সিলেট-৩ আসনে উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত
হচ্ছে। শনিবার ( ৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এই আসনের ১৪৯টি কেন্দ্রে
ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতি ব্যবহার করে ভোট চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ
মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান নৌকা প্রতীকে, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ আতিকুর রহমান
লাঙ্গল প্রতীকে, বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া ডাব প্রতীকে এবং বিএনপির
কেন্দ্রীয় সদস্য (বহিষ্কৃত) স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আহমেদ চৌধুরী মোটর গাড়ি প্রতীক
নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সিলেট-৩ আসনের
উপনির্বাচনে প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
প্রতিটি উপজেলায় একজন করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নির্বাচনের দিন দায়িত্ব পালন করবেন।
নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সল কাদের জানান, ভোটগ্রহণের দিন কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে
দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলা। ভোটকেন্দ্রে থাকবে পুলিশ, আনসার ও গ্রাম
পুলিশের ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য। আর ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে নিয়োজিত থাকবে ১৮ থেকে ১৯ জন
সদস্য। এদের মধ্যে পুলিশ ও আনসার সদস্যের কাছে অস্ত্র থাকবে।
তিনি আরো বলেন, পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন
আনসারের সমন্বয়ে গঠিত মোবাইল ফোর্স ২১টি, স্ট্রাইকিং ফোর্স ১২টি, র্যাবের ১২টি টিম
ও ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। বিজিবির সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
দায়িত্ব পালন করবেন যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা মোকাবিলায়। ভোটগ্রহণের দিন নির্বাচনী
আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতকরণ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত রাখা হবে
২১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
সিলেট-৩ আসনটি ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ ও
দক্ষিণ সুরমা নিয়ে গঠিত। এতে ৩ লাখ ৫০ হাজারের মতো ভোটার রয়েছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা
বলেন, সিলেট-৩ আসনের উপ নির্বাচনে প্রতিটি ইউনিয়নের একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
দায়িত্ব পালন করবেন। আমরা প্রতিটি উপজেলায় একজন করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে দায়িত্ব
দিয়েছি। তারা নির্বাচনের দিন দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে নির্বাচনী
সরঞ্জাম এসে পৌঁছেছে। এই নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাই কাজ করবে।
আমাদের মধ্যে সমন্বয় রয়েছে।
১১ মার্চ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে
সিলেট-৩ আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের শর্ত ৪ অনুযায়ী পদ শূন্য
হওয়ার দিন থেকে ৯০ দিনের মধ্যে শূন্য পদ পূরণ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।