দেশে করোনাভাইরাসের ভয়ংকর রূপ দেখা দিয়েছে। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে দিনকে দিন মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে ১৪ দিনের ‘শাটডাউন’ দেওয়ার সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
আজ শুক্রবার (২৫ জুন) সকালে ঢাকায় প্রবেশ ও বাহিরের অন্যতম সড়ক গাবতলী এলাকা, ঢাকা- মাওয়া রোড, ঢাকা-চট্টগ্রাম রোড। সবকিছু উপেক্ষা করেই ছুটছেন নারী-পুরুষেরা। ১৪ দিনের শাটডাউনের কথা শুনেই আগেআগে রাজধানী ছাড়ছেন তারা। আজ ছুটির দিনের সকালে রাজধানীর প্রবেশমুখে মানুষের ঢল নামে। বাস বন্ধ থাকায় ভেঙে ভেঙে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে ছুটছেন সাধারণ মানুষ। প্রতিটি গাড়িকেই পুলিশের তল্লাশি চৌকি পার হতে হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনো গাড়িকেই ঢাকায় ঢুকতে বা বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু ঠেকানো যাচ্ছে না পায়েহাঁটা মানুষের ঢল।
বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়াঘাটে সহকারী ব্যবস্থাপক (বানিজ্য) ফয়সাল আহমেদ জানান, নৌরুটে বর্তমানে ১৪টি ফেরি সচল রয়েছে। লকডাউনের নিয়ম অনুযায়ী লকডাউনের আওতামুক্ত গাড়ি পারাপারের কথা থাকলেও যাত্রীরা ঘাটে আসছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) সন্ধ্যায় করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরণ ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে সারা দেশে নতুন করে কমপক্ষে ১৪ দিনের ‘শাট ডাউন’ সুপারিশ করেছে করোনায় গঠিত কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি কমিটি। কোভিড কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এই ১৪ দিন জরুরি সেবা ছাড়া যানবাহন, অফিস-আদালতসহ সব কিছু বন্ধ রাখা প্রয়োজন। এতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ রোগের বিশেষ ডেলটা প্রজাতির সামাজিক সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে ও দেশে ইতোমধ্যেই রোগের প্রকোপ অনেক বেড়েছে। এই প্রজাতির জীবাণুর সংক্রমণ ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বিশ্লেষণে সারাদেশেই উচ্চসংক্রমণ, পঞ্চাশোর্ধ্ব জেলায় অতি উচ্চ সংক্রমণ লক্ষ্য করা যায়। রোগ প্রতিরোধের জন্য খণ্ড খণ্ড ভাবে নেওয়া কর্মসূচির উপযোগিতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।