শেরপুরে ঝিনাইগাতীতে
পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার পানিতে নিখোঁজ হওয়ার ১৫ ঘণ্টা পর শনিবার সকালে দুই জনের লাশ
উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও বন্যার পানিতে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে আরও
এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতরা হলেন,
ঝিনাইগাতী উপজেলার সদর ইউনিয়নের কৃষক আশরাফ আলী ও ধানশাইল ইউনিয়নের বাগেরভিটা গ্রামের
রাজমিস্ত্রী আবু কালাম। বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে নিহত কিশোরের নাম শিপন মিয়া।
ঝিনাইগাতী উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফারুক আল মাসুদ বলেন, শুক্রবার বিকেল থেকে তারা ঢলের পানির
তোড়ে ভেসে গিয়ে ২ জন নিখোঁজ ছিলেন।
অন্যদিকে, ঘরে
পানি ওঠায় বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর অসাবধানতাবশত বিদ্যুতের তার ছিড়ে শুক্রবার রাতে
বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে নালিতাবাড়ীর নন্নী বন্দ ভাটপাড়া এলাকার এক কিশোর নিহত হয়। নিহত
শিপন মিয়া ওই গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে এবং স্থানীয় মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণীর ছাত্র ছিল
বলে স্থানীয়রা জানান।
শেরপুরে পাহাড়ি
ঢলে শতাধিক প্লাবিত হওয়ায় ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও শ্রীবরদী উপজেলার অর্ধলক্ষাধিক মানুষ
পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি ও উজানের ঢলের তেজ কিছুটা কমলেও বন্যা পরিস্থিতির আরো
অবনতি ঘটেছে। ঢলের তোড়ে গ্রামীণ রাস্তাঘাট, নদীর বাঁধ, সেতু-কালভার্ট ভেঙ্গে যাওয়ায়
বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
পাহাড়ি ঢলে
পানিবন্দি এলাকার মানুষজনকে উদ্ধার করতে প্রশাসনের নির্দেশে ফায়ার সার্ভিস ও স্কাউট
সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে। বন্যা কবলিত এলাকায় খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের
পক্ষ থেকে বন্যার্তদের মাঝে শুকনা খাবার ও চাল বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট
উপজেলার ইউএনওরা।