Logo
শিরোনাম

শেখ হাসিনার আরেকটি বৈশ্বিক অর্জন জাতিসংঘে কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বীকৃতি

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৮১জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

কমিউনিটিভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক একটি রেজুলেশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে জাতিসংঘে সম্প্রতি। প্রথমবারের মতো জাতিসংঘে কমিউনিটিভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক একটি রেজুলেশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

কমিউনিটিভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা: সর্বজনীন স্বাস্থ্য পরিষেবা অর্জনের লক্ষ্যে একটি অংশগ্রহণমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতি শিরোনামের ঐতিহাসিক রেজুলেশনটি সরকারি- বেসরকারি অংশীদারিত্বে বাংলাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিকভিত্তিক মডেল প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য উদ্ভাবনী নেতৃত্বকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিয়েছে।

বাংলাদেশ কর্তৃক প্রস্তাবিত রেজুলেশনটিতে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল উদ্ভাবনী উদ্যোগের ব্যাপক স্বীকৃতি দিয়ে এ উদ্যোগকে দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এই অর্জন জনগণের স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন এবং বৈশ্বিক স্বাস্থ্যসেবায় সাম্য আনয়নে বাংলাদেশের দৃঢ়প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে। সাধারণ পরিষদে রেজুলেশনটি উপস্থাপন করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত। কমিউনিটি ক্লিনিকভিত্তিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থনস্বরূপ জাতিসংঘের ৭০টি সদস্য রাষ্ট্র এ রেজুলেশনটি কো-স্পন্সর করে। বাংলাদেশে সর্বজনীন স্বাস্থ্য পরিষেবা অর্জনে এ রেজুলেশনের ইতিবাচক প্রভাব তুলে ধরা হয়। জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্রগুলো কর্তৃক এ রেজুলেশনের অনুমোদনকে ২০৩০ সালের মধ্যে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা অর্জনের  বৈশ্বিক প্রচেষ্টায় এক অবিস্মরণীয় মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। রেজুলেশনটির সফল বাস্তবায়ন কমিউনিটি ক্লিনিকভিত্তিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

সর্বজনীন স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের নিমিত্তে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে এই রেজুলেশনের সুদূরপ্রসারি প্রভাব রয়েছে। কারণ এটি সদস্য দেশগুলোতে, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই কমিউনিটি ক্লিনিকভিত্তিক মডেল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রবর্তন ও বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বহুপক্ষীয় এবং আঞ্চলিক উন্নয়ন ব্যাংক ও দাতাদের যথাযথ কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য আমন্ত্রণ জানায়। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সব মানুষকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশে এ অনন্য কমিউনিটি ক্লিনিকভিত্তিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চালু করেছিলেন, যা সারাদেশের তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের দোরগোড়ায় সরকারের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার সুফল সরবরাহে বিপ্লব ঘটিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অদম্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় এই স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করবে।

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের পক্ষ থেকে রেজুলেশনটি সদস্য রাষ্ট্রের সঙ্গে নেগোশিয়েশন করেন উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মো. মনোয়ার হোসেন। মিশন গত কয়েক বছর ধরে স্বাস্থ্য কূটনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে এবং এর ধারাবাহিকতায় এই রেজুলেশনটি এই বছরের শুরুর দিকে মিশন সদস্য রাষ্ট্রের বিবেচনার জন্য প্রস্তাব করে। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে গত ৪ মাস নিবিড় আলোচনা ও নেগোশিয়েশনের পরে মঙ্গলবার প্রস্তাবটি সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়েছে। নিরবচ্ছিন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সারাদেশে ১৮ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অদম্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় এই স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করবে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবাগুলো প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে এবং সাধারণ মানুষ সেখানে চিকিৎসা নিতে আসছে। এর ফলে দেশে অনেক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার অভিজ্ঞতা অন্য দেশের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনেক দেশ এখনও মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে পারেনি। সেসব দেশ চাইলে বাংলাদেশ তাদের কাছে আমাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবে। ১৯৯৮ সালে সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক শুরু করলেও ২০০১ সালে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার পর একটি ট্রাস্ট গঠনের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেন, যাতে এটি আর কেউ বন্ধ করতে না পারে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে শেখ হাসিনা কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্যোগ নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু স্বাস্থ্যসেবা দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ইউনিয়ন পর্যায়ে একটি ১০ শয্যার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন।

এই গৌরবের দাবিদার এ দেশের মানুষ। কারণ তারা ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করে বারবার তাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। বুলেট, বোমা ও গ্রেনেড হামলা থেকে বেঁচে যাওয়ার কারণেই শেখ হাসিনা দেশবাসীর কল্যাণে কাজ করে যেতে পারছেন। সাম্প্র্রতিক সময়ে দেশের স্বাস্থ্য খাতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অগ্রগতি হয়েছে বলে স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট সকলেই মনে করছেন। বর্তমানে দেশে ৫টি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১১৬টি (সরকারি-বেসরকারি) মেডিকেল কলেজ রয়েছে। গত এক দশকে সরকারি হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। বেসরকারি খাতে দেশে প্রচুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সরকার জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সারাদেশে প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছে। দরিদ্র মানুষকে বিনামূল্যে ৩০টি বিভিন্ন ধরনের ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সফলভাবে কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলা করেছে এবং অনেক জীবন বাঁচাতে সক্ষম হয়েছে। জনসংখ্যার ঘনত্ব বিবেচনা করে অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন যে, মহামারির কারণে বিপুলসংখ্যক মানুষ মারা যাবে। তবে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সমন্বিত এবং সময়োপযোগী প্রচেষ্টা সম্ভাব্য বিপর্যয় এড়াতে পারে। কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন সরকার পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে অ্যানেস্থেশিয়াতে ৪০৯ জন জুনিয়র পরামর্শদাতা, ২ হাজার চিকিৎসক এবং ৫ হাজার নার্স বিশেষ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।     

নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও গত ১৪ বছরে স্বাস্থ্য খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা এখন অনেক সহজলভ্য হয়েছে। সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে। হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, স্ট্রোক চিকিৎসা সেবার উন্নয়নের পাশাপাশি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের উপরও আমাদের নজর দিতে হবে। তাছাড়া কমিউনিকেবল এবং নন-কমিউনিকেবল রোগের বিষয়গুলো নিয়ে সমানভাবে কাজ করতে হবে। স্বাস্থ্যসেবা এখন অনেক সহজলভ্য হয়েছে। সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে। শক্তিশালী স্বাস্থ্যসেবার অবকাঠামো তৈরির জন্য আমরা সারাদেশে ৬০০-এর বেশি হাসপাতাল নির্মাণ ও সংস্কার করা হয়েছে। ১১টি স্নাতকোত্তর স্তরের সুপার স্পেশাল হাসপাতাল, হৃদরোগ, বক্ষ ব্যাধি, ক্যানসার ও নিউরো সাইন্স সংক্রামক ব্যাধি ও কুষ্ঠরোগ হাসপাতালসহ অন্যান্য বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আর গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে প্রায় ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। আমাদের চিকিৎসাসেবা যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। চিকিৎসকদের দক্ষতাও বেড়েছে। আগে যেসব রোগে বিদেশে চিকিৎসা নেওয়া হতো, বর্তমানে এসব রোগের চিকিৎসা দেশেই হচ্ছে এবং চিকিৎসার সুযোগ রয়েছে।

আমাদের দেশে তো বটেই সারাবিশ্বে মানুষের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হৃদরোগ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, হৃদরোগজনিত রোগে বর্তমান বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ১৭ দশমিক ৯ মিলিয়ন মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। বাংলাদেশে মোট মৃত্যুর শতকরা প্রায় ২৭ ভাগ হৃদরোগের কারণে হয়ে থাকে। আর দেশে বর্তমানে প্রতি হাজারে ১০ জন শিশু হৃদরোগে ভুগছে। এছাড়াও প্রতি ৫ জন তরুণের মধ্যে একজন হৃদরোগ ঝুঁকিতে রয়েছে। খাদ্যাভ্যাস কায়িক পরিশ্রম না করা, ধূমপান, ডায়াবেটিকসহ নানা কারণে দেশে হৃদরোগে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সরকার প্রতিটি জেলায় একটি মেডিকেল কলেজ নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে।

তবে স্বাস্থ্যসেবায় আরো অনেক কাজ করতে হবে। দেশে সংখ্যায় অনেক ডাক্তার তৈরি হলেও জনসংখ্যা অনুপাতে তা বড় নয়। ১ হাজার ৫৮১ জন লোকের জন্য রয়েছেন একজন নিবন্ধিত চিকিৎসক। গ্রামীণ, প্রত্যন্ত এবং দুর্গম অঞ্চলগুলোতে চিকিৎসক শূন্যতার হার বেশি। অনেক সরকারি হাসপাতালে সরঞ্জাম পাওয়া গেলেও প্রযুক্তিবিদ বা টেকনিশিয়ানের পদ খালি রয়েছে। এসব পদে নিয়োগ ও তাদের ধরে রাখা দুটোই গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি প্রয়োজন স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতার উন্নয়ন। এমনও অনেক ঘটনা রয়েছে যেখানে স্বাস্থ্য সরঞ্জাম থাকলেও সেগুলো চালানোর মতো সঠিক জ্ঞানস¤পন্ন কাউকে পাওয়া যায় না। ডাক্তারের বাইরে নার্স, মিডওয়াইফ এবং মেডিকেল টেকনোলজির ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবা খাতে বাজেট বাড়ানোর দাবি দীর্ঘদিনের। যে বাজেট বরাদ্দ করা হয় তার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, বেতন ও ভাতার জন্য ব্যয় হয়। তাই বাজেট বরাদ্দ থেকে রোগীদের জন্য প্রকৃত উপকারিতা কম পাওয়া যায়। স্বাস্থ্য বাজেটের প্রচলিত একটি খাত হলো সরঞ্জামাদি সংগ্রহ বা প্রকিউরমেন্ট এবং অবকাঠামো নির্মাণ। গত একযুগ জিডিপির ০.৯% কাছাকাছি বরাদ্দ পেয়ে আসছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অবকাঠামো অনেক সমৃদ্ধ। ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা যে দুর্বলতা রয়েছে তা কাটিয়ে তুলতে হবে। শিশুমৃত্যুর হার কমেছে, মাতৃমৃত্যু হার কমেছে, টিকাদান কর্মসূচি গতি পেয়েছে ইত্যাদি। সবার জন্য সহজলভ্য ও মানসম্মত স্বাস্থ্য সুবিধ্য। নতুন নতুন রোগ মহামারির আকার নিচ্ছে। ক্যানসার, হার্ট অ্যাটাক, ডায়াবেটিস অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। নতুন রোগ হিসেবে করোনার প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। এগুলো এসডিজি যুগের মহামারি। দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির মতো স্বাস্থ্যসেবার পরিষেবা বেসরকারি খাতের মাধ্যমে প্রসারিত হচ্ছে। তবে এর গুণমান নিশ্চিত করার জন্য সরকারের উচিত কার্যকরভাবে এই খাতের নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণ করা। স্বাস্থ্যসেবার গুণমান এবং ব্যয় অনেকটা পরিবর্তিত হয় এসব নিয়ন্ত্রণহীন বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাতের মাধ্যমে। স্বাস্থ্য খাতকে সেবার পরিবর্তে বাণিজ্যে রূপান্তর করেছে। স্বাস্থ্য খাতে সিস্টেমের সমস্যা রয়েছে। যারা সেবা দেবেন তারা হাসপাতালে উপস্থিত থাকেন না। নিরাপদ স্যানিটেশনের ব্যবস্থা থাকলেও রক্ষণাবেক্ষণের দুর্বলতা রয়েছে। পয়ঃনিষ্কাশনের ভালো ব্যবস্থা নেই। এসব সমস্যা দূর করতে সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সমন্বয়ের মাধ্যমে সরকার কাজ করছে। আমাদের হেলথ সিস্টেমে আগের চেয়ে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। আগামীতে আরও হবে। কমিউনিটি ক্লিনিক, উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সসহ দেশের স্বাস্থ্যসেবা দানকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিরাপদ পানি এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থার অবকাঠামোগত সুবিধা রয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সরকারের পক্ষ থেকে এ বছর সাড়ে ৫ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হবে এবং ১৫ হাজার নার্স নিয়োগের অনুমোদন হয়েছে। হাসপাতালগুলোতে আরো ৮ হাজার বেড বাড়ানো হবে। ২০ হাজার মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ দেওয়া হবে। বড় ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালগুলোতে ঢাকার বাইরে থেকে আসা লোকজন বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে তাদের সহযোগিতার জন্য হেল্প ডেস্ক স্থাপনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়িয়ে পৃথকস্থানে করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মেডিকেল কলেজ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের মান বাড়ানোর জন্য পুরাতন সব কমিউনিটি ক্লিনিক ভেঙে আরো বেশি সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন নতুন ডিজাইনের ভবন তৈরি করা হচ্ছে। হাসপাতালেল বর্জ্য বাইরে না ফেলার ব্যাপাওে জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোকে মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে হাসপাতালগুলোর কার্যক্রমের ওপর সিসিটিভির মাধ্যমে মনিটরিংয়ের কাজ শুরু হচ্ছে। এ খাতের আরো উন্নতির জন্য মাতৃমৃত্যু ১ এ এবং শিশু মৃত্যুহার ৭০ এর নামিয়ে আনাই লক্ষ্য।

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপন করেন। তিনি স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের সবক্ষেত্রে একটি শক্ত নীতিমালা, পরিকল্পনা এবং অবকাঠামো রেখে গেছেন, যার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে আজকের স্বাস্থ্যব্যবস্থা। তার পরিকল্পনা শুধু রাজধানী বা শহরকেন্দ্রিক ছিল না; বরং জেলা, থানা, ইউনিয়ন, গ্রামসহ তৃণমূল পর্যায়ে সেগুলো নিশ্চিত করাই ছিল মূল উদ্দেশ্য আর তা বাস্তবায়নের জন্য তিনি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, প্রতিটি জেলায় হাসপাতাল, থানা হেলথ কমপ্লেক্স, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সুবিন্যস্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রণয়নের পথ দেখিয়েছিলেন। স্বাস্থ্যকে সংবিধানের মূল অধিকার, প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় গুরুত্ব এবং চিকিৎসকদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদাদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অগ্রযাত্রা শুরু।

ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা পর্যায়ে বহু হাসপাতাল নির্মিত হয়েছে এবং শতাধিক সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল চালু রয়েছে। অনেক বিশেষায়িত হাসপাতালে বিনামূল্যে মেডিসিন, সার্জারি, গাইনি, প্রসূতিসেবা, অর্থোপেডিক, চোখ, নাক-কান-গলা, হৃদরোগ, নবজাতক ও অপুষ্টিজনিত সেবার ব্যবস্থা রয়েছে। সংক্রামক ব্যাধি, কুষ্ঠ ও অন্য রোগের জন্য ১৪টি বিশেষায়িত হাসপাতাল ছাড়াও সব মেডিকেল কলেজ, জাতীয় হৃদরোগ এবং অনেক জেলা হাসপাতালে সিসিইউ-এর চিকিৎসা সুবিধা রয়েছে। ক্যানসার চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জাতীয় ক্যানসার ইনস্টিটিউটে।

নতুন অনেক ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল নির্মিত হয়েছে, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স, অত্যাধুনিক ক্যানসার ও জাতীয় কিডনি হাসপাতাল, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, জাতীয় হৃদরোগ ও অ্যাজমা সেন্টার, পঙ্গু হাসপাতালের সম্প্রসারণ, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালকে সরকারি হাসপাতালে রূপান্তর, মুগদায় ৫শ শয্যার হাসপাতাল, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ই এন টি হাসপাতাল, জাতীয় নার্সিং উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, বক্ষব্যাধি ও কুর্মিটোলা ৫শ শয্যাবিশিষ্ট এবং ঢাকার ফুলবাড়িয়ায় সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, খুলনার আবু নাসের বিশেষায়িত ও গোপালগঞ্জের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল এবং এ হাসপাতালকে কেন্দ্র করে অনলাইন চক্ষুসেবা কার্যক্রম চালু করতে ভিশন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।


আরও খবর

আবারও বন্ধ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র

শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




আবারও বন্ধ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১২১জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আবারও বন্ধ হয়ে গেছে বাগেরহাটের রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যুৎকেন্দ্রের এক কর্মকর্তা জানান, এবার কয়লা সংকট নয়, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

এ বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপ-মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজীমকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এর আগে টারবাইন (বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদনের ঘূর্ণায়মান যন্ত্র) ত্রুটির কারণে গত ১৬ জুলাই বন্ধ হয়ে যায় রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। টারবাইন মেরামত শেষে ২০ জুলাই দুপুর থেকে পুনরায় উৎপাদন শুরু হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর উৎপাদন শুরুর পর প্রথম ১৪ জানুয়ারি, এরপর ১৫ এপ্রিল, ২৩ এপ্রিল, ৩০ জুন, ১৬ জুলাই ৩০ জুলাই ও সবশেষ ১৫ সেপ্টেম্বর বন্ধ হয় এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।


আরও খবর



রাজনীতি করুন, তবে বিচার বিভাগকে জড়াবেন না: প্রধান বিচারপতি

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১০২জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজনৈতিকভাবে বিচার বিভাগ ব্যবহার হচ্ছে না উল্লেখ করে দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, রাজনীতিবিদদের বলব রাজনীতি করুন, তবে বিচার বিভাগকে জড়াবেন না, পারস্পরিক শ্রদ্ধা বজায় রাখুন। আজ বুধবার দুপুরে দায়িত্বভার গ্রহণের পর তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচার বিভাগসহ দেশের সব বিভাগে দুর্নীতি ক্যান্সারের মতো ছেয়ে গেছে। আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতি মিলে যদি একসঙ্গে উদ্যোগ নেই তাহলে এসব দুর্নীতি অপসারণ করা সহজ হবে।

এ সময় তিনি আদালতকে রাজনীতির সঙ্গে না জড়ানোর জন্য রাজনীতিবিদদের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচার বিভাগের ওপর আস্থার যে কমতি হয়েছে তা শুধু বিচারকদের কারণে নয়, এ বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তাদের জন্য এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। যা কাজের মাধ্যমে দূর হবে।

তিনি বলেন, দেশের জনগণকে ন্যায়বিচার দিতে কাজ করে যাব, সামাজিক পরিবর্তন না আসলে শুধু মামলা করে অপরাধ দূর করা যাবে না।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয় থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান বিচারপতি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এরমধ্য দিয়ে তিনি বাংলাদেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পান।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করেছেন। শপথগ্রহণের তারিখ থেকে তা কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়। এর আগে, ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল।


আরও খবর

আবারও বন্ধ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র

শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ডিসিদের পক্ষপাতমূলক আচরণ চাই না: সিইসি

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১১৯জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

কোনো জেলা প্রশাসকের আচরণ পক্ষপাতমূলক হোক নির্বাচন কমিশন সেটা চায় না। এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আমরা কোনোভাবেই চাইব না কোনো জেলা প্রশাসকের আচরণে পক্ষপাতমূলক আচরণ প্রতিফলিত হোক। আজ সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

জামালপুরের ডিসিকে প্রত্যাহার করার চিঠি দেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, তফসিলের আগে চিঠি দিতে কোথাও বাধা নেই। পাঁচ বছর পুরো সময়টাই নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব, কর্তব্য, এখতিয়ার রয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর স্পেসিফিক কিছু দায়িত্ব বাধ্যতামূলকভাবে আমাদের করতেই হবে। তফসিলের আগেও এমনটি করা যায়, যদি এমন কোনো কিছু হয় যেটা নির্বাচনের আস্থাভাজনতা, সরকার বা নির্বাচন কমিশনের আস্থাভাজনতা বা যারা নির্বাচন করবেন তাঁদের পক্ষপাতহীন আচরণ নিয়ে বিতর্ক তৈরি করে। তাহলে নির্বাচন কমিশন অবশ্য়ই সরকারের নজরে সেটা আনতে পারে। এটা নির্বাচনের স্বার্থে, মানুষের আস্থার স্বার্থে, সরকারের স্বার্থে এবং নির্বাচন কমিশনের স্বার্থে।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ভোটের পরিবেশ আমরা নিশ্চয়ই পর্যবেক্ষণ করতে থাকব। আমাদের যে পর্যবেক্ষণ এবং প্রক্ষেপণটা অবশ্যই সজাগ রাখতে হবে। জেলা প্রশাসক গুরুত্বপূর্ণ পদ। অনেক ক্ষেত্রে তাঁদেরকেই রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করতে হয়। পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নির্বাচনের সময় অতি অনিবার্য প্রয়োজনীয় আইনশৃঙ্খলা বিষয়টি তাঁদেরকেই দেখতে হবে। তাই কোনোভাবেই আমরা চাইব নাকোনো জেলা প্রশাসকের আচরণে পক্ষপাতমূলক আচরণ প্রতিফলিত হোক। 

জামালপুরের ডিসি প্রত্যাহারের মতো আরও কোনো উদ্যোগ নেবেন কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, যদি আমাদের কাছে এ রকম কিছু প্রতীয়মান হয়, আমরা নিশ্চয়ই তখন এই ধরনের উদ্যোগ নেব।

আপনারা রোডম্যাপে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করেছিলেন, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা, প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করাএমন প্রশ্নে সিইসি বলেন, নো কমেন্টস, থ্যাংক ইউ। ওইটার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করব না।

এখন কেউ ভোট চাইতে পারবেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই প্রশ্নের উত্তর আমি এখন দিচ্ছি না। 

আপনি বলছেন যে তফসিলের আগেও নির্বাচনের পরিস্থিতি নিয়ে আপনাদের কিছু করার সুযোগ আছে। সে ক্ষেত্রে যখন প্রধানমন্ত্রীর সফরে বা সরকারি বা রাষ্ট্রীয় কোনো কাজে যাচ্ছেন। ওখানে সরকারি কাজে যাওয়ার পরও যখন ভোট চাইছেন। সেখানে কি কমিশনের কথা বলার এখতিয়ার রয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এই প্রশ্নের উত্তর এই মুহূর্তে চট করে আপনাকে দিতে পারব না। এখন সবাই নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেনবিএনপি কথা বলছে, আওয়ামী লীগ কথা বলছে, জাতীয় পার্টি কথা বলছে। সবাই কথা বলছে তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি বলেন, আপনারা আমাকে ছাড়া আর কাউকে ভোট দেবেন না। তাহলে নিশ্চয়ই আমরা ইন্টারফেয়ার করতে পারব। কিন্তু উনি ভোট চাইছেন, বিএনপি ভোট চাইছে, জাতীয় পার্টি ভোট চাইছে, সবাই ভোট চাইছে। এ বিষয়টি আমরা ওইভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখিনি।

সরকারি সফরে গিয়ে যদি কেউ ভোট চান? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়টি কেউ উত্থাপন করেননি। আমরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখিনি। যখন তফসিল ঘোষণা হয় এরপর যে নির্বাচনী আচরণ...কারণ উনি নির্বাচনে দাঁড়াবেন কি দাঁড়াবেন না, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কি করবেন না, সেটি আমরা এখনো জানি না। কাজেই সময় হলে তখন আমরা দেখব।


আরও খবর

আবারও বন্ধ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র

শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




নিউজিল্যান্ড সিরিজের দলে তামিম-সৌম্য-রিয়াদ

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৪৭জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

এই সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে। তার পরিবর্তে দলকে নেতৃত্ব দেবেন লিটন দাস। সাকিবের সঙ্গে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ এবং তিন পেসার তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ আর শরিফুল ইসলামকে।

এদিকে নিউজিল্যান্ড সিরিজ দিয়ে ফিরেছেন তামিম ইকবাল এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ফেরার তালিকায় আছেন সৌম্য সরকার, নুরুল হাসান সোহান।

এছাড়া প্রথমবারের মতো স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন ৩ অনাভিষিক্ত ক্রিকেটার। তারা হলেন- জাকির হাসান, সৈয়দ খালেদ আহমেদ এবং রিশাদ হোসেন। এশিয়া কাপের স্কোয়াডে থাকা ব্যাটার নাইম শেখ, আফিফ হোসেন এবং শামীম হোসেন জায়গা হারিয়েছেন।

ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে আজ রাত ১০টা ২০ মিনিটে ঢাকায় আসছে নিউজিল্যান্ড দলের একাংশ। ইংল্যান্ড সফরে থাকা দলটির বাকি সদস্যরা আসবেন রোববার বিকেল ৫টায়। আগামী ২১, ২৩ ও ২৬ সেপ্টেম্বর মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাঠে গড়াবে ম্যাচগুলো। বিশ্বকাপের পর টেস্ট সিরিজ খেলতে আবার আসবে কিউইরা।

বাংলাদেশ স্কোয়াড: লিটন দাস (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, এনামুল হক বিজয়, তানজিদ হাসান তামিম, জাকির হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, কাজী নুরুল হাসান সোহান, শেখ মাহেদী, নাসুম আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, রিশাদ হোসেন, সৈয়দ খালেদ আহমেদ।


আরও খবর



ওমরাহ পালনে সৌদি আরবের নতুন নির্দেশনা

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১০৯জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

সৌদি আরবে ওমরাহ পালন করতে অনেক বাবা মা তাদের সন্তানদের নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে যেন শিশুদের নিয়ে কোনো বিড়ম্বনায় পড়তে না হয় সে কারণে অভিভাবকদের জন্য অভিভাবকদের জন্য চারটি নির্দেশনা জারি করেছে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। আর তাই ওমরাহ পালনে ইচ্ছুক যাত্রীদের জন্য শিশুদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে নতুন নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।

নির্দেশনাগুলো হলো

১. পরিচিতিমূলক ব্রেসলেট: উমরাহর সময় প্রত্যেক শিশুর ডান অথবা বাঁ-হাতের কবজিতে অবশ্যই পরিচিতিমূলক ব্রেসলেট থাকতে হবে। লাখ লাখ ওমরাহযাত্রীর ভিড়ে কোনো শিশু হারিয়ে গেলে তার পরিচিতি সম্পর্কিত প্রাথমিক কিছু তথ্য পাওয়া যাবে সেই ব্রেসলেটে।

২. যথাসম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলা: যেসব ওমরাহযাত্রী তাদের শিশুদের নিয়ে ওমরায় এসেছেন, তাদেরকে ওমরাহর আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদনের জন্য ভিড় কম হয়- এমন সময় ও স্থান বেছে নিতে বলা হয়েছে।

৩. শিশুদের ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা: শিশুদের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য তাদেরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে অভিভাবকদের যত্নশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শিশুদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার প্রাথমিক দায়িত্ব অবশ্যই অভিভাবকদের।

৪. শিশুদের খাদ্যের প্রতি নজর রাখা : ওমরাহর সময় শিশুরা যেন স্বাস্থ্যকর ও তাদের শরীরের জন্য উপযোগী খাদ্য গ্রহণ করতে পারে, সেজন্য অভিভাবকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়।

এর আগে, হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় মক্কা গ্র্যান্ড মসজিদ পরিদর্শনকালে মুসল্লিদের জন্য পাঁচটি নির্দেশনা জারি করেছিল।


আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩