রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ক্রাইমিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সেতুতে হামলার প্রতিশোধ নিতেই ইউক্রেইনজুড়ে রুশ বাহিনীর ব্যাপক হামলা শুরু হয়েছে।
রাশিয়া ও ক্রাইমিয়ার মধ্যকার প্রধান ওই সংযোগ সেতুতে বিস্ফোরণের জন্য পুতিন ইউক্রেইনকে দায়ী করে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ করেছেন এবং এই ‘সন্ত্রাসী হামলার’ জেরে ইউক্রেইনে রুশ হামলা আরও জোরদার করার হুমকিও দিয়েছেন।
ক্রাইমিয়ার ওই সেতুর নাম কের্চ। শনিবার এক ট্রাক বিস্ফোরণে সেতুটির একটি অংশ ধসে পড়ে এবং কাছের রেল সেতুতে জ্বালানিবাহী একটি ট্রেনের বগিতে আগুন ধরে যায়। বিস্ফোরণে তিন জন নিহত হয় বলে জানিয়েছেন রুশ গোয়েন্দারা।
দায় স্বীকার না করলেও এই ঘটনাকে বিজয় বলেই দাবি করেছেন ইউক্রেইনীয় কর্মকর্তারা। ওদিকে, পুতিন বলেছেন, “কোনও সন্দেহ নেই, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংসের লক্ষ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানো হয়েছে।ইউক্রেইনের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নির্দেশে, তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী এটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।”
ইউক্রেইনকে পুতিনের এই দোষারোপের পরপরই সোমবার দেশটির রাজধানী কিইভসহ বিভিন্ন শহরে রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়েছে।
ইউক্রেইন যুদ্ধের প্রথমদিকে কিইভ দখলের চেষ্টা বাদ দেওয়ার কয়েকমাস পর এই প্রথম শহরটিতে হামলা চালাল রাশিয়া। ইউক্রেইন জানিয়েছে, দেশজুড়ে শুরু হওয়া রুশ হামলায় ১১ জন নিহত হয়েছে।
বিবিসি জানায়, সোমবার ইউক্রেইনজুড়ে ব্যাপক মাত্রার বিমান হামলা চলার মধ্যেই রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, অন্যান্য আরও হামলা চালানো হবে। হামলা বাড়ানোটা রাশিয়ার দিক থেকে লড়াই আরও জোরদারেরই সূচনা বলে স্যোশাল মিডিয়ায় আভাস দিয়েছেন তিনি।
মেদভেদেভ বলেন, “ইউক্রেইন রাশিয়ার জন্য বরাবরই প্রত্যক্ষ এবং স্পষ্ট হুমকি হয়ে থাকবে। তাই আমাদের ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ হতে হবে ইউক্রেইনের রাজনৈতিক সরকারকে পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দেওয়া।”