Logo
শিরোনাম

সেন্টমার্টিনের রিপ কারেন্ট থেকে সাবধান!

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৯৬জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের একমাত্র নীল পানির দ্বীপ বা সৈকতের জন্য সেন্টমার্টিন জনপ্রিয়। প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে সৈকত। অনেক জল্পনা কল্পনার শেষে, এই বছর আবারো শুরু হয়েছে সেন্টমার্টিনের সঙ্গে সব রুটের জাহাজ চলাচল। কেউ হয়তো প্রথমবার, কেউ হয়তো অসংখ্যবারের মতো আবারো ছুটছেন সেন্টমার্টিনের পথে। তবে কিছু কথা সেন্টমার্টিন নিয়ে অন্তত প্রতি সিজনের শুরুতে না বললেই হয়তো নয়। সেন্টমার্টিন ভ্রমণ যাতে কারো কাছে মর্মান্তিক হয়ে না ওঠে তাই সেখানে যাওয়ার আগে বেশ কিছু বিষয় জেনে রাখা দরকার।

মনে আছে, কিছুদিন আগে ভাইরাল হওয়া নেটওয়ার্কের বাইরে নাটকের কথা। কিংবা বহু বছর আগে সেন্টমার্টিনে আহছানউল্লাহ ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের দুঃখজনক মৃত্যুর কথা। আজ সে বিষয়েই বলবো কিছু কথা- যদি সেন্টমার্টিনের ম্যাপ দেখেন তাহলে স্পষ্ট বুঝতে পারবেন বিষয়টি। খেয়াল করলে দেখবেন, সেন্টমার্টিনের যে প্রান্তে সর্বাধিক মৃত্যুর ঘটনা সেটি কিন্তু মাথা বা কোণার দিকে। বাংলাদেশের সঙ্গে পৃথিবীর অন্যান্য সৈকতে মানুষ মারা যাওয়ার মধ্যে একটি পার্থক্য হলো, ভাটার সময় কোনো দেশ পর্যটকদের সমুদ্রে নামার অনুমতি দেয় না।

তবে দেশের অনেক মানুষ অজান্তেই ভাটার সময় সমুদ্রে নেমে পানিতে ভেসে যায়। এজন্য কক্সবাজার বা কুয়াকাটায় যাওয়ার আগে গুগল করে জোয়ার ভাটার সময় জেনে নিতে পারেন। ভাটার সময় মানুষের ভেসে যাওয়া বাদেও আরও একটি বিপজ্জনক বিষয় আছে। যাকে বলা হয়, রিপ কারেন্ট বা উল্টো স্রোত। সমুদ্রসৈকতে ৮০ ভাগ মৃত্যু এই রিপ কারেন্ট বা উল্টো স্রোতের কারণে হয়। এমনকি অস্ট্রেলিয়াতেও প্রতিবছর গড়ে ২২ জন মারা যায় রিপ কারেন্টের কারণে। এদেশেও সমুদ্রসৈকতে যেসব মৃত্যু হয়, তার বেশিরভাগই রিপ কারেন্টের জন্যই হওয়ার কথা। আবার সেন্টমার্টিনের মাথার দিকে যে সরু অংশ সেটিও কিন্তু রিপ কারেন্টের একটি বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে মিলে যায়।

রিপ কারেন্ট বা উল্টো স্রোত কী: এটি এক ধরনের ঢেউ, যা সমুদ্রের তটে ধাক্কা খেয়ে উল্টো দিকে প্রবাহিত হয়। অনেক ক্ষেত্রে, এই ধাক্কা খেয়ে ফিরে যাওয়া ঢেউ বাতাসের কারণে বা প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের কারণে চিকন একটি পথ ধরে সমুদ্রে ফিরে যেতে পারে। আর ওই সরু পথে যদি কেউ থাকে তবে ঢেউ তাকে ধাক্কা দিয়ে সমুদ্রে নিয়ে ফেলতে পারে। এই সরু পথের ঢেউকেই বলা হয়, রিপ কারেন্ট বা উল্টো স্রোত। এটি যে কোনো সমুদ্রে হতে পারে, তবে কিছু কিছু জায়গায় প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের কারণে নিয়মিত রিপ কারেন্ট বা উলটো স্রোত হতে পারে।

কীভাবে রিপ কারেন্ট বা উল্টো স্রোত চিনবেন: রিপ কারেন্ট বা উল্টো স্রোতের একটা ভয়ংকর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এটি দেখতে মনে হয় খুব শান্ত ও উপর থেকে ওই ঢেউয়ের পানির রং গাঢ় নীল দেখায়। অনেক ক্ষেত্রে রিপ কারেন্ট বা উল্টো স্রোতের সময় দেখবেন কিছু না কিছু ভেসে সাগরের দিকে যাচ্ছে। রিপ কারেন্ট যখন প্রবাহিত হয় তখন সে ফেরার পথে ঢেউয়ের মাথা ভেঙে দেয়। ফলে সেই স্থান বেশি শান্ত দেখায়।

উল্টো স্রোতে পড়লে কীভাবে বাঁচবেন: যারা সাঁতার জানেন তারা রিপ কারেন্টে পড়লে, তীরের দিকে ফেরার চেষ্টা না করে বরং সৈকতের সমান্তরালভাবে উল্টো স্রোত থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করতে হবে। কারণ সাগরের স্রোত যখন টান দেবে, তখন শক্তি দিয়েও স্রোতের বিপরীতে ফেরা যাবে না। তাই শক্তি নষ্ট করবেন না।

রিপ কারেন্ট কয় ধরনের: তিন ধরনের রিপ কারেন্ট আছে। একটি ফিক্সড, আরেকটি হঠাৎ আরেকটি টপোগ্রাফিক যার মধ্যে অন্যতম একটি হলো হেডল্যান্ডের কারণে রিপ কারেন্ট। ফিক্সড হয় কিছু কিছু এলাকায় যেমন- যেখানে ব্রিজ আছে বা কোনো গভীর গর্ত আছে। হঠাৎ যেটি হয়, সেটি যে কোনো জায়গায় বাতাসের কারণে হতে পারে। সেন্ট মার্টিনের বিপজ্জনক অংশ হেডল্যান্ড বৈশিষ্ট্যের এলাকায়, যেখানে রিপ কারেন্ট ঘন ঘন হয় প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের কারণে। এক্ষেত্রে বাতাসের কারণে দুদিকের পানি ধাক্কা দিয়ে এর মাথায় বা তার দুপাশেই একটি রিপ কারেন্ট তৈরি হতে পারে। এটি একটি মৃত্যুফাঁদ।

এখানে প্রাকৃতিক অবস্থানের কারণে অনেক বড় বড় চ্যানেল তৈরি হয়েছে, যেগুলো দিয়ে ঘন ঘন উলটো স্রোত বা রিপ কারেন্ট প্রবাহিত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। যা শান্ত পানি দেখে নামা পর্যটকদের ভাসিয়ে নিয়ে যায়। তাই ভুলেও জেটি ঘাটে নেমেই উত্তরের বিচে নামতে যাবেন না। যদিও সেন্টমার্টিনের পানিতে নামার জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিচ উত্তর বিচ। তবে এই উত্তর-পূর্বেই আছে ভয়ংকর রিপ কারেন্ট। সেন্টমার্টিনের এলাকাবাসি জানে এই এলাকায় সাঁতার কাটতে নেই। তাই সামনে কাউকে দেখলে তারা মানা করেন। তবে বেশিরভাগ মানুষই অসাবধানতার কারণে উল্টো স্রোতে পড়ে মারা যায়।

সেন্টমার্টিনের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের কারণে হেডল্যান্ড ধরনের টপোগ্রাফিক রিপ কারেন্ট কিন্তু নিয়মিত একটি বৈশিষ্ট্য। এই স্থানে যদি একটি মৃত্যুও ঘটে, আমরা কিন্তু তাকে দুর্ঘটনায় বলতে পারি না। আমাদের সবারই উচিত এ বিপজ্জনক স্থান সম্পর্কে জানা ও অন্যকে জানানো। যাতে অজান্তে আর কোনো মৃত্যু না ঘটে।

বলে রাখা ভালো, রিপ কারেন্ট পৃথিবীর সব সৈকতেই হয়। এজন্য সতর্কতাও নিতে হয়। রিপ কারেন্টের ভয়ে সমুদ্রযাত্রা বন্ধ করার দরকার নেই। তবে সতর্ক থাকা জরুরি।

নিউজ ট্যাগ: রিপ কারেন্ট

আরও খবর

অরণ্যযাপনের আগে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখবেন

বৃহস্পতিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৫ সিটিতে নির্বাচন শেষ করতে চায় ইসি

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশের ৫টি সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। সিটি কর্পোরেশনগুলো হলো- গাজীপুর, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল ও খুলনা।

ইসি কমিশনার আলমগীর বলেন, গাজীপুর, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন নিয়ে কমিশন আলোচনা করেছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে এসব সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন করতে হয়। ইচ্ছা করলে ৬ মাসে শেষ করা যায়। মাঝামাঝিও করা যায়, আগেও করা যায়। যেহেতু জাতীয় নির্বাচন আছে এ বছরের ডিসেম্বরের শেষে অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সেজন্য আমাদের চেষ্টা থাকবে এ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন আগে শেষ করা।’ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে রোববার গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

৫ সিটি করপোরেশনের ভোট একই দিনে হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেন, এক দিনে হবে না। ৬টি সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচন করতে হবে। এগুলোর মধ্যে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের অনেক দেরি। বাকি ৫ সিটির নির্বাচন দুই দিনে বা তিন দিনে হতে পারে। যেগুলো আগে নির্বাচন উপযোগী হবে, সেগুলোতে আগে ভোট করা হবে।

তিনি বলেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল নিয়ে এখন পর্যন্ত কমিশনে কোনো আলোচনা হয়নি, তবে আগামী জুনের মধ্যে গাজীপুর সিটির নির্বাচন করতে কমিশন আগ্রহী বলেও জানান তিনি।

সিটি নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা থাকবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এগুলো নির্ভর করবে বাজেটের ওপরে। আমরা বাজেট চাইবো, টাকা পেলে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করবো। তবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করার আগ্রহ রয়েছে। তবে ইভিএমগুলোর ব্যাটারির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট করতে হবে। সার্ভিসিং করাতে হবে। সেজন্য টাকা লাগবে। তবে কমিশনের ইচ্ছা ইভিএমে করা।

সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আইন অনুযায়ী কোনো সিটির মেয়াদ ধরা হয় প্রথম সভা থেকে পরবর্তী ৫ বছর। কোনো সিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণ করতে হয়।

গাজীপুর সিটির পরবর্তী ভোটের সময় গণনা শুরু হবে ১১ মার্চ। ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। খুলনা ও রাজশাহী সিটির সময় গণনা শুরু হবে ১৩ এপ্রিল, ১০ অক্টোবরের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

এছাড়া বরিশাল সিটি নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হবে ১৪ মে, ভোট করতে হবে ১৩ নভেম্বরের মধ্যে। সিলেট সিটির নির্বাচন করতে হবে ৬ মে থেকে ৬ নভেম্বরের মধ্যে। আর ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হবে ২০ ডিসেম্বর থেকে, আগামী বছরের ১৯ জুনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে।


আরও খবর



ক্রেডিট সুইসের মন্দায় বিশ্বের ব্যাংকিং খাতে নতুন সঙ্কটের শঙ্কা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ৪২জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকিং সেক্টরে ব্যর্থতার পর ক্রেডিট সুইস ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য এতোটাই পড়ে গেছে যে তা ইউরোপের অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় ঋণপ্রদানকারী সংস্থাগুলোর ওপর প্রভাব ফেলছে আর এতে বিশ্বের ব্যাংকিং খাতে আরও গভীর সমস্যা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গতকাল বুধবার ক্রেডিট সুইস ব্যাংকের সবচেয়ে বড় শেয়ার হোল্ডার সৌদি ন্যাশনাল ব্যাংক সংবাদ মাধ্যমে ঘোষণা দেয় যে, তারা সুইস ব্যাংকটিতে আর অর্থ লগ্নি করবে না, আর এরপরেই ক্রেডিট সুইসের শেয়ারের দর রেকর্ড চার ভাগের এক ভাগেরও বেশি পড়ে যায়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংক ধসের ঘটনার পর সৌদি ব্যাংকটিও নানা রকম সমস্যায় পড়ে।

এই অস্থিরতার কারণে সুইস শেয়ার মার্কেটে ক্রেডিট সুইসের শেয়ার বাণিজ্য ভীষণ বাধার মুখে পড়ে। পাশাপাশি অন্যান্য ইউরোপীয় ব্যাংকের শেয়ারেরও দর পড়ে যায়, কোনো কোনোটির দরপতন দুই অঙ্কে গিয়ে পৌঁছায়।

যুক্তরাষ্ট্রে সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক ও সিগনেচার ব্যাংকের সাম্প্রতিক ধসের পর নতুন করে স্বাস্থ্য ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এখন নতুন শঙ্কার মুখে পড়ছে।

ক্রেডিট সুইস ব্যাংকের প্রতিটি শেয়ারের দর ১.৬০ সুইস ফ্রাঙ্ক (১.৭৩ ডলার) কমে যায় যা ভিত্তিমূল্যের চেয়ে ৩০ শতাংশ কম। আর ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির সঙ্গে হিসেব করলে এই পতন ৮৫ শতাংশেরও বেশি।

গতকাল বুধবার সুইস সেন্ট্রাল ব্যাংক জানায়, ক্রেডিট সুইস ব্যাংকের মূলধন ও তারল্য প্রয়োজন মতোই রয়েছে। তবে সংস্থাটি তারল্য সঙ্কট এড়াতে প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান দিতে প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানায়।

এদিকে, ওয়াল স্ট্রিটে শেয়ারের দরপতনের কারণে আবারও আটলান্টিক মহাসাগরের দুই পাড়ে ব্যাংকগুলোর সামর্থের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ জানায়, তারা সুইস ব্যাংকটির সঙ্কটের দিকে দৃষ্টি রাখছে আর এ বিষয়ে বিশ্বের অন্যান্য সহযোগি সংস্থার সঙ্গে তাদের যোগাযোগ রয়েছে।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের মিলকেন ইনস্টিটিউটের প্রধান অর্থনীতিবিদ উইলিয়াম লির মতে, সৌদি ব্যাংকের সিদ্ধান্ত ক্রেডিট সুইসের গভীর সমস্যারই ইঙ্গিত দেয়। আলজাজিরাকে তিনি বলেন, যা অনুমান করা হয়েছিল তার চাইতেও বড় সমস্যায় পড়তে যাচ্ছে সুইস ব্যাংকটি বলে মনে করছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। আর তাদের এই সিদ্ধান্ত বিশ্বের অন্যান্য বৃহৎ ব্যাংগুলোর অবস্থা সম্পর্কে বিনিয়োগকারীদের তদন্ত করে দেখার প্রয়োজনীয়তাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে।


আরও খবর



বেলারুশে বিরোধী নেতার ১৫ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ১৬৪জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বেলারুশের নির্বাসিত বিরোধী নেতা সভিয়াতলানা সিখানৌস্কায়াকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার (৬ মার্চ) রাষ্ট্রদ্রোহ এবং ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে তাঁর অনুপস্থিতিতে মিনস্কের একটি আদালত এ রায় দেন। তবে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে প্রচেষ্টা চালানোয় এই সাজা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

৪০ বছর বয়সী এই নেতা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর কাছে পরাজিত হয়ে ২০২০ সালে প্রতিবেশী লিথুয়ানিয়ায় চলে যান। ওই সময়ে সভিয়াতলানা সিখানৌস্কায়া এবং বিরোধীরা বলেছিলেন, নির্বাচনে লুকাশেঙ্কোকে বিজয়ী করতে ফলাফল কারচুপি করা হয়েছিল। এরপর দেশটিতে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল।

এরপর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মিত্র লুকাশেঙ্কো বিক্ষোভকারীদের ওপর দমনপীড়ন চালান এবং বিরোধীদের বিরুদ্ধে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বহু নেতাকর্মী গ্রেপ্তার করেন। এ সময় অনেকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। লুকাশেঙ্কো প্রায় ৩০ বছর ধরে বেলারুশের ক্ষমতায় রয়েছেন। গণবিক্ষোভের সময় তার সরকার ৩৫ হাজারের বেশি মানুষকে আটক করে।

দেশটিতে গত জানুয়ারিতে অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতা দখলের চেষ্টার অভিযোগে বিরোধী নেত্রী সিখানৌস্কায়া এবং অন্যান্য বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়।

বেলারুশের বার্তা সংস্থা বেল্টা জানায়, একই অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় বেলারুশিয়ান বিরোধী কাউন্সিলের অন্যতম সদস্য পাভেল লাতুশকোকে ১৮ বছরের এবং আরও তিন বিরোধী কর্মীকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ২০২০ সালের আগস্টে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পরে তারা সবাই দেশত্যাগ করেন। 

এদিকে, সিখানৌস্কায়া টুইটারে লেখেন, ১৫ বছরের জেল। এভাবেই বেলারুশে গণতান্ত্রিক পরিবর্তন আনার কাজের জন্য সরকার আমাকে পুরস্কৃত করেছে।

সিখানৌস্কায়া আরও লেখেন, আজ আমি নিজেকে নিয়ে ভাবি না। আমি হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষের কথা ভাবি, যারা আটক হয়েছেন কিংবা কারাদণ্ড পেয়েছেন। তাদের প্রত্যেকের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আমি থামব না।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর কাছে ময়মনসিংহবাসীর একগুচ্ছ দাবি

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৭৮জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

চার বছর পর আবার ময়মনসিংহে আসছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। আজ শনিবার ঐতিহাসিক সার্কিট হাউস ময়দানে আওয়ামী লীগের বিভাগীয় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগমন ঘিরে ময়মনসিংহ সেজেছে অপরূপ সাজে। নগরীর প্রতিটি সড়ক ও মহাসড়কজুড়ে শোভা পাচ্ছে অসংখ্য তোরণ। আর প্রধানমন্ত্রীর কাছে একগুচ্ছ দাবি নিয়ে অপেক্ষায় রয়েছেন ময়মনসিংহবাসী।

জানা যায়, জেলার সার্বিক উন্নয়নে বিভিন্ন দাবি জানিয়ে প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি এবং রাজনৈতিকনেতাদের কাছে লিখিত আবেদন জমা দিয়েছে রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনগুলো।

এরই মধ্যে ময়মনসিংহ জেলা নাগরিক আন্দোলন ও উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদ ২৩ দফা দাবিতে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল আমিন কালাম বলেন, আমাদের দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো ময়মনসিংহ-ঢাকা রুটে সকাল-বিকাল দুই জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা; যাতে প্রতিদিন সকালে উভয় দিকের মানুষ অফিস করে বাড়ি ফিরতে পারেন। ময়মনসিংহ নগরীর ভেতর থেকে রেললাইন স্থানান্তর, শেরপুর জেলার সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপন, ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর, ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে পাঁচ হাজার শয্যায় উন্নীত করা, একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, একটি টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, এসকে হাসপাতালকে ৫শ বেডবিশিষ্ট ইনফেকসিয়াস হাসপাতালে রূপান্তর, নারী উদ্যোক্তা পল্লী অথবা ব্যবসায়ী জোন গড়ে তোলা, ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহর স্থাপনের প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর কাজ দ্রুত শুরু করা এবং কাজের সমাপ্তির তারিখ ঘোষণা করা। বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক উদ্দিন ভুইয়া স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানের করা, ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর আরও একাধিক সেতু নির্মাণ, বিভাগীয় শহরের সঙ্গে জেলাগুলোর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করা। ময়মনসিংহ বিভাগের স্থলবন্দরগুলোকে ইমিগ্রেশন সুবিধা দিয়ে পরিপূর্ণ স্থলবন্দরে উন্নীত করা।

এদিকে ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি শংকর সাহা প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি জমা দেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, ময়মনসিংহে এক হাজার শয্যার হাসপাতালটি চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। এ হাসপাতালে গাজীপুর, সিলেট, কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, টাঙ্গাইল, শেরপুর, জামালপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্দা, সিরাজগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার রোগীরা চিকিৎসা নেন। তাই জনসাধারণের উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে পাঁচ হাজার শয্যার একটি জেনারেল হাসপাতাল স্থাপন প্রয়োজন।

এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে সংবাদ সম্মেলন করে ১৮ দফা প্রস্তাব পেশ করেছে জন উদ্যোগ নামে আরেকটি সামাজিক সংগঠন। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিমানবন্দর, আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম, ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজকে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন। জন উদ্যোগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু বলেন, সরকারের উন্নয়ন প্রক্রিয়া ও পরিকল্পনার সঙ্গে আমরা ১৮টি প্রস্তাব দিয়েছি। এগুলো জনগণের প্রাণের দাবি।

এর আগে সর্বশেষ ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর ময়মনসিংহ সার্কিট হাউস ময়দানে জনসভায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘ চার বছর পর আবার প্রিয় নেত্রীর আগমনে উৎসাহ-উদ্দীপনার যেন শেষ নেই ময়মনসিংহবাসীর। সবার দৃষ্টি এখন ঐতিহাসিক সার্কিট হাউস ময়দানে। তাদের আশা, আজ প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে ময়মনসিংহবাসীর বেশির ভাগ দাবি পূরণের ঘোষণা দেবেন।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপ করবে না বিএনপি : মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৪৮জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কার সঙ্গে সংলাপ করব, প্রধানমন্ত্রী এমন বক্তব্য দিয়েছেন। আমাদেরও কথাকার সঙ্গে সংলাপ করব? আমরা তো সংলাপের কথা বলিনি। কারণ, তিনি কথা দিয়ে কথা রাখেন না।

আজ মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন অব্যশই অনিশ্চিত, পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কিছু হলে এর দায় আওয়ামী লীগকে নিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এতই যদি সাহস থাকে এবং উন্নয়ন করে থাকেন, তাহলে এই মুহূর্তে ডিজাইন করেনতত্ত্বাবধায়ক সরকার হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নতুন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে যে ক্ষমতায় আসবে, আমরা মাথা পেতে নেব। বিএনপিকে ক্ষমতা আসার জন্য বলছি না, দেশটাকে বাঁচানো দায়িত্ব শুধু বিএনপির নয়, বিশেষ করে আওয়ামী লীগেরও দায়িত্ব। তারা কথায় কথায় বলে থাকেনমুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে তারা দেশ স্বাধীন করেছেন।

এ সময় মির্জা ফখরুল খালেদা জিয়ার মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবি জানান।


আরও খবর