আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে
দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণি পাঠদান
শুরু হবে। স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব মেনে শ্রেণি পাঠদান নিশ্চিত করতে শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানগুলো নির্দেশনা অনুযায়ী রুটিন তৈরি করবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর)
রুটিন তৈরির একটি নির্দেশনা জারি করেছে। প্রতিদিন নির্দিষ্ট শ্রেণিতে ২টি করে ক্লাস
ধরে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রুটিন তৈরি করবে।
২০২১ ও ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী
এবং পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন আসবে এবং অন্যান্য শ্রেণির
শিক্ষার্থীরা আসবে সপ্তাহে একদিন।
রুটিন তৈরির ১১ নির্দেশনা:
১. ২০২১ ও ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী
এবং পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন শিক্ষাপ্রাতষ্ঠানে আসবে।
২. প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, ষষ্ঠ, সপ্তম,
অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা একদিন প্রতিষ্ঠানে আসবে
৩. সপ্তাহে প্রতিদিন নির্দিষ্ট শ্রেণিতে ২টি করে
ক্লাস ধরে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রুটিন তৈরি করবে।
৪. রুটিনের সঙ্গে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ব্যবহারিক ক্লাস
নির্ধারণ করা যেতে পারে।
৫. যেসব প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক
স্তর সংযুক্ত রয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠান ওই সব স্তরের জন্য নির্ধারিত ক্লাসগুলো সমন্বয়
করে রুটিন করবে।
৬. জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো চলমান ডিগ্রি, সম্মান ও মাস্টার্স পরীক্ষার সঙ্গে সমন্বয় সাপেক্ষে
২০২১ ও ২০২২ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য রুটিন প্রণয়ন করে শ্রেণি কার্যক্রম
পরিচালনা করবে।
৭. রুটিন প্রণয়নের ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন
শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ, প্রস্থান ও অবস্থানের সময় স্বাস্থ্যবিধি
লঙ্ঘনের মতো ঘটনা না ঘটে।
৮. রুটিন এমনভাবে প্রস্তুত করতে হবে যেন ভিন্ন ভিন্ন
শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে এবং প্রতিষ্ঠান থেকে
বের হয়।
৯. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আপাতত এসেম্বলি বন্ধ থাকবে।
১০. প্রতিদিন নির্ধারিত চেকলিস্ট অনুযায়ী তথ্য পাঠাতে
হবে।
১১. পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ক্লাস রুটিন
তৈরির ক্ষেত্রে উল্লিখিত বিষয়গুলো অনুসরণ করতে হবে।