Logo
শিরোনাম

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ০২ মার্চ 2০২2 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | ৭৮৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা বোমা বিস্ফোরণের মামলায় ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি এক জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) তাকে গ্রেপ্তার করে।

আজ বুধবার (২ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। তাকে গতকাল মঙ্গলবার (১ মার্চ) গ্রেপ্তার করা হয়। তবে গ্রেপ্তাকৃতের নাম-পরিচয় বিস্তারিত প্রাথমিকভাবে জানায়নি পুলিশ।

ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) ফারুক হোসেন জানান, ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০০০ সালের ২০ জুলাই কোটালীপাড়ার একটি স্কুলের পাশে ওই সময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণের জন্য মঞ্চ নির্মাণের সময় মাটিতে পুঁতে রাখা ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পাওয়া যায়। পরদিন ৮০ কেজি ওজনের আরও ১টি বোমা উদ্ধার করা হয় কোটালীপাড়ার হেলিপ্যাড থেকে। তার এক দিন পর নিজের নির্বাচনি এলাকায় দাদার নামে প্রতিষ্ঠিত ওই কলেজ মাঠে জনসভায় শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল। ওই ঘটনায় কোটালীপাড়া থানার পুলিশ বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেছিল।

অভিযোগ করা হয়, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান মহাবিদ্যালয়ের পাশে একটি চায়ের দোকানের পেছনে এই বোমা পুতে রাখা হয়েছিল। বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটিয়ে শেখা হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

পুলিশ তদন্তের পর ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয় ২০০১ সালে। এরপর ২০১০ সালে গোপালগঞ্জ আদালত থেকে মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০২১ সালে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট।


আরও খবর