Logo
শিরোনাম

সবার কাছে তো ভালোবাসার পাত্র হওয়া যায় না: শুভ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৫২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

দিন ধরে শোনা যাচ্ছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক মুজিব: দ্য মেকিং অব আ নেশন-এর কিছু দৃশ্যের রি-শুট হবে। এছাড়া পোস্ট প্রোডাকশনেও নাকি যুক্ত হয়েছে ভারতের শীর্ষস্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠান। যদিও রি-শুটের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে কাছে দাবি করেছেন সিনেমাটির সহকারী পরিচালক ও কাস্টিং ডিরেক্টর বাহাউদ্দিন খেলন। বিষয়টির সূত্র ধরে যোগাযোগ করা হয় এই ছবির মূলনায়ক আরিফিন শুভর সঙ্গে। খেলনের সুরে তিনিও জানালেন, একই কথা।

সাধারণত কোনও নাটক বা সিনেমার শুটিং শেষ হয়ে যাওয়ার পর সম্পাদনার টেবিল ঘুরে কিছু টুকটাক দৃশ্য ধারণ করা হয়। যেগুলো প্রয়োজনভেদে সিনেমার বিভিন্ন দৃশ্য জোড়া লাগাতে ব্যবহার করা হয়। তবে মুজিব-এর ক্ষেত্রে সেটা প্যাচ-শুট নাকি রি-শুট, তা তিনি জানেন না। তার দাবি, আসলে এই বিষয়ে পুরোটা তারা (নির্মাণ সংশ্লিষ্টরা) জানেন। আমাকে এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি। রি-শুট হবে কিনা, তাতে আমাকে লাগবে কিনা, এসব কিছুই আমি জানি না। কান উৎসব থেকে ফেরার পর আমি ব্যক্তিগত ব্যস্ততা নিয়ে আছি। যতদূর জানি, পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ চলছে।

মুজিব প্রসঙ্গ শেষ হতেই আরও কিছু বিষয় উঠে আসে আলাপে। নূর, নতুন সিনেমা এবং ব্যক্তিগত কিছু ভাবনার কথা শুনিয়েছেন এই নায়ক। ছবিটি নির্মাণ করছেন হালের সফল নির্মাতা রায়হান রাফী। কিছুদিন আগে সিনেমাটি সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়া হয়। কিন্তু ছাড়পত্রের বদলে মেলে সংশোধনীর আদেশ। রাফী জানিয়েছেন, সংশোধনী সেরে সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই সিনেমাটি পুনরায় জমা দেবেন।

এই জটিলতা প্রসঙ্গে আরিফিন শুভ বললেন, ওটা কেন হয়েছে, তা নির্মাতা ভালো বলতে পারবেন। শুটিংয়ের পর আমাকে ডাবিংয়ে ডাকা হয়েছে, আমি করে দিয়েছি। এখন পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ কি আমি করবো? এই কাজ কি অভিনেতা করে? আমি তো আমার কাজটি করেছি। নূর-এর শুটিং হয়েছে অনেক আগে। এর মধ্যে আমাদের পরিচালকের অনেকগুলো কাজ শুটিং শেষে মুক্তিও পেয়েছে। এখন নূরর কাজ কেন শেষ হচ্ছে না, তা আমি বলতে পারছি না।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে নূর সিনেমার একটি পোস্টার প্রকাশ হয়। সেখানে একেবারে ভিন্ন অবতারে হাজির হন আরিফিন শুভ। তার মতে, নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে সিনেমাটির কাজ করেছেন। বললেন, যে রূপে দেখা গেছে, সেভাবে আরিফিন শুভকে কি আগে দেখা গেছে? যায়নি। এই ভয়াবহ লুক দেখলেই তো বোঝা যায়, আমি কাজটার প্রতি কতটুকু কী দিয়েছি। এখন অবধি আমি আশাবাদী। আসলে আমরা পুরো টিম মিলে কাজটি করেছি। এখানে একনায়কতন্ত্রের কিছু নেই। যারা ভাবে এটা একনায়কতন্ত্র, তারা ডিক্টেটর। কিন্তু আমার ভাবনা থাকে, প্রত্যেকটা মানুষকে নিয়ে কাজ করা। যে ছেলেটা লাইটের কাজ করে, যে ট্রলি ঠেলে অথবা যে ছেলেটা চা নিয়ে আসে; তার কাছ থেকেও কিন্তু অসাধারণ পরামর্শ পাওয়া যায়।

ঘোষণার বাইরে নতুন কোনও সিনেমায় কাজ করছেন কী? এমন প্রশ্ন শুনে কৌশলী পথ বেছে নেন শুভ। তার ভাষ্য, আকাশে চাঁদ উঠলে দেখা যায়, বলে দিতে হয় না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমি অনেকের চক্ষুশূল, আবার অনেকের ভালোবাসার পাত্র। সবার কাছে তো ভালোবাসার পাত্র হওয়া যায় না। আমার দর্শন হলো, আওয়াজে বিশ্বাসী নই, কাজে বিশ্বাসী। ওই যে বৃক্ষ তোমার নাম কী? ফলে পরিচয়। কাজটা করে নিই আগে, তারপর বলা যাবে। আর বলা বন্ধ করে দেওয়ার পেছনে একটা কারণ আছে; বলি একটা, মানুষ বোঝে আরেকটা। তাই বলাই বন্ধ করে দিয়েছি।

শুভর কথায় বড় চমকের ইঙ্গিত পাওয়া গেলো। কিন্তু রহস্যভেদ করতে নারাজ নায়ক। তার কথা, আমার তো অন্য কোনও প্রফেশন নেই। এই একটাই আমার রুটি-রুজি, পেশা-নেশা সবকিছু। এটা নিয়েই কাজ করছি, দেখা যাক। কাজটা করি, দর্শক যাতে প্রতারিত না হয়, সেই চেষ্টা থাকে। এমনকি আমার নিন্দুক যারা, তারাও কিন্তু বিশ্বাস করে যে, আমি আমার সর্বোচ্চটুকু দিয়ে করি। সেটার প্রমাণ বহুবার দিয়েছি। এমন অনেক কাজ আছে, যেটার হয়ত পুরোটা পছন্দ হয়নি, কিন্তু আমার চেষ্টাটা পর্দায় দেখা গেছে।

দীর্ঘদিন ধরে শুভর মা অসুস্থ। প্রায়শই তাকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন, ভিডিও শেয়ার করেন। যা দেখে মুগ্ধ হন অনুসারীরা। মায়ের শারীরিক অবস্থা ও পোস্ট প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ মা এখন স্থিতিশীল আছেন। আর পোস্টগুলো দেওয়ার পেছনে আলাদা কোনও ভাবনা নেই। স্বাভাবিকভাবেই দেই। যারা আমাকে ভালোবাসেন, তাদের জন্য বলা যায়।

দেশের সিনেমায় নতুন এক জোয়ার এসেছে বলে মনে করছেন অনেকে। পরপর কয়েকটি সিনেমা দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। এ বিষয়ে আরিফিন শুভর পর্যবেক্ষণ, এটা আগেও হয়েছে। কিন্তু ধারাবাহিকতা থাকেনি। সৃষ্টিকর্তার কাছে আমার শুধু একটাই চাওয়া, এটার ধারাবাহিকতা থাকুক। সবগুলো কাজ ভালো, এটা পৃথিবীর কোথাও হয় না। একটু ভালো, একটু খারাপ, কাজ আসতে থাকুক। মানুষের হলে আসার অভ্যাসটা নষ্ট না হোক। ভেদাভেদ, কাদা ছোড়াছুঁড়ি, ব্যক্তিগত বিষয়গুলোকে একটু ত্যাগ করি। বৃহত্তর স্বার্থে ক্ষুদ্রতম স্বার্থকে বিসর্জন দেওয়া আরকি।

নিউজ ট্যাগ: আরিফিন শুভ

আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর