Logo
শিরোনাম

সংকটে সীমাবদ্ধ বাগেরহাটের পর্যটন শিল্প

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | ১১৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের তিনটি বিশ্ব ঐতিহ্যের দুটিই বাগেরহাটে। একটি পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন, অন্যটি মুসলিম স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদ। দর্শনার্থীরা ইচ্ছে করলেই একদিনে ইনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য ঘুরে দেখতে পারেন। এর সঙ্গে এ জেলায় অন্তত ৫০টি প্রাচীন স্থাপনা রয়েছে। যা সব সময় দর্শনার্থীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে  থাকে। এতসব সম্ভাবনা থাকার পরও পর্যটকবান্ধব পরিবেশ, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, খাবার ও আবাসিক হোটেল, ট্যুরিস্ট বাস না থাকায় জেলায় পর্যটন শিল্পের তেমন বিকাশ ঘটেনি। এক কথায় নানা সংকটে এ জেলার পর্যটন শিল্প সম্মৃদ্ধ হয়নি। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে বেসরকারি বিভিন্ন উদ্যোগও ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে জেলা প্রশাসন বলছে, সুন্দরবন, ষাটগম্বুজ মসজিদসহ বিভিন্ন প্রাচীন স্থাপনা কেন্দ্র করে জেলাকে পর্যটনবান্ধব করে গড়ে তুলতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

সুন্দরবন ও ষাটগম্বুজ কেন্দ্রিক ট্যুরিস্ট গাইড হাফিজুর রহমান বলেন, বাগেরহাট এমন একটি জেলা, যেখানে ঘুরলে প্রকৃতি-প্রাচীন স্থাপনা, নদী-খাল-বিল, সমুদ্রবন্দর সব কিছু পাওয়া যায়। এরপরও আমাদের জেলায় ট্যুরিস্ট বাস, আবাসিক হোটেল, খাবার হোটেলের ব্যাপক সংকট রয়েছে। অনেক সময় বিদেশি এবং উচ্চবিত্ত মানুষ বাগেরহাট ভ্রমণে আসে, কিন্তু তাদের চাহিদা অনুযায়ী আবাসিক ব্যবস্থা না থাকায় তারা খুলনা চলে যায়। এটা আমাদের সীমাবদ্ধতা বোঝায়। 

ষাটগম্বুজ-সুন্দরবন ট্যুরিজম ট্যুর অপারেটরের পরিচালক মীর ফজলে সাঈদ ডাবলু বলেন, জেলায় ষাটগম্বুজ, সুন্দরবনসহ অনেক পর্যটন স্পট থাকলেও সুযোগ-সুবিধা খুবই কম। প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের অভাবে পর্যটকদের সঙ্গে স্থানীয়দের আচার-ব্যবহারের ঘাটতি রয়েছে। এজন্য ষাটগম্বুজ, মোংলাসহ বিভিন্ন স্থানের হোটেল-রেস্টুরেন্টের কর্মচারী ও ট্যুরিস্ট গাইডদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আক্তারুজ্জামান বাচ্চু বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায়  বাগেরহাটের সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হয়েছে। ফলে এখন দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে বাগেরহাটে অনেক সহজে আসা যায়। এরপরও জেলায় দেশি দর্শনার্থী এলেও, বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা অনেক কম। কারণ পর্যটন সম্ভাবনাময় আমাদের এ জেলায় একটি বিমানবন্দর নেই। ষাটগম্বুজ ও সুন্দরবনের জন্য আলাদা কোনো ওয়েবসাইটও নেই। যার কারণে বিদেশিরা ইচ্ছে করলেও সুন্দরবন ও ষাটগম্বুজ সংশ্লিষ্ট তথ্য জানতে পারে না। এর জন্য সরকারি উদ্যোগে সুন্দরবন ও ষাটগম্বুজের জন্য ওয়েবসাইট তৈরির পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যানার ও বিলবোর্ড স্থাপন করতে হবে। সেই সঙ্গে এক নজরে বাগেরহাটের দর্শনীয় স্থাপনার বর্ণনা, যাতায়াত ব্যবস্থা, খাবার ও থাকার হোটেলের নম্বর লিখে প্রচার করা প্রয়োজন।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, বাগেরহাটের কাস্টোডিয়ান মো. যায়েদ বলেন, ষাটগম্বুজ সংলগ্ন মসজিদ সংলগ্ন ঘোড়াদিঘিকে নান্দনিক করতে ওয়াক ওয়ে তৈরি করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে ষাটগম্বুজের সামনের বিশ্রামাগার নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তবে এ বিশ্রামাগার চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। তবে বেসরকারিভাবে স্থানীয় উদ্যোক্তারা যদি বাগেরহাটে হোটেল-মোটেল নির্মাণ করে, তাহলে উদ্যোক্তারা যেমন লাভবান হবে, তেমনি স্থানীয়রাও লাভবান হবে।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, সুন্দরবনে দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে সুন্দরবনে বিদ্যমান পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে আধুনিক ও দর্শনার্থীবান্ধব করা হচ্ছে। এছাড়া খুলনা রেঞ্জের শেখেরটেক ও কালাবগী এবং শরণখোলা রেঞ্জের আলীবান্ধা ও চাঁদপাই রেঞ্জের আন্ধারমানিক এলাকায় নতুন করে চারটি ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্র করা হচ্ছে।

বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, জেলার প্রত্যেকটি পর্যটন কেন্দ্রের শোভা বর্ধন, আবাসন ব্যবস্থা, মানসম্মত খাবার, বিপণন কেন্দ্র, সহজ যাতায়াত, সার্বিক নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। এসব বাস্তবায়ন হলে অচিরেই বাগেরহাটের পর্যটন শিল্প আরও বিকশিত হবে।

৬৫০ বছর আগে বিখ্যাত মুসলিম শাসক খানজাহান (রহ.) এর আমলে বাগেরহাটে ষাটগম্বুজসহ নানা প্রাচীন স্থাপনা নির্মিত হয়। এসব স্থাপনার স্থাপত্যরীতি ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে ১৯৮৫ সালে বাগেরহাটকে ঐতিহাসিক মসজিদের শহর হিসেবে ৩২১তম বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করে ইউনেস্কো। এ তালিকায় বাগেরহাটের ১৭টি স্থাপনা স্থান পায়। চলতি বছরের প্রথম দিকে বিশ্বের ২৫টি হারিয়ে যাওয়া শহর ও বিপন্ন ঐতিহ্যবাহী শহর হিসেবে বাগেরহাটকে তালিকাভুক্ত করে বিশ্বখ্যাত  ফোর্বস সাময়িকী। এছাড়া বাগেরহাটের মঠ, মোরেলগঞ্জে রয়েছে ব্রিটিশ শাসকদের স্মৃতি বিজড়িত কুঠিবাড়ি, কচুয়ায় রয়েছে ৬০০ বছরের পুরোনো কালিবাড়ি। এর বাইরে সম্প্রতি বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকায় আরও ১৬৩টি প্রত্নস্থান (সাইট) শনাক্ত করেছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। তবে ষাটগম্বুজ মসজিদ ছাড়া জেলা শহরের মধ্যে থাকা অন্যান্য স্থাপনা অযত্ন আর অবহেলায় রয়েছে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হলেও বিচরণ করছে গরু-ছাগল। দেয়ালে-দেয়ালে শুকানো হয় স্থানীয়দের কাপড়, কয়েকটি স্থাপনার দেয়ালও ধসে গেছে। সবকিছু মিলিয়ে সংস্কার ও সংরক্ষণের অভাবে দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে প্রাচীন এসব স্থাপনা।

অন্যদিকে পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে রয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রল ও মায়াবী হরিণ, কিং-কোবরা, বানর, গুঁইসাপসহ প্রায় ১০০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী ও সরীসৃপ, আট প্রজাতির উভচরসহ ৩২০ প্রজাতির বন্যপ্রাণী। সুন্দরী, পশুর, গেওয়া, গরান, কেওড়া, গোলপাতাসহ ৩৩৪ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে এ বনে। সুন্দরবনের অভ্যন্তরে নদী ও খালে রয়েছে বিশ্বের বিলুপ্তপ্রায় ইরাবতীসহ ছয় প্রজাতির ডলফিন, লবণ পানির প্রজাতির কুমির, রুপালি ইলিশ, চিংড়ি, রূপচাঁদা, কোরালসহ ৪০০  প্রজাতির মাছ এবং শিলা কাঁকড়া। আধুনিক ব্যবস্থাপনার অভাবে কাঙ্ক্ষিত দর্শনার্থী টানতে ব্যর্থ বন বিভাগ। 

নিউজ ট্যাগ: ষাটগম্বুজ মসজিদ

আরও খবর

অরণ্যযাপনের আগে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখবেন

বৃহস্পতিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর