নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেছেন, জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের নির্বাচন চার লক্ষাধিক সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব কিনা তা ভেবে দেখতে হবে। এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। তিনি আজ শনিবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের টাউন হাই স্কুলে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, ‘রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য নিয়মতান্ত্রিক আইন রয়েছে। তবে, নির্বাচন কমিশন প্রতিটি ক্ষেত্রে ভেরিফাই করে। রাজনৈতিক দলের আবেদন খাতা কলমে ঠিক থাকলেও ভেতরে ঠিক নাও থাকতে পারে। সুতরাং আমাদের গভীরে গিয়ে দেখতে হবে, আমাদের সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হবে। যাতে করে আমাদের স্বাধীনতা, দেশ ও দশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন না হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি টাউন হাইস্কুল কেন্দ্রে আসেন এবং ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
পরে তিনি সংবাদিকদের জাতীয় নির্বাচনে ৩০০
আসনে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘গাইবান্ধার উপনির্বাচনে
১৪৩টি কেন্দ্রে ১১শ সিসি ক্যামেরা বাসানো হয়েছিল। কিন্তু সারাদেশের নির্বাচনে সিসি
ক্যামেরা বসানো হলে সাড়ে ৪ লাখ ক্যামেরা বসানো প্রয়োজন। ৩০০ আসনেই ক্যামেরা বাসানোর
ইচ্ছে আমাদের রয়েছে। তবে, সাধ, সাধ্য এবং এতো ক্যামেরা পরিচালনা করা সম্ভব কিনা তা
ভেবে দেখতে হবে। আমরা এ ব্যাপারে আলোচনা করছি।’
নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ড প্রশ্নে
তিনি বলেন, ‘লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরিতে আমরা চেষ্টা করছি। আমরা
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছি। সকল দলকে ডেকেছি। কেউ কেউ এসেছে, কেউ কেউ আসেনি।
আমাদের দরজা খোলা। তারা এলে তাদের কথা আমরা শুনবো।’
ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম পরিদর্শনকালে
অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক একেএম গালিব খান, রাজশাহীর
আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা
মোতাওয়াক্কিল রহমান প্রমুখ।