নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে মালবাহী জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চডুবির ঘটনায় তল্লাশি অভিযানের তৃতীয় দিনে এক শিশুসহ আরও দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকর্মীরা।ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আরেফিন জানান, মঙ্গলবার সকালে বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জ শাহ সিমেন্ট এলাকা থেকে ত্রিশের ঘরের এক পুরুষ এবং হরিহপুর এলাকা থেকে তিন বা চার বছর বয়সী এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। রোববারের ওই ঘটনায় এ নিয়ে মোট দশ জনের লাশ উদ্ধার করা গেল। তাদের মধ্যে সাত জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নৌ পুলিশ জানিয়েছে।
রোববার দুপুর
২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদরের সৈয়দপুর এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন
মালবাহী জাহাজ রূপসী-৯ পেছন থেকে চাপা দিলে ডুবে যায় যাত্রীবাহী লঞ্চ এমএল আফসার উদ্দিন।
নারায়ণগঞ্জ
থেকে মুন্সীগঞ্জগামী লঞ্চে সে সময় অর্ধশতাধিক যাত্রী ছিলেন বলে নৌপুলিশের ভাষ্য। যাত্রীদের
অনেকে সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও নিখোঁজ থাকেন বেশ কয়েকজন।
ফায়ার সার্ভিসের
পাশাপাশি নৌ পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ কর্মীরা উদ্ধার কাজে অংশ নেন। সোমবার ভোরে উদ্ধারকারী
জাহাজ ‘প্রত্যয়’ ৫৫ হাত পানির নিচ থেকে লঞ্চটিকে টেনে তুলে তীরে নিয়ে রাখে।
রূপসী-৯ জাহাজটি এবং এর মাস্টারকে রোববারই মুন্সীগঞ্জের হোসেনদি এলাকা থেকে
আটক করে নৌ-পুলিশ। নারায়ণগঞ্জ থেকে সব পথে ছোট লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।