টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে হারের পর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে এসে প্রথম জয়ের দেখা পায় জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের জয়রথ থামিয়ে অবাক করে দেয় সিকান্দার রাজার দল। তিন ম্যাচ সিরিজ এখন ১-১ এ সমতায়।
রবিবার (২৫ জুলাই) হারারে
সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে
১৯৩ রান করে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। তাই বাংলাদেশ সিরিজ জিততে হলে করতে হবে ১৯৪ রান।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই ঝড়ো
ব্যাটিং করে জিম্বাবুয়ে। বেশ কয়েকবার সুযোগ তৈরি করেও লুফে নিতে পারেনি বাংলাদেশ। পাওয়ার
প্লের শেষ ওভারের শেষ বলে তাদিওয়ানাশে মারুমানিকে বোল্ড করে ফিরিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
এই ওপেনার ১৬ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলেছেন। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ওয়েসলি মাধেভেরের সঙ্গে
জুটি বাঁধেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান রেগিস চাকাবা। এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান উইকেটে এসেই
টাইগার বোলারদের ওপর চড়াও হন। নাসুম আহমেদের এক ওভারেই তিনি মারেন ৩ ছক্কা।
সেই ওভার থেকে আসে ২১ রান। ২৮ বলে ৪৮ রান
করা চাকাবাকে সীমানায় দারুণ এক ক্যাচ নেন নাঈম শেখ ও শামীম হোসেন মিলে। আউট হওয়ার আগে
এই ব্যাটসম্যান করেন ২২ বলে ৪৮ রান। বিপজ্জনক চাকাবাকে ফেরানোর পর সৌম্য সরকার সাজঘরের
পথ দেখালেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজাকে।
ডানহাতি পেসারের অফস্টাম্পের বাইরের বল
টেনে ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে উড়াতে চিয়েছিলেন চাকাবা। কিন্তু সীমানায় নাঈমের দারুণ দক্ষতায়
বাংলাদেশ দ্বিতীয় সাফল্য পায়। চাকাবা ২২ বলে ৪৮ রান করেন। ওই ওভারের পঞ্চম বলে রাজাকে
বোল্ড করেন সৌম্য। আর ৩৬ বলে ৫৪ রান করা ওয়েসলি মাধেভেরেকে প্যাভিলিয়নে পাঠায় সাকিব
আল হাসান। শেষ দিকে ডিয়ন মায়ার্স ও রায়ান বার্লের ব্যাটিং নৈপুণ্যে চ্যালেঞ্জিং স্কোর
পায় স্বাগতিকরা।
জিম্বাবুয়ে: ১৯৩/৫ (২০ ওভার)