Logo
শিরোনাম

সমমনাদের নিয়েই সরকারের পতন ঘটাতে চায় বিএনপি

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | ১৩৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

সন্দেহ, সংশয় আর অনিশ্চয়তায় দোলাচলে দুলছে দেশের রাজনীতি। আগামী নির্বাচনে কী হবে বা কী হতে যাচ্ছে এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে জল্পনা-কল্পনা। ক্ষমতাসীনরা বলছেন, দলীয় সরকারের অধীনে যথাসময়ে নির্বাচন হবে, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। পক্ষান্তরে বিএনপির পক্ষ থেকে বরাবরই বলা হচ্ছে, দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না তারা। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করে তাদের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে আগামীতে নির্বাচন করতে হবে। সেই লক্ষ্যে বিএনপি সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছে। এ কারণে তারা সরকারের কোনো সংলাপে সাড়া দিচ্ছে না। তবে সমমনা দলগুলোর সঙ্গে তাদের এই সংলাপ ও সরকার পতনের আন্দোলন কতটা সফল হবে তা নিয়েও সংশয় আছে।

২০১৮ সালে একাদশ নির্বাচনের আগ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে সংলাপে অংশ নিয়েছিল বিএনপি। সংলাপের পর দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ভোটযুদ্ধের ভরাডুবিতে সংসদে তাদের আসন সংখ্যা মাত্র ৬টি। অতীত অভিজ্ঞতার কারণে এবার নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির ডাকা সংলাপে সাড়া দেয়নি দলটি। শুধু সাড়া না দিয়ে বসে থাকেনি বরং রাষ্ট্রপতির সংলাপকে অর্থহীন ও লোক দেখানো বলেও অবহিত করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইভিএম নিয়ে নির্বাচন কমিশনের ডাকা সংলাপেও অংশ নেওয়া থেকে বিরত থেকেছে বিএনপি।

তবে গত ২৪ মে সরকার বিরোধী সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে দলটি। সংলাপের উদ্দেশ্য নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবি আদায়ে সরকারবিরোধী একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে রাজপথে আন্দোলন জোরদার করা। ইতোমধ্যে বেশকয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শেষ করেছে দলটি। এসব সংলাপে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পৌঁছাতে সক্ষম হবে বলে আশা করছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

অবশ্য রাষ্ট্রপতি ও নির্বাচন কমিশনের সংলাপে অংশ না নেওয়া প্রসঙ্গে এবং বর্তমান সংকট উত্তরণে দলের অবস্থান তুলে ধরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশের চলমান সংকট উত্তরণে আমাদের স্পষ্ট কথা, সবার আগে গণতন্ত্রের প্রতীক, স্বাধীনতা-সার্বেভৌমত্বের প্রতীক বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। অনির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে জনগণের ভোটের ক্ষমতাকে ফিরিয়ে দিতে হবে। এটাই হচ্ছে একমাত্র পথ। এর বাইরে আর কোনো পথ নেই।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন আদায়ে বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে। অতীতে বেশ কয়েকবার সংলাপেও অংশ নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি শুধু বিএনপি নয়, বিএনপির এই দাবির সঙ্গে সুর মিলিয়ে সরকারবিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোও কথা বলতে শুরু করেছে। ফলে আমরা তাদের সঙ্গে সংলাপ করছি। আশা করছি শিগগিরই আমরা সবাই মিলে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারব। তবে যাদের কে আমরা মানি না তাদের সঙ্গে কিংবা তাদের ডাকা সংলাপে অংশ নেওয়া হবে লোক দেখানো ও অর্থহীন। নিকট অতীতে সরকার প্রধান ও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অন্তত এই বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে।

বিএনপি নেতারা বলেছেন, সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসেই সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি দলের সঙ্গে সংলাপ করা হয়েছে। সবার কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। বাকি দলগুলোর কাছ থেকেও একই ধরনের সাড়া পাওয়া যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। কারণ সংলাপে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর সবার লক্ষ্য একই। সংলাপ থেকেই দাবি আদায়ে করার সেই লক্ষ্যে যুগপৎ আন্দোলন করার কথা ভাবা হচ্ছে। সবার সঙ্গে আলোচনা করে একটি বৃহত্তর ঐক্যের রূপরেখা তৈরি করে তা জাতির সামনে তুলে ধরা হবে বলেও জানান দলটির নেতারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিএনপির সঙ্গে ভোট জোটে ঝুলে থাকা বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর সম্পর্ক নিয়েই জনগণের একটি বৃহৎ অংশের আতঙ্ক ও উদ্বেগ থাকছেই। অতীতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জামায়াত ইসলামী যুগপৎ আন্দোলন করেছে তাই ১৯৯৬ আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্বে এসেও জামায়াতের সঙ্গে আন্দোলন করে ক্ষমতায় যাওয়ার কারণে যুদ্ধাপরাধী বিচারে অগ্রসর হয়নি। তবে থেমে থাকেনি আওয়ামী লীগ। ২০০৮ সালে নির্বাচনে ফের ক্ষমতায় গিয়ে ওই বিচারকার্য শুরু করে নিজের কালিমালেপন মুছতে কিছুটা হলেও সফল হয়েছে। পক্ষান্তরে বিচারের মুখে জামায়াতের আন্দোলনে সঙ্গী হিসেবে বিএনপিকে প্রশ্নবিদ্ধ হতে হয়েছে।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা যদি অতীতের মতো ক্ষমতাসীনদের তৈরি ফাঁদে পা না দিয়ে তাদের অধীনে এবং বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে যাব না এই সিদ্ধান্তে অটল থাকি তাহলে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে চলমান সংলাপের ফলাফল অবশ্যই ইতিবাচক হবে, হতে বাধ্য। রাজনীতিতে সংলাপের প্রয়োজনীয়তা আছে। তবে এটাও মনে রাখতে হবে, সংলাপটা কার সঙ্গে হবে? কারণ একটি গণতান্ত্রিক সরকারের সঙ্গে সংলাপ-আলোচনা করা যেতে পারে। কিন্তু যারা অনির্বাচিত যাদের প্রতি জনগণের কোনো ম্যান্ডেট নেই, জনগণের প্রতি যাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই তাদের সঙ্গে সংলাপে কোনো ফলাফল আসে।

নিউজ ট্যাগ: বিএনপি

আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর