আগামীকাল সোমবার থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি
সাশ্রয়ে রাত ৮টার পর সারাদেশে দোকান, বিপণি-বিতান, মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে
সরকার। তবে সিনেমা হল, তরিতরকারির দোকান, সেলুন, পান, বিড়ি, সিগারেটসহ বেশকিছু প্রতিষ্ঠান
এই নির্দেশনার বাইরে থাকবে।
রোববার (১৯ জুন) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে
অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম
মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন,
এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন, এফবিসিসিআই, এমসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বাংলাদেশ দোকান মালিক
সমিতি, ঢাকা চেম্বারসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী মালিক সংগঠন এবং শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি
এবং বাণিজ্য, বিদ্যুৎ, শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
রাত ৮টার পর খোলা থাকবে যেসব প্রতিষ্ঠান
>>ডক, জেটি, স্টেশন, বিমানবন্দর
এবং পরিবহন সার্ভিস টার্মিনাল অফিস।
>>তরিতরকারি, মাছ, মাংস, দুগ্ধজাতীয়
সামগ্রী, রুটি, পেস্ট্রি, মিষ্টি এবং ফুল বিক্রির দোকান।
>>ওষুধ, অপারেশন সরঞ্জাম, ব্যান্ডেজ
অথবা চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান।
>>দাফন ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পাদনের
জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রির দোকান।
>>তামাক, সিগারেট, পান-বিড়ি, বরফ,
খবরের কাগজ, সাময়িকী বিক্রির দোকান এবং দোকানে বসে খাওয়ার (হালকা) নাশতা বিক্রির
খুচরা দোকান।
>>খুচরা, পেট্রল বিক্রির জন্য পেট্রলপাম্প
এবং মেরামত কারখানা নয় এমন মোটরগাড়ির সার্ভিস স্টেশন।
>>নরসুন্দর এবং কেশ প্রসাধনীর দোকান।
>>যেকোনো ময়লা নিষ্কাশনকারী প্রতিষ্ঠান
ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র।
>>যেকোনো শিল্প, ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠান
যা জনগণকে শক্তি আলো অথবা পানি সরবরাহ করে এমন প্রতিষ্ঠান।
>> ক্লাব, হোটেল, রেস্তোরাঁ, খাবার
দোকান, সিনেমা অথবা থিয়েটার।
মুদি দোকানের ক্ষেত্রে কী হবে- সাংবাদিকদের
এমন প্রশ্নের জবাবে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহী বলেন, আইনে
যেসব প্রতিষ্ঠান নির্দেশনার বাইরে থাকবে বলা হয়েছে, তার বাইরে সব ধরনের দোকান বন্ধ
থাকবে। সেক্ষেত্রে মুদি দোকানও রাত ৮টার পর বন্ধ থাকবে।
এর আগে গত ১৬ জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের
মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকের সই করা চিঠিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী
জ্বালানির অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধিজনিত বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের
নিমিত্তে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী সানুগ্রহ নির্দেশনা দিয়েছেন।
এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর
১১৪ ধারার বিধান কঠোরভাবে প্রতিপালনপূর্বক সারাদেশে রাত আটটার পর দোকান, শপিংমল, মার্কেট,
বিপণি বিতান, কাঁচাবাজার ইত্যাদি খোলা না রাখার বিষয়টি যথাযথভাবে নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়
ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।