শিক্ষা নিয়ে ব্যবসা
করার মানসিকতা পরিহার করার জন্য এ খাতের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি
মো. আবদুল হামিদ।
মঙ্গলবার (৩১
জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের
প্রথম সমাবর্তনে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, শিক্ষাকে
নিয়ে ব্যবসা করার মন-মানসিকতা পরিহার করাই সবার জন্য মঙ্গল।বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার
ক্ষেত্রে আইন ও বিধিবিধান মেনে চালাবেন। নিজেদের ইচ্ছে আর সুবিধামতো বিশ্ববিদ্যালয়
চালানো যাবে না। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দাতব্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত হোক,
সেটা যেমন চাই না; আবার এটাও চাই না যে শিক্ষাকে পণ্য বিবেচনা করে শিক্ষার নামে বিশ্ববিদ্যালয়
বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হোক।
রাষ্ট্রপতি বলেন,
দেশে বর্তমানে দেড় শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। পত্রপত্রিকা খুললেই দেখা যায়, কিছু
কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিগ্রির নামে সার্টিফিকেট বিতরণ করে যাচ্ছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়
গ্রাজুয়েট তৈরির কারখানাও খুলে বসেছে।
তিনি বলেন, একবিংশ
শতাব্দীতে বৈশ্বিক অগ্রযাত্রার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে, জাতির উন্নয়ন, উন্নত সমাজ গঠন
এবং বিশ্বমানের গ্রাজুয়েট তৈরির লক্ষ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গুণগত মান, স্বচ্ছতা ও
জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। গুণগত মান ছাড়া উচ্চশিক্ষা মূল্যহীন। তাই উচ্চশিক্ষা
যাতে কোনোভাবেই সার্টিফিকেট সর্বস্ব না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের
আচার্য বলেন, শিক্ষার্থীদেরকে শুধু পাঠ্যপুস্তক অধ্যয়নের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেই চলবে
না, পাঠ্য বিষয়ের সঙ্গে সঙ্গে বহির্জগতের জ্ঞানভান্ডার হতে জ্ঞান আহরণ করতে হবে। নিজেকে
কর্মবীর ও জ্ঞানী করে তোলাই হবে শিক্ষার মূল লক্ষ্য। উচ্চ চিন্তা ও সহজ জীবনাচরণ তোমাদের
প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে। সদাচরণ আর সদালাপ হচ্ছে শিক্ষা জীবনের ভূষণ।
আবদুল
হামিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে দেশ উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে
এগিয়ে যাচ্ছে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে আমাদের গর্বের বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে
উন্নীত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে
পরিণত করতে প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা বিস্তারের কোনো বিকল্প নেই।