Logo
শিরোনাম

শেরপুরে অজ্ঞাত রোগে ২০ গরুর মৃত্যু, আতঙ্কে খামারিরা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | ১৭৯৫জন দেখেছেন
Image

শেরপুর প্রতিনিধি:

শেরপুরে গত এক মাসে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে ২০টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। গরুগুলোর আনুমানিক মূল্য প্রায় ৬০ লাখ টাকা। একের পর এক গরুর মৃত্যুতে এলাকার খামারিদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর সদর উপজেলার পাকুরিয়া ইউনিয়নের তিলকান্দি পূর্বপাড়া ও ভাটিয়াপাড়া গ্রামে ছোট-বড় কয়েকটি গরুর খামার রয়েছে। প্রতিটি খামারে সার্বোচ্চ ১৫ থেকে সর্বনিম্ন ৬টি গরু রয়েছে। এসব খামারে প্রতিটি গাভি প্রতিদিন গড়ে ২০ থেকে ৩০ লিটার দুধ দেয়। যারই ধারাবাহিকতায় জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ইতোমধ্যে এই দুটি গ্রামকে দুগ্ধগ্রাম হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে গত ১২ মার্চ থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত অজ্ঞাত রোগে ২০টি গরুর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কোনো সহযোগিতা না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন একাধিক খামারি।

তিলকান্দি গ্রামের জহুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের গ্রামসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের প্রায় সবাই গরু পালন করে। গাভির দুধ বিক্রি করে অনেকের সংসারও চলে। আমি পেশায় একজন কৃষক। অনেক কষ্ট করে ৫০ হাজার টাকা জমিয়ে একটি ষাঁড় কিনেছিলাম। চিন্তা করেছিলাম কোরবানির ঈদে বিক্রি করব। কিন্তু অজ্ঞাত এক রোগে আমার গরুটি মারা গেছে। গরুটির হঠাৎ করে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া ও শ্বাসকষ্ট ছিল। এরপর মুখ দিয়ে লালা ঝরতো।

আরেক খামারি হাশেম মিয়া বলেন, আমি চারটি গরু নিয়ে খামার শুরু করি। কিন্তু গত কয়েকদিনে আমার খামারের তিনটি গাভি মারা গেছে। আমি গরিব মানুষ। অনেক স্বপ্ন নিয়ে গরু পালন শুরু করেছিলাম। এখন আমার সব শেষ হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে আমার প্রায় ৪ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।

খামারি মনিরুজ্জামান মনির অভিযোগ করে বলেন, আমাদের এলাকায় সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ থেকে ৪০টি গরু মারা গেছে। কেউ যদি আমাদের কাছে প্রমাণ চায়। তাহলে আমরা কবর খুঁড়ে খুঁড়ে তার প্রমাণ দিতে পারব।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কোনো সহযোগিতা পাইনি। গরুর অসুস্থতার কথা জানিয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে ফোন দিলে তারা সকালের কথা বলে বিকেলে আসেন। আসার পর প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আমাদের কাছ থেকে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা নিয়ে চলে যান। তারা যাওয়ার পরপরই গরু মারা যায়। কিন্তু কী কারণে গরুগুলো মারা যাচ্ছে তারা এখন পর্যন্ত সেটি নিশ্চিত করতে পারেননি।

সদর উপজেলা কৃষক সমিতির সভাপতি সোলাইমান আহমেদ বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক যেহেতু প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এই গ্রাম দুগ্ধগ্রাম হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাহলে এই গ্রামের খামারিদের বিপদে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পাশে থাকা দরকার ছিল। তারা সেটি না করে গরুর মৃত্যুর পর খামারিদের দিয়েই ময়নাতদন্ত শেষ করে। গরুর বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিয়ে গিয়েই তাদের কর্তব্য শেষ করছে। খামারিরা গরুর মৃত্যুর কারণে এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্ত, তারপর তাদের কাছ থেকে তিন থেকে চার হাজার টাকা নিচ্ছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের লোকজন।

স্থানীয় পশু চিকিৎসক শাহাদৎ হোসেন জানান, গরুগুলো দেখে মনে হয়েছে সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত। প্রায় সব গরুই আক্রান্ত হওয়ার পর হাঁপাচ্ছিল এবং শ্বাসকষ্ট ছিল। সামনে থেকে পেছনে অথবা পেছন থেকে সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ছিল। মুখ দিয়ে লালা ঝরছিল। একপর্যায়ে খাওয়া বন্ধ করে দেয় এবং আক্রান্তের দুই-এক দিনের মাথায় মারা যায়।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. পলাশ কান্তি দত্ত বলেন, আমরা মৃত গরুগুলোর প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠিয়েছি। পরীক্ষার ফলাফল পেলে গরুগুলোর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি খাদ্যে বিষক্রিয়াজনিত কারণে গরুগুলো মারা গেছে। আপাতত খামারিদের কিছু খাবার বন্ধ রাখতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, অনেক সময় জরুরি মুহূর্তে গরুর জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধের প্রয়োজন হয়। তখন হয়তো প্রাণিসম্পদ অফিসের কেউ ওষুধ কিনে নিয়ে গরুর শরীরে ব্যবহার করেছে। তাই সে টাকা তারা খামারিদের কাছ থেকে নিয়েছেন।

নিউজ ট্যাগ: খামারি শেরপুর

আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর