ইউ টু ব্যান্ডের ভোকাল বোনো নানা বিষয়েই লেখালেখি করেছেন। এবার স্মৃতিকথা নিয়ে আসছেন তিনি। নিজেকে নিয়ে এই প্রথম কিছু লিখছেন বোনো। ‘সারেন্ডার’ শিরোনামের বইটি প্রকাশ করবে ‘পেঙ্গুইন র্যান্ডম হাউজ’। বইটিতে ডাবলিনে তার প্রথম জীবন, ১৪ বছর বয়সে মায়ের মৃত্যু, ইউ টু ব্যান্ডের সাফল্য এবং বিভিন্ন সাহায্যকর্মে তার অংশগ্রহণ নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন বোনো। বইটির একটি বিশেষত্ব হলো, ৪০টি অধ্যায়ে বিভক্ত বইয়ের প্রতিটি অধ্যায় ইউ টুর একটি করে গান দিয়ে শুরু।
সম্প্রতি ইউ টু ব্যান্ডের ডিজিটাল প্লাটফর্মে ‘সারেন্ডার’ থেকে বোনোর পাঠ করা একটি অংশের ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। এতে বোনোর নিজের আঁকা ছবি থেকে অ্যানিমেশন তৈরি করা হয়েছে। আউট অব কন্ট্রোল নামের অধ্যায়ে ইউ টুর জন্য বোনোর প্রথম গান লেখার স্মৃতি রয়েছে। আজ থেকে ৪৪ বছর আগে নিজের ১৮ বছর বয়সে ইউ টুর জন্য প্রথম সিঙ্গেল লিখেছিলেন বোনো। শিল্পী জানিয়েছেন, বইটি লেখার পেছনে তার গানের বার্তা বিস্তারিত ও স্পষ্ট করে উল্লেখ করার চেষ্টা কাজ করেছে; পাশাপাশি যে মানুষের সঙ্গে তিনি মিশেছেন, যে জায়গাগুলোয় তিনি থেকেছেন ও জীবনের নানা সম্ভাবনার কথাও এসেছে। তিনি আরো জানাচ্ছেন, সত্তরের দশকে আয়ারল্যান্ডে বসবাসকালীন আত্মসমর্পণের বিষয়টি তার কাছে স্বাভাবিক ছিল না। তার ভাষায়, ‘বইটি লেখার জন্য আমার ভাবনা জড়ো করার আগ পর্যন্ত আমি শব্দটি নিয়ে ঘুরপাক খেয়েছি।’
সারেন্ডারের সম্পাদক রেগান আর্থার বোনোকে একজন ‘প্রতিভাবান লেখক’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন যে বইটি নিয়ে কাজ করার কারণে তিনি ও তার সহকর্মীরা নিজেদের ভাগ্যবান মনে করেন। তিনি বলেন, এই আইরিশ রকস্টার ‘কেবল একটি নাটকীয় গল্পই বলেন না, লেখক হিসেবেও তিনি প্রতিভাবান। সারেন্ডার একটি অসাধারণ জীবনের সৎ, অন্তরঙ্গ, গভীর কিন্তু জ্বলজ্বলে স্মৃতিকথা।’ সারেন্ডারের যুক্তরাজ্য সংস্করণের প্রকাশনার ওভারসিয়ার ভেনেশিয়া বাটারফিল্ড বলেছেন, ‘এটি অসাধারণ একজন মানুষের অসাধারণ জীবনকাহিনী।’
‘ফরটি সংস, ওয়ান স্টোরি’ ট্যাগলাইনের বইটি এ বছরই প্রকাশিত হবে।