ঈদের আগে শেষ
কর্মদিবসে বৃহস্পতিবার সচিবালয় ছিল স্বাভাবিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি অন্য
দিনের মতোই ছিল। পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) শেষ কর্মদিবস। শুক্রবার
থেকে শুরু হচ্ছে টানা ছয়দিনের ছুটি।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে
আগামী ২ বা ৩ মে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
সচিবালয়ে গৃহায়ন
ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়,
ভূমি মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যুৎ,
জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ঘুরে দেখা গেছে কর্মকর্তা
ও কর্মচারীদের উপস্থিতি প্রায় স্বাভাবিক।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের
অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) ওয়াহিদা আক্তার বলেন, আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের
বেশির ভাগই ঢাকায় ঈদ করবেন। দু-একজন ছাড়া মোটামুটি সবাই উপস্থিত আছেন। মন্ত্রী মহোদয়
মিটিং করছেন। দুপুর ২টার দিকে আমাদের একটি সংবাদ সম্মেলনও আছে। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের
অফিস চলছে।
বেশিরভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারী
ছুটি শেষে আগামী ৫ মে অফিসে উপস্থিত থাকবেন। যাদের আগে থেকে ঐচ্ছিক ছুটির আবেদন করা
আছে, তারা ৫ মে ছুটি কাটাবেন। তবে এমন কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা দুই-চারজনের বেশি
নয়।
শেষ কর্মদিবস
হওয়ায় অনেকে সহকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ একেবারে
দূর না হওয়ায় শুভেচ্ছা বিনিময়ের ক্ষেত্রে আগের মতো কোলাকুলি নেই।
সচিবালয়ে গাড়ি
রাখার স্থানগুলো ছিল অন্যান্য দিনের মতোই পূর্ণ। অভ্যর্থনা কক্ষেও সচিবালয়ে প্রবেশের
জন্য দর্শনার্থীদের আনাগোনা দেখা গেছে।
আগামী ২৯ ও ৩০
এপ্রিল (শুক্র ও শনিবার) সপ্তাহিক ছুটি। এরপর ১ মে (রোববার) হচ্ছে মে দিবসের ছুটি।
এরপর ৩ মে (রমজান মাস ৩০ দিন ধরে) ঈদ ধরে ২, ৩ ও ৪ মে (সোম, মঙ্গল ও বুধবার) ঈদের ছুটি
ধরেছে সরকার। সেই হিসেবে আগামী ৫ মে অফিস করতে হবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
৫ মে কেউ ছুটি
নিলে তিনি টানা ৯ দিনের ছুটি পেয়ে যাবেন। তাই সরকার ৫ মে (বৃহস্পতিবার) ছুটি ঘোষণা
করে এ সুবিধাটা দেবে কিনা- সেই বিষয়টি আলোচিত হচ্ছিল। কিন্তু ৫ মে ছুটি দেওয়ার বিষয়টি
নাকচ করে দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
আগামী ৫ মে ছুটি
থাকছে না জানিয়ে এর আগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম জাগো নিউজকে
বলেছিলেন, ‘৫ মে ছুটি নিলে টানা অনেক দিনের ছুটি হচ্ছে, ওভাবেই
পড়েছে আর কী। কর্মচারীদের অপশনাল ছুটির একটা বিষয় আছে। যারা বৃহস্পতিবার ছুটি নেবে,
তারা ধারাবাহিকভাবে ছুটিটা ভোগ করতে পারবে। যিনি ছুটি নেবেন না, তাকে তো ওইদিন অফিস
করতে হবে।’
তিনি আরও বলেছিলেন,
‘কেউ যদি ওইদিন
ছুটি না নিয়ে অফিসে অনুপস্থিত থাকে তবে আগে-পিছনের সব ছুটি তার ছুটি থেকে কাটা যাবে।’