একসঙ্গে পাঁচ সিনেমায় সুযোগ
পেয়েছিলেন প্রার্থনা ফারদিন দীঘির। শাপলা মিডিয়ার ব্যানারে সিনেমাগুলোর মধ্যে পরিচালক
শামীম আহমেদ রনীর ছিল দুটি। মালেক আফসারী, কাজী হায়াৎ এবং শাহীন সুমনের ছিল একটি করে।
যার মধ্যে শেষ হয়েছে মাত্র একটি সিনেমা।
একসঙ্গে একাধিক সিনেমা থেকে
দীঘির বাদ পড়ার খবর চাউর হয়েছে ফিল্মপাড়ায়। যদিও বিষয়টি পরিষ্কার করে কিছুই বলেননি
শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার সেলিম খান। গত বুধবার (২৭ জানুয়ারি) তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে
ব্যস্ততার কথা বলে ফোন রেখে দেন তিনি। পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁদপুরে নিজের নির্বাচনী
এলাকায় আছেন সেলিম খান।
এদিকে ‘বঙ্গবন্ধু’ বায়োপিকের চিত্রায়ণে মুম্বাই
আছেন দীঘি। মুম্বাইয়ের দাদা সাহেব ফালকে স্টুডিওতে চলছে সিনেমার কাজ। চিত্রায়ণের ফাঁকে
সময় নিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন দীঘি।
একাধিক সিনেমা থেকে বাদের
খবরে তিনি বলেন, মূলত একটি সিনেমা নিয়ে শাপলা মিডিয়ার সঙ্গে আমার চুক্তি হয়েছে। বাকিগুলো
মুখে মুখে। বাদ দিতে হলে তো আগে নিতে হবে। না নিয়ে কীভাবে বাদ দেয়? বাকি সিনেমাগুলোর
ব্যাপারে কোনো চুক্তি হয়নি। শুনেছি সিনেমাগুলোই হবে না তাহলে বাদের কথা কেনো আসছে?
এই মুহূর্তে শাপলা মিডিয়ার
সিনেমা নিয়ে খুব বেশি আগ্রহ নেই দীঘির। আলাপকালে এমনটাও জানান এ অভিনেত্রী। তার ভাষায়,
আমার হাতে আরো অনেকগুলো সিনেমা এবং ওয়েব সিরিজ আছে। সেগুলো ডেট আমি দেশে ফিরেই দিব।
আপাতত বঙ্গবন্ধু বায়োপিক ছাড়া অন্য কিছু ভাবছি না। এতো বড় একটা কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে
পেরে আমি সত্যি আনন্দিত। আমার আর কোনো চাওয়া নেই।
২২ জানুয়ারি মুম্বাই গিয়েছেন
দীঘি। ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেখানে চিত্রায়ণ চলবে তার। তারপর ফিরবেন দেশে, মার্চে শেষে
আবার যাবেন মুম্বাই। এরপরই শেষ হবে বায়োপিকে দীঘির অংশে কাজ।
বায়োপিকে কাজের অভিজ্ঞতা
জানিয়ে শিশু শিল্পী থেকে নায়িকা বনে যাওয়া এ অভিনেত্রী বলেন, অভিজ্ঞতা অন্যরকম। পুরো
টিম খুব অ্যাকটিভ। এমন একটা টিমের সঙ্গে কাজ করতে পেরে সত্যি আনন্দিত। আমার অভিজ্ঞতার
ঝুলিতে অনেককিছু যুক্ত হয়েছে।
যোগ করে দীঘি আরও বলেন, বায়োপিকে আমার কোনো মেকআপ নেই। সম্পূর্ণ ন্যাচারাল লুকে কাজ করছি। প্রথমে একটু টেনশনে ছিলাম, ন্যাচারাল লুকে ভালো লাগবে কি না তা নিয়ে। কিন্তু পরে যখন ফুটেজ দেখলাম তখন অনেক শান্তি পেলাম। মেকআপ ছাড়া আমাকে এতো ভালো লাগে সেটা প্রথম জানলাম।