যারা অনাকাঙ্খিত ঘটানার সৃষ্টি করতে চান তাদের উদ্দেশ্যে বলছি একটি আঘাত হানলে পাল্টা আঘাত হবে। আমার নেতাকর্মীদের যদি কেউ হয়রানি করছে চান তা হলে তার পাল্টাটা হবেই তা আজ থেকে ধরে নিবেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ধুপপাশা থেকে পিরোজপুরের শেষ পর্যন্ত পর্যন্ত আপনাদের উপস্থিতিতে অনেকটা অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল, যারা ষড়যন্ত্র করতে চায় তারা বুঝেছে আপনাদের ভালোবাসা আমারপ্রতি কতটা। তারা বুঝেছে অকারণে লম্ফ-লম্ফ দেওয়া, অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলা, পরিবেশ নষ্ট করা এবং দলের দুর্দিনের পরিক্ষিত নেতা-কর্মীকে অবহেলা করে কিছু করা সম্ভব নয়। সেটা আপনারা প্রমান করেছেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম আজ মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) পিরোজপুর-১ আসনের সফরকালে নাজিরপুর স্টেডিয়ামে এক জনসভায় এক কথা বলেন।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, আমার প্রতি দু-চার জন নেতার ভালোবাসা না থাকতে পারে কিন্তু পিরোজপুর-নাজিরপুর-স্বরূপকাঠির ৫ লক্ষ ভোটার সহ ৭ লক্ষ মানুষের ভালোবাসা আমার সাথে আছে। আমি নেতৃত্ব চাই না, আপনা ভোট দিয়ে আমাকে এমপি বানিয়েছেন, জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মন্ত্রী করেছেন আমার দায়িত্ব নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়ন করা।। এই অঞ্চলের উন্নয়ন করতে একটার পর একটা প্রকল্প এনেছি এবং বাস্তাবায়ন করে যাচ্ছি। এই দুই বছরে এই জনপদের যে উন্নয়ন হয়েছে তা দেশের কোন এলাকায় হয় নি। যত উন্নয়ন দরকার পিরোজপুর-১ আসনে তার সব হবে।
তিনি বলেন, চিরদিন আমারা কেউ বেঁচে থাকবো না, এমপি মন্ত্রী থাকবো না, যতক্ষন আছি পিরোজপুর-১ আসনের উন্নয়ন করে যাব। অনেকেই তো এমপি ছিলেন, বড়-বড় দায়িত্বে ছিলেন দীর্ঘকাল। আমিতো মাত্র তো মাত্র দুই বছর ধরে দায়িত্বে আছি তার মধ্যে এক বছর করোনা। কিন্তু এই এক বছরে সে সব বড় বড় প্রকল্প এনেছি তার হাজার ভাগের এক ভাগও আনেতে পেরেছে ? এই কাজ করে নিজের কাছে তৃপ্তী হয় আমি আমার এলাকার মানুষকে ফাঁকি দেই নি।
আপনাদের উপর অনেক হুমকি, অনেক চাপ, অনেক কথা আছে কিচ্ছু যায় আসে না, সাধারণ মানুষ ভালোবাসলে রাতের আধারে দু-একটি মটর সাইকেল নিয়ে এসে বা টেলিফোনে হুমকি দিয়ে কিছু যায় আসে না। সাধারণ মানুষ যদি পাশে থাকে কিছু হবে না। নদীর স্রোতের উপর দুই টুকরো পাথর ছুড়লে নতুন স্রোতের সৃষ্টি হয় না। সহজ-সরল এই সাধারণ মানুষ আমার ভরসা, প্রধানমন্ত্রী আমার আস্থার জায়গা। বিশ্বাসের জায়গা পরম করুনাময় রব্বুলআলমামিন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, আমি তো আপনাদের টাকা দিয়ে আনি না, ভয় দিয়ে আনি না, ভালোবাসায় আপনারা আমার কাছে আসেন, আমিও আপনাদের কাছে ছুটে যাই। আমার মনে হয়েছি করোনাকালীন সময়ে আপনাদের পাশে থাকা দরকার এতে যদি মৃত্যু হয় তবে তা যেন আপনাদের মাঝে হয়। আমার কোন ভয় নেই আপনারাও ভয় পাবেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সাথে আছে। রব্বুলআলমামিন আমাদের সহায়। আমার নেতাকর্মীদের যদি অনাকাঙ্খিতভাবে হয়রানি তার দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে। আমি ভদ্রতা দেখাই তার মনে এই নয় যে, আমার নেতাকর্মীকে হয়নানি করবে, পায়ে-পা দিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি করবে আর আমি তাদের ছাড় দিব। কেউ ক্ষমতাধর নয় আমি দুই বছর মন্ত্রী এই সময় আমি কাউকে হয়রানি করি নি। এটা আমার স্বভাব না। কিন্তু আমার নেতাকর্মীদের যদি কেউ হয়রানি করে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। নদীর জল যত তরল কিন্তু তা বরফ হলে কতো কঠিন আকার ধারণ করে তা ভেবে দেখেছেন।
যারা অনাকাঙ্খিত ঘটানার সৃষ্টি করতে চান তাদের উদ্দেশ্যে বলছি একটি আঘাত হানলে পাল্টা আঘাত হবে। আমার নেতাকর্মীদের যদি কেউ হয়রানি করছে চান তা হলে তার পাল্টাটা হবেই তা আজ থেকে ধরে নিবেন।