Logo
শিরোনাম

সিনেমা হলবিহীন কিশোরগঞ্জ

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ মে ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | ১০১০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আকাশ সংস্কৃতির যুগে কিশোরগঞ্জের সিনেমাপ্রেমিরা আজকাল সিনেমা হলে সহসাই পা বাড়ায় না। কষ্ট করে আর গাঁটের পয়সা খরচ করে সিনেমা হলে যায় না তারা। মোবাইলের মেমোরি কার্ড কিংবা অনলাইনের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে চোখের সামনে পেয়ে যায় মনের মতো সিনেমা। অন্যদিকে ভালো গল্প নির্ভর ছবি হলে তৈরি হচ্ছে না বা ক্রিয়েটিভ চিত্র পরিচালকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে, যে কারণে ছবির মান খুব খারাপ হচ্ছে বলে মনে করেন এক সময়ে সিনেমা হলে নিয়মিত যাওয়া দর্শকরা। তাদের মন্তব্য, বর্তমানে দেশে যেসব ছবি তৈরি হচ্ছে নানা কারণে ছবিগুলো দর্শকপ্রিয়তা পাচ্ছে না। এছাড়াও কিছু কিছু পরিচালকরা গাঁজাখোরি গল্প, হিন্দি ছবি থেকে জোড়াতালি দিয়ে গল্প তৈরি করে ছবি বানান। অন্যদিকে কোভিডের কারণে সারা দেশের চলচ্চিত্র ব্যবসায় মন্দা দেখা দেয়, একই চিত্র কিশোরগঞ্জেও।

কয়েক বছর আগেও কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন সিনেমা হলে ছিল রমরমা ব্যবসা। নতুন কোনো ছবি এলে নারী-পুরুষ হুমড়ি খেয়ে পড়তো সিনেমা হলগুলোতে। টিকিট কাউন্টারে টিকিট না পেয়ে কালোবাজারির হাত থেকে মূল্যাতিরিক্ত দামে টিকিট কিনতে হতো! এমনকি প্রেক্ষাগৃহ কাউন্টারে প্রায় প্রতিদিন টিকিট নিতে আসা মানুষজনের মধ্যে ঝুট-ঝামেলার খবর শোনা যেত। ছবি আসার সপ্তাহ খানেক আগেই জানা যেত পরবর্তীতে কী ছবি আসছে। তা নিয়ে মানুষজনের মধ্যে আগাম প্রস্তুতি থাকতো। বর্তমানে কিশোরগঞ্জের অধিকাংশ সিনেমা হল বন্ধ থাকায় এ জেলার মানুষের আনন্দ বিনোদনের পথ রুদ্ধ হয়ে পড়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ জেলা সদরে রথখলায় মানসী সিনেমা হল, বত্রিশে ইউনিভার্সেল টকিজ ও গৌরাঙ্গবাজারে রঙমহল সিনেমা হল বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে মানসী ও ইউনিভার্সেল টকিজ পরিত্যাক্ত অবস্থায় আছে। আর রঙমহল সিনেমা হল অক্ষত রেখেই, সেখানে মার্কেট বানানো হয়েছে।

করিমগঞ্জ উপজেলায় ছিল তিনটি সিনেমা হল। তার মধ্যে আঁখি সিনেমা হল এখন মার্কেট। সংগীতা প্রেক্ষাগৃহ ভেঙে ভাস্কর্য স্থাপন হয়েছে আর নিয়ামতপুরে বিনোদন সিনেমা হলটি পরিত্যাক্ত আছে। তাড়াইল উপজেলা সদরে নায়ক মাসুদ পারভেজ সোহেল রানার মালিকাধীন খেয়া সিনেমা হল ছিল। ব্যবসায় ধস নামায় তিনি তা বিক্রি করেন স্থানীয় আব্দুল হাই আদুর কাছে। বর্তমানে তাতে তিনি বাসা করেছেন। সৈকত সিনেমা হল বর্তমানে হয়েছে একটি কওমি মাদ্রাসা। কটিয়াদিতে মকুল সিনেমা হল ভেঙে বাসা-বাড়ি হয়েছে। কথাচিত্র সিনেমা হলটি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। বাজিতপুরে ছিল আলোছায়াশান্তিমহল সিনেমা হল আর একই উপজেলায় সরারচরে ছিল আশা সিনেমা হল। আলোছায়া সিনেমা হলের জায়গা কিছুটা পরিত্যাক্ত, আবার অন্যদিকে কিছু দোকানপাট হয়েছে। শান্তিমহল সিনেমা হল এখন অ্যাড. ওসমান গণি মডেল কলেজ। আশা পরিত্যক্ত। সরারচরের আরো একটি সিনেমা হল এখন রাইচমিল হয়েছে।

কুলিয়ারচর উপজেলায় রয়েছে আনন্দরাজ সিনেমা হল। তা মাঝে মাঝে চলে। ভৈরবে দরশনমধুমতি সিনেমা হল চলছে। পলাশ সিনেমা হল এখন পরিণত হয়েছে বাসা-বাড়িতে। আর ছবিঘর হয়েছে মার্কেট। হোসেনপুরে সখিসাদমহল এখন পরিত্যাক্ত। পাকুন্দিয়ার মৌসুমী, মঠখলায় শোভন, পুলের ঘাটে রাখী টকিজফাল্গুনি সিনেমা হল বর্তমানে পরিত্যাক্ত অবস্থায়। ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম উপজেলায় আগে থেকেই কোনো সিনেমা হল ছিল না। নিকলীতে একটি সিনেমা হল ছিল তা এখন অডিটোরিয়ামে পরিণত হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কানন চক্রবর্তী বলেন, আকাশ সংস্কৃতির যুগে দর্শকরা আর হলমুখি হচ্ছে না। দেশের চিত্র পরিচালকরা ভালো গল্পনির্ভর ছবি তৈরি করছেন না। আগে সামাজিক জীবনমুখি এবং গল্পনির্ভর ছবি দেখার জন্য সপরিবারে মানুষজন আসতেন সিনেমা হলে। এখন অকারণে ফাইটিং ছবি তৈরি হচ্ছে যা এক শ্রেণীর দর্শক দেখে। অধিকাংশ দর্শক সিনেমা হলে পা বাড়ান না। কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় সিনেমা হল বন্ধ হয়েছে দর্শক না থাকার কারণে। যে হলগুলো বন্ধ হয়েছে সেগুলো পুনরায় চালু করতে সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ নেয়া দরকার। এছাড়া সিনেমা হল মালিকদের প্রনোদনা ও উৎসাহ দিয়ে হলগুলোকে আধুনিক মানের করতে হবে। চলচ্চিত্র পরিচালকদের ভালো ছবি নির্মাণে সরকারি বাজেট দিতে হবে। আর সিনেমা হল ভেঙে বহুতল ভবন বা মার্কেট করার প্রবণতা রোধে সরকারের পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।

নিউজ ট্যাগ: কিশোরগঞ্জ

আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর