Logo
শিরোনাম

সেন্টমার্টিনের রিপ কারেন্ট থেকে সাবধান!

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | ১৯৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের একমাত্র নীল পানির দ্বীপ বা সৈকতের জন্য সেন্টমার্টিন জনপ্রিয়। প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে সৈকত। অনেক জল্পনা কল্পনার শেষে, এই বছর আবারো শুরু হয়েছে সেন্টমার্টিনের সঙ্গে সব রুটের জাহাজ চলাচল। কেউ হয়তো প্রথমবার, কেউ হয়তো অসংখ্যবারের মতো আবারো ছুটছেন সেন্টমার্টিনের পথে। তবে কিছু কথা সেন্টমার্টিন নিয়ে অন্তত প্রতি সিজনের শুরুতে না বললেই হয়তো নয়। সেন্টমার্টিন ভ্রমণ যাতে কারো কাছে মর্মান্তিক হয়ে না ওঠে তাই সেখানে যাওয়ার আগে বেশ কিছু বিষয় জেনে রাখা দরকার।

মনে আছে, কিছুদিন আগে ভাইরাল হওয়া নেটওয়ার্কের বাইরে নাটকের কথা। কিংবা বহু বছর আগে সেন্টমার্টিনে আহছানউল্লাহ ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের দুঃখজনক মৃত্যুর কথা। আজ সে বিষয়েই বলবো কিছু কথা- যদি সেন্টমার্টিনের ম্যাপ দেখেন তাহলে স্পষ্ট বুঝতে পারবেন বিষয়টি। খেয়াল করলে দেখবেন, সেন্টমার্টিনের যে প্রান্তে সর্বাধিক মৃত্যুর ঘটনা সেটি কিন্তু মাথা বা কোণার দিকে। বাংলাদেশের সঙ্গে পৃথিবীর অন্যান্য সৈকতে মানুষ মারা যাওয়ার মধ্যে একটি পার্থক্য হলো, ভাটার সময় কোনো দেশ পর্যটকদের সমুদ্রে নামার অনুমতি দেয় না।

তবে দেশের অনেক মানুষ অজান্তেই ভাটার সময় সমুদ্রে নেমে পানিতে ভেসে যায়। এজন্য কক্সবাজার বা কুয়াকাটায় যাওয়ার আগে গুগল করে জোয়ার ভাটার সময় জেনে নিতে পারেন। ভাটার সময় মানুষের ভেসে যাওয়া বাদেও আরও একটি বিপজ্জনক বিষয় আছে। যাকে বলা হয়, রিপ কারেন্ট বা উল্টো স্রোত। সমুদ্রসৈকতে ৮০ ভাগ মৃত্যু এই রিপ কারেন্ট বা উল্টো স্রোতের কারণে হয়। এমনকি অস্ট্রেলিয়াতেও প্রতিবছর গড়ে ২২ জন মারা যায় রিপ কারেন্টের কারণে। এদেশেও সমুদ্রসৈকতে যেসব মৃত্যু হয়, তার বেশিরভাগই রিপ কারেন্টের জন্যই হওয়ার কথা। আবার সেন্টমার্টিনের মাথার দিকে যে সরু অংশ সেটিও কিন্তু রিপ কারেন্টের একটি বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে মিলে যায়।

রিপ কারেন্ট বা উল্টো স্রোত কী: এটি এক ধরনের ঢেউ, যা সমুদ্রের তটে ধাক্কা খেয়ে উল্টো দিকে প্রবাহিত হয়। অনেক ক্ষেত্রে, এই ধাক্কা খেয়ে ফিরে যাওয়া ঢেউ বাতাসের কারণে বা প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের কারণে চিকন একটি পথ ধরে সমুদ্রে ফিরে যেতে পারে। আর ওই সরু পথে যদি কেউ থাকে তবে ঢেউ তাকে ধাক্কা দিয়ে সমুদ্রে নিয়ে ফেলতে পারে। এই সরু পথের ঢেউকেই বলা হয়, রিপ কারেন্ট বা উল্টো স্রোত। এটি যে কোনো সমুদ্রে হতে পারে, তবে কিছু কিছু জায়গায় প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের কারণে নিয়মিত রিপ কারেন্ট বা উলটো স্রোত হতে পারে।

কীভাবে রিপ কারেন্ট বা উল্টো স্রোত চিনবেন: রিপ কারেন্ট বা উল্টো স্রোতের একটা ভয়ংকর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এটি দেখতে মনে হয় খুব শান্ত ও উপর থেকে ওই ঢেউয়ের পানির রং গাঢ় নীল দেখায়। অনেক ক্ষেত্রে রিপ কারেন্ট বা উল্টো স্রোতের সময় দেখবেন কিছু না কিছু ভেসে সাগরের দিকে যাচ্ছে। রিপ কারেন্ট যখন প্রবাহিত হয় তখন সে ফেরার পথে ঢেউয়ের মাথা ভেঙে দেয়। ফলে সেই স্থান বেশি শান্ত দেখায়।

উল্টো স্রোতে পড়লে কীভাবে বাঁচবেন: যারা সাঁতার জানেন তারা রিপ কারেন্টে পড়লে, তীরের দিকে ফেরার চেষ্টা না করে বরং সৈকতের সমান্তরালভাবে উল্টো স্রোত থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করতে হবে। কারণ সাগরের স্রোত যখন টান দেবে, তখন শক্তি দিয়েও স্রোতের বিপরীতে ফেরা যাবে না। তাই শক্তি নষ্ট করবেন না।

রিপ কারেন্ট কয় ধরনের: তিন ধরনের রিপ কারেন্ট আছে। একটি ফিক্সড, আরেকটি হঠাৎ আরেকটি টপোগ্রাফিক যার মধ্যে অন্যতম একটি হলো হেডল্যান্ডের কারণে রিপ কারেন্ট। ফিক্সড হয় কিছু কিছু এলাকায় যেমন- যেখানে ব্রিজ আছে বা কোনো গভীর গর্ত আছে। হঠাৎ যেটি হয়, সেটি যে কোনো জায়গায় বাতাসের কারণে হতে পারে। সেন্ট মার্টিনের বিপজ্জনক অংশ হেডল্যান্ড বৈশিষ্ট্যের এলাকায়, যেখানে রিপ কারেন্ট ঘন ঘন হয় প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের কারণে। এক্ষেত্রে বাতাসের কারণে দুদিকের পানি ধাক্কা দিয়ে এর মাথায় বা তার দুপাশেই একটি রিপ কারেন্ট তৈরি হতে পারে। এটি একটি মৃত্যুফাঁদ।

এখানে প্রাকৃতিক অবস্থানের কারণে অনেক বড় বড় চ্যানেল তৈরি হয়েছে, যেগুলো দিয়ে ঘন ঘন উলটো স্রোত বা রিপ কারেন্ট প্রবাহিত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। যা শান্ত পানি দেখে নামা পর্যটকদের ভাসিয়ে নিয়ে যায়। তাই ভুলেও জেটি ঘাটে নেমেই উত্তরের বিচে নামতে যাবেন না। যদিও সেন্টমার্টিনের পানিতে নামার জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিচ উত্তর বিচ। তবে এই উত্তর-পূর্বেই আছে ভয়ংকর রিপ কারেন্ট। সেন্টমার্টিনের এলাকাবাসি জানে এই এলাকায় সাঁতার কাটতে নেই। তাই সামনে কাউকে দেখলে তারা মানা করেন। তবে বেশিরভাগ মানুষই অসাবধানতার কারণে উল্টো স্রোতে পড়ে মারা যায়।

সেন্টমার্টিনের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের কারণে হেডল্যান্ড ধরনের টপোগ্রাফিক রিপ কারেন্ট কিন্তু নিয়মিত একটি বৈশিষ্ট্য। এই স্থানে যদি একটি মৃত্যুও ঘটে, আমরা কিন্তু তাকে দুর্ঘটনায় বলতে পারি না। আমাদের সবারই উচিত এ বিপজ্জনক স্থান সম্পর্কে জানা ও অন্যকে জানানো। যাতে অজান্তে আর কোনো মৃত্যু না ঘটে।

বলে রাখা ভালো, রিপ কারেন্ট পৃথিবীর সব সৈকতেই হয়। এজন্য সতর্কতাও নিতে হয়। রিপ কারেন্টের ভয়ে সমুদ্রযাত্রা বন্ধ করার দরকার নেই। তবে সতর্ক থাকা জরুরি।

নিউজ ট্যাগ: রিপ কারেন্ট

আরও খবর

অরণ্যযাপনের আগে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখবেন

বৃহস্পতিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৯০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর