সিঙ্গাপুরের শিল্পোৎপাদন খাত ধীর হয়ে পড়েছে। জুলাইয়ে নগর রাষ্ট্রটির উৎপাদন দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। এ হার অর্থনীতিবিদদের ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাসের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। ইলেকট্রনিকস ও বায়োমেডিকেলের উৎপাদন কমে যাওয়ায় পুরো শিল্পোৎপাদন খাত ধীর হয়েছে। এ সময়ে চিপ উৎপাদনের সংকোচনের হার আরো বেড়েছে।
দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের খবর অনুসারে, জুনে কারখানা উৎপাদন সংশোধিত ২ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছিল। ওই সময়ও এ খাতের উৎপাদন বৃদ্ধির হার পূর্বাভাসের তুলনায় পিছিয়ে ছিল। ইকোনমিকস ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (ইডিবি) জানিয়েছে, অস্থির বায়োমেডিকেল ম্যানুফ্যাকচারিং খাত বাদ দিয়ে জুলাইয়ে শিল্পোৎপাদন ২ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে। এ সময়ে প্রধান ইলেকট্রনিকস খাতের উৎপাদন ৬ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, গত মাসে সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন ৪ দশমিক ১ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। জুনেও প্রযুক্তি খাতের উৎপাদন ২ দশমিক ৬ শতাংশ কমে গিয়েছিল।
এ সময়ে ইনফোকম ও ভোক্তা ইলেকট্রনিকস সেগমেন্টের উৎপাদন কমেছে ১১ দশমিক ৭ শতাংশ। যখন কম্পিউটারের বাহ্যিক যন্ত্রাংশ ও ডাটা স্টোরেজ সেগমেন্টের উৎপাদন কমার হার ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ। মূলত ভোক্তা চাহিদা কমে যাওয়ায় উভয় বিভাগের উৎপাদন নিম্নমুখী হয়েছে। এছাড়া চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে কম রফতানি ক্রয়াদেশের কারণে অন্য ইলেকট্রনিক মডিউল ও কম্পোনেন্ট উৎপাদন ১৯ দশমিক ৭ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে।
ইডিবির তথ্য অনুসারে, বায়োমেডিকেল খাতের উৎপাদন এক বছর আগের তুলনায় ১০ দশমিক ৮ শতাংশ কমেছে। যখন ফার্মাসিউটিক্যাল খাতের উৎপাদন কমেছে ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ। সব বিভাগের মধ্যে ট্রান্সপোর্ট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উৎপাদন সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। গত মাসে এ খাতের উৎপাদন ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ লাফিয়েছে। এর বাইরে জাহাজ মেরামত ও অফশোর প্রকল্পগুলোর কার্যক্রম বেড়ে যাওয়ায় মেরিন ও অফশোর ইঞ্জিনিয়ারিং সেগমেন্টের উৎপাদন ৩৬ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে।