‘মডেলরা অভিনয় করতে জানে না’ এই এক কথায় পাল্টে যায় একজন মডেলের জীবন। জেদের বশে উঠেপড়ে লাগেন অভিনয়ের পেছনে। জেদ ছিল অভিনেতা তিনি হয়েই দেখাবেন। যেই কথা সেই কাজ। আফরান নিশো এখন কতটা ‘অভিনেতা’ হয়ে উঠেছেন, তা তো তার নাটক আর ইউটিউবে থাকা নাটকগুলোর নিচে মন্তব্য দেখলেই বোঝা যায়। পলকে পলকে নিশো দিন দিন নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। বিচিত্র চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের হৃদয়ে পাকাপোক্ত জায়গা করে নিচ্ছেন ছোট পর্দার এই দাপুটে অভিনেতা। এবার প্রথমবারের মতো গোয়েন্দা চরিত্রে অভিনয় করলেন নিশো। নির্মাতা তানিম নূরের পরিচালনায় ‘কাইজার’ ওয়েব সিরিজের নাম ভূমিকায় দেখা যাবে নিশোকে। আগামী ৮ জুলাই হইচইয়ে মুক্তি পাবে এটি।
নিজের চরিত্র নিয়ে নিশো বলেন, কাইজার একজন জিনিয়াস ডিটেকটিভ, তার অনেক রকম সমস্যা আছে। কিন্তু জীবনের গভীরে সেও একজন মানুষ। চরিত্রটি আমাকে আকর্ষণ করেছে আর আমি কাজটা আনন্দ নিয়ে করেছি। খুব শিগগির কাইজারের ট্রেইলার মুক্তি পাবে। কাইজার হিসেবে দর্শক আমাকে কীভাবে নেন, তা জানার অপেক্ষায় রইলাম। এডিসি কাইজার চৌধুরী একজন হোমিসাইড ডিটেকটিভ। ব্যক্তিগত জীবনে বিপর্যস্ত কাইজার একজন ভিডিও গেম অ্যাডিক্ট। বদমেজাজি এই ডিটেকটিভ রক্ত ভয় পায় কিন্তু ডিটেকটিভ হিসেবে প্রথম শ্রেণির বলে জানান নির্মাতা।
‘কাইজার’ চরিত্রের স্রষ্টা তানিম নূর। এই চরিত্র নিয়ে তার অনেক স্বপ্ন। তা স্মরণ করে এই পরিচালক বলেন, এটি আমার ড্রিম প্রজেক্ট। ছোটবেলা থেকে আমরা ফেলুদা, তিন গোয়েন্দা, ব্যোমকেশ বা শার্লক হোমস পড়ে বড় হয়েছি। চরিত্রগুলো কলকাতা বা বাইরের দেশের প্রেক্ষাপটে গড়ে উঠেছে। এদের নিয়ে বেশ কিছু কাজও হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের বা ঢাকার মৌলিক একটি গোয়েন্দা চরিত্র নিয়ে খুব বেশি কাজ হয়নি। আমার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশের একটি গোয়েন্দা চরিত্রের ফ্র্যাঞ্চাইজি তৈরি করার। ছোটবেলা থেকে পড়া গোয়েন্দা গল্পগুলোর প্রতি যে ভালোলাগা কাজ করত, সেখান থেকেই সিরিজটি নির্মাণ করেছি।
সিরিজটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন—মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, আহমেদ রেজা রুবেল, নাদের চৌধুরী, রিকিতা নন্দিনী শিমু, শাহেদ আলী, শতাব্দী ওয়াদুদ, সুমন আনোয়ার, দীপান্বিতা মার্টিন, ইমতিয়াজ বর্ষণ, সৌম্য জ্যোতি, নাজিবা বাশার, শঙ্খ জামান, জিনাত সানু স্বাগতা, আহমেদ হাসান সানী, মোস্তাফিজ শাহীন, ঋদ্ধি প্রমুখ।