মালয়েশিয়ায়
শিশু পর্নোগ্রাফির অভিযোগে এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মার্কিন
গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের সঙ্গে এক যৌথ তদন্তের পর গত সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দেশটির
নেগেরি সেম্বিলান রাজ্যের সেরেম্বান থেকে ২৪ বছর বয়সী ওই শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করে
দেশটির পুলিশ।
গ্রেফতারের খবর
২২ সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়ার সব গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই চলছে সমালোচনা।
রাজধানী কুয়ালালামপুরের
একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাশাস্ত্রে পড়াশোনা করছিলেন ওই বাংলাদেশি। গ্রেফতারের চার
দিন পর বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) তাকে একটি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। আদালতে
তার বিরুদ্ধে ভিডিও ও ফটোর মাধ্যমে শিশু পর্নোগ্রাফি তৈরির অভিযোগে ৮টি এবং মোবাইল
ফোন, ইউএসবি ড্রাইভ ও হার্ড ড্রাইভে শিশু পর্নোগ্রাফির ৭৪০টি ছবি থাকায় আরও চারটিসহ
মোট ১২টি অভিযোগ আনা হয়।
বিচারকের সামনে
অভিযোগগুলো পড়ে শোনানোর পর ওই বাংলাদেশি এসব অভিযোগ অস্বীকারের পাশাপাশি নিজেকে নির্দোষ
বলে দাবি করেন।
অভিযোগপত্রে বলা
হয়েছে- ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নেগেরি সেম্বিলান
রাজ্যের সেরেম্বানের বুকিত রাসাহ এলাকার একটি বাড়িতে শিশু পর্নোগ্রাফি তৈরির অপরাধ
সংঘটিত হয়।
অভিযোগগুলোকে
গুরুতর অভিহিত করেছেন সরকারি আইনজীবী জাহিদা জাকারিয়া। তিনি বলেন, যদি আসামির জামিন
মঞ্জুর করা হয়, তাহলে অভিযুক্ত আবারো শিশু পর্নোগ্রাফি তৈরি করতে পারে কিংবা ভুক্তভোগীদের
আরও হয়রানি করতে পারে।
অভিযোগ শুনানির
পর বিচারক প্রতিটি অভিযোগের জন্য আট হাজার মালয়েশীয় রিঙ্গিত করে মোট ৯৬ হাজার রিঙ্গিতের
বিনিময়ে জামিনের সুযোগ দেন। তবে এ অর্থ পরিশোধ করতে পারবেন না বলে জানান ওই বাংলাদেশি।
ফলে তাকে সেরেম্বান কারাগারে পাঠানো হয়। আগামী ৩০ নভেম্বর মামলার শুনানির পরবর্তী
দিন ধার্য করেন আদালত।
মালয়েশিয়ায় যৌন অপরাধের শাস্তি বেশ কঠোর। যৌন অপরাধ আইন ২০১৭-এর ৫ ধারার অধীন গঠিত প্রতিটি অভিযোগে ৩০ বছরের বেশি কারাদণ্ড ও দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর চাবুক মারার শাস্তি রয়েছে। একই আইনের ধারা ১০-এর অধীন গঠিত প্রতিটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে পাঁচ বছরের বেশি কারাদণ্ড ও ১০ হাজার রিঙ্গিতের বেশি জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।