশি হয়। সে নিজস্ব পছন্দ
অপছন্দকে বেশি গুরুত্ব দেয়। আর দুটি ভ্রূয়ের মধ্যে দূরত্ব যত বেশি থাকে, সহ্য ক্ষমতাও
তত বেশি হয়।
বুকে লোম: যাদের বুকে
অত্যধিক লোম থাকে, তাদের দাম্পত্য জীবন খুবই সুখকর হয়। পাশাপাশি এদের শক্তি ও বুদ্ধির
জোরও খুব বেশি হয়। আর যাদের বুকে বেশি লোম থাকে না, তারা অনেকেই বুদ্ধিমান হয়। আবার
অনেকে একটু স্বার্থ নিয়ে চলতে পছন্দ করে।
চোখের মণি: চোখের
মণির রং দেখেও অনেক কিছু বোঝা যায়। যার মণির রং যতটা গাঢ় তার মনের গভীরতা ও আকর্ষণ
ক্ষমতাও ততই বেশি।
চোখের পাতা: যাদের
চোখের পাতা যত বেশি মোটা হয়, তারা স্পষ্ট মনোভাবের হন। আর যাদের চোখের পাতায় কোনো
ভাঁজ নেই, তারা খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নেন।