Logo
শিরোনাম

সংবাদে আজকের বাংলাদেশ | ২৭ ডিসেম্বর ২০২০

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ৫৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

সংবাদে আজকের বাংলাদেশ | ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ 


আরও খবর

আতশবাজির আলোতে ঝলমলে রাজধানী

রবিবার ০১ জানুয়ারী ২০২৩

রসগোল্লার জন্মদিন আজ

মঙ্গলবার ১৫ নভেম্বর ২০২২




র‍্যাগিং-যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে পদযাত্রা করবে ছাত্রলীগ

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | ৯২জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

দেশের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে সম্প্রতি। এর অধিকাংশে জড়িত হিসেবে ছাত্রলীগের নাম উঠে এসেছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সহসভাপতির বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও ভিডিও ধারণের অভিযোগ, শাবিপ্রবিতে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগে ছাত্রলীগের পাঁচ কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার ও রাবিতে এক ছাত্রকে ছাত্রলীগ নেতাদের দ্বারা নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে সম্প্রতি।

এমন পরিস্থিতিতে র‍্যাগিং ও যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ছাত্রলীগ। এর নাম দেওয়া হয়েছে অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পেইন অ্যাগেনস্ট র‍্যাগিং অ্যান্ড সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট ইন ক্যাম্পাস

আজ শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ক্যাম্পাসে নির্যাতন, হয়রানি ও যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে আগামীকাল সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে পদযাত্রা বের শুরু হয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গিয়ে শেষ হবে। পদযাত্রায় নির্যাতন, হয়রানি ও যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে সমাবেশ ও সচেতনতামূলক প্রচারপত্র বিতরণ করবেন তারা।

কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের সব নেতাকর্মীকে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে ছাত্রলীগের সব ইউনিটকে নিজ নিজ ক্যাম্পাসে এই কর্মসূচি আয়োজনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

২৭ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি সব বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কলেজ এবং ১ থেকে ৩ মার্চের মধ্যে সব কলেজ, মাদরাসা, পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট, টেকনিক্যাল কলেজসহ অন্যান্য সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পেইন অ্যাগেনস্ট র‍্যাগিং অ্যান্ড সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট ইন ক্যাম্পাস কর্মসূচি আয়োজনেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



জ্বালানির উচ্চমূল্যে অতিদরিদ্র হবে ১৪ কোটি মানুষ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | ৭৬জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জ্বালানি নিয়ে গোটা বিশ্বই এক ধরনের সংকটের মধ্যে রয়েছে। বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠেছে। জ্বালানির দাম বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই তার রেশ পড়ে অন্য নিত্যপণ্যের দামের ওপর। এর ধারাবাহিকতায় বেড়ে যায় জীবনযাপনের ব্যয়, দরিদ্র মানুষ হয়ে পড়ে আরো দরিদ্র। সম্প্রতি জার্নাল নেচার এনার্জিতে প্রকাশিত এক গবেষণা বলছে, ক্রমবর্ধমান জ্বালানি ব্যয়ের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে অতিদরিদ্র হবে ১৪ কোটির বেশি মানুষ।

 

গবেষণাটিতে অংশ নিয়েছেন নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক। বিশ্বের ১১৬টি দেশের মানুষের ওপর ক্রমবর্ধমান জ্বালানির দামের প্রভাব নিয়ে কাজ করেন তারা। এসব দেশের পরিবারগুলো কীভাবে এ বাড়তি ব্যয় সমন্বয় করছে, কতটুকু বেড়েছে পরিবারের খরচ সেসব উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। গবেষণায় দেখা গেছে, যুদ্ধের কারণে কয়লা ও প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ায় এসব দেশের পরিবারগুলোর ব্যয় বেড়েছে গড়ে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ।

 

নিম্ন আয়ের দেশগুলোর দরিদ্র পরিবারগুলো এরই মধ্যে ভয়াবহ খাদ্য সংকটে ভুগতে শুরু করেছে। জ্বালানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় এসব দেশের দরিদ্ররা আরো দরিদ্র হয়ে উঠছে। উচ্চ আয়ের দেশগুলোতেও পরিবারগুলোয় পড়তে শুরু করেছে জ্বালানির উচ্চমূল্যের প্রভাব। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা বাজেটে কাটছাঁট করে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছেন। যা নিম্ন আয়ের দেশগুলোর মানুষের পক্ষে অসম্ভব। এ পরিস্থিতি চলমান থাকলে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৪ কোটি ১০ লাখ মানুষ দরিদ্র থেকে অতিদরিদ্র শ্রেণীর কাতারে পড়বে।

 

কিছু কিছু দেশ জ্বালানির উচ্চমূল্যের কারণে সৃষ্ট সংকটে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে এস্তোনিয়া, পোল্যান্ড ও চেক রিপাবলিকের কথা বলা যায়। এসব দেশে জ্বালানির দাম বেড়েছে বৈশ্বিক গড় দামের চেয়ে বেশি। এর কারণ হলো এ দেশগুলো শক্তিভিত্তিক শিল্প খাতের ওপর বেশি নির্ভরশীল। ২০২০ সালের হিসাব অনুযায়ী, পোল্যান্ড জ্বালানি উৎপাদনের জন্য কয়লার ওপর ৬৮ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ভরশীল।

 

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ জ্বালানির দাম বাড়ানোর পাশাপাশি বাড়িয়েছে নিত্যপণ্য, প্রয়োজনীয় খাদ্যের দামও। এক বছর আগের সঙ্গে বর্তমানের দামে বিরাট পার্থক্য দেখা যাচ্ছে, আর তা বিশ্বব্যাপীই। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে এক বছরের ব্যবধানে ডিমের দাম বেড়েছে ৭০ দশমিক ১ শতাংশ, মার্জারিনের ৪৪ দশমিক ৭ শতাংশ, মাখনের ২৬ দশমিক ৩ শতাংশ, ময়দার ২০ দশমিক ৪ শতাংশ, রুটির ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ, চিনির বেড়েছে ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ, দুধের ১১ শতাংশ, মুরগির ১০ দশমিক ৫ শতাংশ।

 

চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, এ সময়ের ব্যবধানে দেশটিতে ফল ও সবজির দাম বেড়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। ভোগ্যপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, শিগগিরই দাম কমার কোনো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না।

 

বহুজাতিক কোম্পানি নেসলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পণ্যের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। এর আগে ইউনিলিভার ও প্রোক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বলের মতো প্রতিষ্ঠানও দাম বৃদ্ধির কথা জানায়। এসব দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিসহ নানা সংকটের কথা বলা হচ্ছে।

 

ইউনিলিভারের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা গ্র্যামি পিটক্যাথি বলেন, ‘‌সম্ভবত আমরা মূল্যস্ফীতির চূড়ায় রয়েছি। তবে সর্বোচ্চ দামের চূড়ায় এখনো পৌঁছিনি। একই সময়ে চলতি বছর খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন ইউনিলিভারের প্রধান নির্বাহীও।’

 

প্রতিবেদনে বলা হয়, এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশের সরকার পরিবারগুলোর ওপর জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব কমাতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। এর মধ্যে রয়েছে জ্বালানির ওপর থেকে কর কমানো, জ্বালানির বিলে ছাড়, প্রণোদনা ইত্যাদি।

 

গবেষকরা বলছেন, সরকারগুলোর পক্ষে আরো পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। যেমন জ্বালানির দামে ভর্তুকি, টেকসই উৎস থেকে জ্বালানি সরবরাহ ইত্যাদি। ক্ষতিগ্রস্ত দেশে সরকার পাশে না দাঁড়ালে সাধারণ মানুষের জন্য জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়বে। বিশেষ করে দরিদ্ররা আরো দরিদ্রের পথে এগিয়ে যাবে।


আরও খবর

ট্রাম্প বললেন, ‘আই এম ব্যাক’

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আরও বাড়ল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ ফেব্রুয়ারী 20২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

চলতি বছর হজে যেতে হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচদিন বাড়লো। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হয়েছে। বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হয়। আগের সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) নিবন্ধন শেষ হওয়ার কথা ছিল।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৩ সালের হজের হজযাত্রী, হজ এজেন্সি এবং সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সৌদি সরকার এ বছর হজযাত্রীদের ভিসার ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক ভিসা পদ্ধতি (ফিঙ্গার প্রিন্ট অ্যান্ড পিক্টোরিয়াল) চালু করতে যাচ্ছে। এ পদ্ধতির অধীনে ভিসার আবেদন সাবমিট করার জন্য ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। নতুন এ পদ্ধতিতে ভিসা করার জন্য পাসপোর্ট আপাতত নিজের কাছে সংরক্ষণ করতে হবে।

তবে সরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন করে যারা এরই মধ্যে ঢাকার আশনোকার হজ অফিসে পাসপোর্ট জমা দিয়েছেন, ভিসা কার্যক্রম শুরু হলে তারা সেখানে গিয়ে বায়োমেট্রিক ভিসার আবেদন করতে পারবেন। অথবা সেখান থেকে পাসপোর্ট নিয়ে অন্যকোনো সেন্টার থেকেও ভিসার আবেদন করতে পারবেন। ভিসা কার্যক্রম শুরু হলে ভিসা সাবমিটের সেন্টার এবং পদ্ধতি সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

হজযাত্রী নিবন্ধনের নির্ধারিত সময় আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৪টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ সময়ের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধনের জন্য মোবাইল ফোনে মেসেজ পেয়েছেন এমন সবাই হজের নিবন্ধন করতে পারবেন।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন ও অবশিষ্ট এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।

চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় একটি প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনের নিয়ম রাখা হয়েছে। এবার সরকারিভাবে হজ পালনে খরচ হবে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। অন্যদিকে বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা।


আরও খবর

পবিত্র শবে বরাত ৭ মার্চ

বুধবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

এবার হজ পালনে ৪ শর্ত দিলো সৌদি সরকার

মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




বিশ্ব বাজারে কমল স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ১৩৬জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আন্তর্জাতিক বাজারে আরও স্বর্ণের দাম কমেছে। চলতি সপ্তাহে সংবাদ সম্মেলন করবেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) চেয়ারম্যান জোরোম পাওয়েল। এছাড়া মাসিক চাকরির তথ্য প্রকাশ করবে দেশটি। ফেডের সুদহার বৃদ্ধিতে যা প্রভাব ফেলবে। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর দামি ধাতুটির দাম হ্রাস পেয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে সিএনবিসি ও গোল্ডপ্রাইস ডটকমের প্রতিবেদনে পাওয়া গেছে এসব তথ্য।

এতে বলা হয়, মঙ্গলবার (৭ মার্চ) আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের স্পট মূল্য নিম্নমুখী হয়েছে শূন্য দশমিক ৩৪ শতাংশ। প্রতি আউন্সের দর স্থির হয়েছে ১৮৪৬ ডলার ৩৯ সেন্টে। আগের কার্যদিবসে সোমবার যা ছিল ১৮৫২ ডলার ৫৯ সেন্টে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের সরবরাহ মূল্য অপরিবর্তি আছে। আউন্সপ্রতি মূল্য নিষ্পত্তি হয়েছে ১৮৫৪ ডলার ৬০ সেন্টে।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) ও বুধবার ৮ মার্চ সংবাদ সম্মেলন করবেন ফেড চেয়ারম্যান পাওয়েল। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে সুদের হার বাড়ানোর ঘোষণা দিতে পারেন তিনি। বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশার চেয়ে যা বেশি হতে পারে।

আগামী শুক্রবার ১০ মার্চ গত ফেব্রুয়ারি মাসের অর্থনীতির তথ্য প্রকাশ করবে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। এ দুই দিকেও নজর রাখছেন ব্যবসায়ীরা।

কিটকো মেটালসের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক জিম ওয়েকফ বলেন, ফেড সুদের হার বাড়ালে ডলারের দাম বেড়ে যাবে। ফলে স্বর্ণের দর কমবে। আর অর্থনীতির তথ্য প্রকাশের পর বুলিয়ন মার্কেটে আরও অস্থিরতা বিরাজ করবে।


আরও খবর

স্বর্ণের দাম আরেক দফা কমল

সোমবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




রিভিউ খারিজ: অধ্যাপক হত্যায় দুই জনের ফাঁসির রায় বহাল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মার্চ 2০২3 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ১৪২জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি ও যাবজ্জীবন দণ্ডিত এক আসামির আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আট বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

ফলে একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, নিহত অধ্যাপক ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমকে ফাঁসির কাষ্ঠে যেতেই হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। তবে তার আগে তারা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করতে পারবেন। আর যথারীতি যাবজ্জীবন দণ্ডিতদের সাজাভোগ করতে হবে।

আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান, সমরেন্দ্র নাথ গোস্বামী ও নিখিল কুমার সাহা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ। এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি তিন আসামির আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদেশের জন্য ২ মার্চ দিন রাখেন আদালত।

২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাবির কোয়ার্টারের ম্যানহোলে পাওয়া যায় পদোন্নতি সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে নৃশংসভাবে হত্যার শিকার অধ্যাপক তাহেরের মরদেহ। ৩ ফেব্রুয়ারি নিহত অধ্যাপক তাহেরের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

এ মামলায় ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছিল পুলিশ।  এ হত্যা মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত চারজনকে ফাঁসির আদেশ ও দুজনকে খালাস দেন।  দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, নিহত অধ্যাপক ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম, নাজমুল আলম ও আব্দুস সালাম।

খালাসপ্রাপ্ত দুজন হলেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী ও আজিমুদ্দিন মুন্সী। ২০০৮ সালে বিচারিক আদালতের রায়ের পর নিয়ম অনুযায়ী ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ) হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন।

শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় দুই আসামির ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল এবং অন্য দুই আসামির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন হাইকোর্ট। ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল রাখা দুই আসামি হলেন- একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও নিহত ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীর আলম।

ফাঁসির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া দুই আসামি হলেন- নাজমুল আলম ও আব্দুস সালাম। এরপর আসামিরা আপিল বিভাগে আপিল করেন। পাশাপাশি যাবজ্জীবন দণ্ডিত দুই আসামির দণ্ড বাড়াতে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি শেষে গত বছরের ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগ হাইকোর্ট বিভাগের রায় বহাল রাখেন।

আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, আসামিদের স্বীকারোক্তিগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, হত্যার এ ষড়যন্ত্রে মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিনই মুখ্য এবং সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। আমাদের এটা বলতে দ্বিধা নেই যে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন শুধুমাত্র প্রফেসর হিসেবে পদোন্নতি পেতেই ড. তাহেরকে এ পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেন। তার ধারণা ছিল, ড. তাহের বেঁচে থাকলে অধ্যাপক হিসেবে তার পদোন্নতি পাওয়া সম্ভব না। 

আমাদের এও বলতে দ্বিধা নেই যে, আপিলকারী জাহাঙ্গীর আলম এবং আবেদনকারী আব্দুস সালাম ও নাজমুল আর্থিক সুবিধাসহ অন্যান্য সুবিধা পাওয়ার জন্য অধ্যাপক তাহেরকে হত্যার জন্য ড. মহিউদ্দিনের প্রস্তাব গ্রহণ করেছিলেন। 

১৫ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। এরপর মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলম এবং যাবজ্জীবন দণ্ডিত সালাম রিভিউ আবেদন করেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রিভিউয়ের ওপর শুনানি শুরু হয়। এরপর শেষ হয় ২৩ ফেব্রুয়ারি।


আরও খবর