Logo
শিরোনাম

‘শনিবার বিকেল’ মুক্তি পাক কোনও এক শুক্রবার সকালে

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৪৯১জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাকিবুল হাসান

একটি ক্যাফেতে বোমা হামলার দৃশ্য। নেপথ্যে শোনা যায়, মানুষ যখন ধর্মের নামে হত্যা করে, আসলে সে ধর্মকেই হত্যা করে, মনুষ্যত্বকে হত্যা করে। গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারির নৃশংস জঙ্গি হামলার ঘটনা নিয়ে বলিউডের ফারাজ-চলচ্চিত্রের ফার্স্টলুক এটি। মৃত্যুর মুখেও দুই বন্ধু অবিন্তা কবির ও তারিশি জৈনের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ২০ বছরের তরুণ ফারাজ আইয়াজ হোসেন। শেষ পর্যন্ত তাদের বাঁচাতে পারেননি, নিজেও বাঁচেননি। কিন্তু বাঁচিয়েছিলেন সাহস, বন্ধুত্ব আর মানবিকতাকে। সেই গল্প নিয়েই পরিচালক হংসল মেহতা নির্মাণ করছেন এই চলচ্চিত্রটি।

টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে এই চলচ্চিত্রের ২৩ সেকেন্ডের একটি মোশন পোস্টার প্রকাশ করা হয়েছিল কয়েক বছর আগে। ভিডিও পোস্টে পরিচালক হংসল মেহতা লিখেছিলেন, সহিংস প্রতিকূলতার মধ্যেও মানবতার জয়!'

চলচ্চিত্রটি নিয়ে নির্মাতা ভারতীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ফারাজ-এর গল্পটি পৃথিবীকে দেখাবো বলে অপেক্ষা করছি। ফারাজ হবে গভীর মানবিকবোধের এক গল্প। কিন্তু ছবিটি নির্মাণে আপত্তি তুলে অবিন্তা কবির ফাউন্ডেশনের পক্ষে বাংলাদেশের ল ফার্ম লিগ্যাল কাউন্সেল ছবিটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টি-সিরিজ, চলচ্চিত্র নির্মাতা ভূষণ কুমার, সহকারী প্রযোজক অনুভব সিনহা এবং পরিচালক হংসল মেহেতাকে উকিল নোটিশ পাঠায়। নোটিশের উল্লেখ করা হয়, এ ধরণের চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হলে তা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও সুনাম নষ্ট করবে, যার নেতিবাচক প্রভাব গোটা বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে চরম ক্ষতির মুখে ঠেলে দেবে। তাছাড়া, এ ধরণের চলচ্চিত্র নির্মিত হলে তা বাংলাদেশকে বহির্বিশ্বে একটি সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী রাষ্ট্র হিসেবে চিত্রিত করবে, যা আদতে সত্যি নয়। আইনি নোটিশ পাঠানোর পর অবিন্তা কবির ফাউন্ডেশনের পক্ষে অবিন্তার মা মামলাও করেছেন।

২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে পাঁচ জঙ্গি সদস্যের পরিচালিত হামলার ঘটনায় যে ২২ জন দেশি-বিদেশি নাগরিক নিহত হন, তার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত ২০ বছর বয়সী বাংলাদেশি তরুণ ফারাজ আহমেদও ছিলেন। তাকে কেন্দ্র করেই ফারাজ নামের চলচ্চিত্র তৈরির ঘোষণা দিয়েছিলো বলিউডের অন্যতম প্রযোজনা সংস্থা টি-সিরিজ। কিন্তু মামলার ফলে, চলচ্চিত্রটি এখনও মুক্ত হয়নি।হলি আর্টিজান হামলা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশেও মোস্তফা সরয়ার ফারুকী শনিবার বিকেল নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে অভিযোগে চলচ্চিত্রটিকে সেন্সর সনদ দেয়া হয়নি।

শনিবার বিকেল চলচ্চিত্রটি সাড়ে তিন বছর ধরে আটকে থাকার নেপথ্য ঘটনা আসলে কী? ২০১৯-এর ৯ জানুয়ারি ছবিটি দেখে সেন্সর বোর্ডের অনেকে পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দিয়ে বলেছিলেন, ছবিটি মুক্তির সনদ দেওয়া হবে। যারা তখন বোর্ডের সদস্য ছিলেন তাদের কেউ কেউ এখনও বলছেন, সিনেমা হিসেবে ছবিটি নিয়ে তাদের কোনও আপত্তি ছিল না। ছবিটি আটকে যাওয়ার কারণ হিসেবে যা জানা গেছে, প্রথমবার ছবিটি দেখার পর সেন্সর বোর্ডের সচিব একটি নোট লিখেছিলেন। সেখানে লেখা ছিল, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব না দেখা পযর্ন্ত যেন ছবিটি পাশ না করা হয়। পরে তখনকার তথ্য সচিব ছবিটি দেখেন। সেসময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবও তার সঙ্গে ছিলেন। তখন ছবিটি আটকানোর পক্ষে সবাই মত প্রদান করেন। তাদের বক্তব্য ছিল, ভুলে যাওয়া একটি বিয়োগান্তক ঘটনা নতুন করে মনে করিয়ে দেয়াটা ঠিক হবে না। এতে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে।

বিষয়টি নিয়ে আপিল করা হলে, কয়েকজন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বকে ডেকে ছবিটি দেখিয়ে তাদের মতামত চাওয়া হয়। তারা আটকে রাখার মতো কোনও কিছু এই চলচ্চিত্রে পাননি বলে মতামত দেন। এরপর চলচ্চিত্রটিকে প্রদর্শনী করার অনুমতি দেয়া হবে কী না-এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার আপিল বোর্ডের। আপিল বোর্ডের অন্যতম সদস্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব। এখন তার সিদ্ধান্তের উপরেই নির্ভর করছে শনিবার বিকেল চলচ্চিত্রটির সেন্সর বোর্ডের সনদ পাওয়া বা না পাওয়া।

শনিবার বিকেল চলচ্চিত্রটি মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর একটা থ্রিলারধর্মী চলচ্চিত্র, যা ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজান হামলা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। হলি আর্টিজানে ৫ জঙ্গি কর্তৃক বিদেশি নাগরিকসহ প্রায় ৫০ জনকে জিম্মি করা এবং ২২ জনকে হত্যার ঘটনা সত্য এবং হৃদয় বিদারক। এটাও সত্য যে, ১ জুলাইয়ের জঙ্গি হামলার পর ২ জুলাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে অপারেশন থান্ডারবোল্ট পরিচালনার মাধ্যমে জিম্মিদের উদ্ধার করা হয়। এসময় সকল জঙ্গি নিহত হয়। সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার পর এই ঘটনায় বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার কোনও কারণ আমি দেখি না। কোনও চলচ্চিত্রে যদি ঘটনাকে বিকৃত করে শুধু জঙ্গি হামলা দেখানো হয় এবং জঙ্গি দমনকে না দেখানো হয়, তাহলেই ভাবমূর্তি নষ্টের প্রশ্ন উঠতে পারে। কিন্তু ফারাজ এবং শনিবার বিকেল চলচ্চিত্র দুটোর কোনওটাতেই এমনটা দেখানো হয়নি বলেই জানি।

বাংলাদেশে সেন্সর সার্টিফিকেট না পেলেও মিউনিখ, মস্কো, সিডনি, বুসান, প্যারিসসহ বিভিন্ন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে শনিবার বিকেল প্রদর্শিত হয়েছে। বহু দেশের প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক ছবিটি দেখেছেন এবং বাংলাদেশে সেন্সর সনদ না পাওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ অনেকেই ছবিটি আটকে রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। যে ভাবমূর্তি নষ্টের প্রশ্ন তুলে সেন্সর বোর্ড একটা চলচ্চিত্রকে আটকে রাখে, তাদের কাছে ভাবমূর্তির সংজ্ঞা কী?

বাংলাদেশের সংবিধান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বা অন্য কোনো আইনে দেশের ভাবমূর্তির কোনো সংজ্ঞা দেওয়া নেই। এমনকি, দণ্ডবিধিতে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপরাধ ও রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধগুলোর বর্ণনায়ও রাষ্ট্রের ভাবমূর্তির কোনো উল্লেখ নেই। ফলে, আমি যদি কোনও কিছুকে ন্যায্য ও বৈধ এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা মনে করে প্রকাশ করি, সেটিকেও একজন অভিযোগকারী দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নকারী মনে করতে পারেন। ব্যক্তিভেদে এর সংজ্ঞায়ন ভিন্ন হতেই পারে আর এই কারণেই এটা হচ্ছে একটা সমাধান অযোগ্য সমস্যা। প্রকৃত পক্ষে, একটা দেশের রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকার কতটা আছে, দেশের ভাবমূর্তির পরিমাপক হওয়া উচিত সেটাই। এসব অধিকারের অংশ হচ্ছে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বহুদলীয় ব্যবস্থা এবং জনগোষ্ঠীর সব অংশের অংশগ্রহণ, সরকার পরিচালনায় স্বচ্ছতা, দুর্নীতির মাত্রা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, চিন্তা ও গবেষণার স্বাধীনতা, সংগঠনের স্বাধীনতা ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো।

ভাবমূর্তি নষ্ট হয় বড় বড় প্রকল্পের দুর্নীতিতে, বিনা বিচারে হত্যাকান্ডে, হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারে। সত্য প্রকাশে, শিল্প চর্চায় দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় না। এই বোধোদয় আপনাদের কবে হবে? শনিবার বিকেল মুক্তি পাক কোনও এক শুক্রবার সকালে; সেই প্রত্যাশায় রইলাম।

লেখক: শিক্ষক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা

নিউজ ট্যাগ: শনিবার বিকেল

আরও খবর

শেখ হাসিনার নেতৃত্ব এখনও অপরিহার্য

বৃহস্পতিবার ১৫ ডিসেম্বর ২০২২




নিউজিল্যান্ড সিরিজের দলে তামিম-সৌম্য-রিয়াদ

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৪৭জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

এই সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে। তার পরিবর্তে দলকে নেতৃত্ব দেবেন লিটন দাস। সাকিবের সঙ্গে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ এবং তিন পেসার তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ আর শরিফুল ইসলামকে।

এদিকে নিউজিল্যান্ড সিরিজ দিয়ে ফিরেছেন তামিম ইকবাল এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ফেরার তালিকায় আছেন সৌম্য সরকার, নুরুল হাসান সোহান।

এছাড়া প্রথমবারের মতো স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন ৩ অনাভিষিক্ত ক্রিকেটার। তারা হলেন- জাকির হাসান, সৈয়দ খালেদ আহমেদ এবং রিশাদ হোসেন। এশিয়া কাপের স্কোয়াডে থাকা ব্যাটার নাইম শেখ, আফিফ হোসেন এবং শামীম হোসেন জায়গা হারিয়েছেন।

ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে আজ রাত ১০টা ২০ মিনিটে ঢাকায় আসছে নিউজিল্যান্ড দলের একাংশ। ইংল্যান্ড সফরে থাকা দলটির বাকি সদস্যরা আসবেন রোববার বিকেল ৫টায়। আগামী ২১, ২৩ ও ২৬ সেপ্টেম্বর মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাঠে গড়াবে ম্যাচগুলো। বিশ্বকাপের পর টেস্ট সিরিজ খেলতে আবার আসবে কিউইরা।

বাংলাদেশ স্কোয়াড: লিটন দাস (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, এনামুল হক বিজয়, তানজিদ হাসান তামিম, জাকির হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, কাজী নুরুল হাসান সোহান, শেখ মাহেদী, নাসুম আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, রিশাদ হোসেন, সৈয়দ খালেদ আহমেদ।


আরও খবর



ডিসিদের পক্ষপাতমূলক আচরণ চাই না: সিইসি

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১২২জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

কোনো জেলা প্রশাসকের আচরণ পক্ষপাতমূলক হোক নির্বাচন কমিশন সেটা চায় না। এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আমরা কোনোভাবেই চাইব না কোনো জেলা প্রশাসকের আচরণে পক্ষপাতমূলক আচরণ প্রতিফলিত হোক। আজ সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

জামালপুরের ডিসিকে প্রত্যাহার করার চিঠি দেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, তফসিলের আগে চিঠি দিতে কোথাও বাধা নেই। পাঁচ বছর পুরো সময়টাই নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব, কর্তব্য, এখতিয়ার রয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর স্পেসিফিক কিছু দায়িত্ব বাধ্যতামূলকভাবে আমাদের করতেই হবে। তফসিলের আগেও এমনটি করা যায়, যদি এমন কোনো কিছু হয় যেটা নির্বাচনের আস্থাভাজনতা, সরকার বা নির্বাচন কমিশনের আস্থাভাজনতা বা যারা নির্বাচন করবেন তাঁদের পক্ষপাতহীন আচরণ নিয়ে বিতর্ক তৈরি করে। তাহলে নির্বাচন কমিশন অবশ্য়ই সরকারের নজরে সেটা আনতে পারে। এটা নির্বাচনের স্বার্থে, মানুষের আস্থার স্বার্থে, সরকারের স্বার্থে এবং নির্বাচন কমিশনের স্বার্থে।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ভোটের পরিবেশ আমরা নিশ্চয়ই পর্যবেক্ষণ করতে থাকব। আমাদের যে পর্যবেক্ষণ এবং প্রক্ষেপণটা অবশ্যই সজাগ রাখতে হবে। জেলা প্রশাসক গুরুত্বপূর্ণ পদ। অনেক ক্ষেত্রে তাঁদেরকেই রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করতে হয়। পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নির্বাচনের সময় অতি অনিবার্য প্রয়োজনীয় আইনশৃঙ্খলা বিষয়টি তাঁদেরকেই দেখতে হবে। তাই কোনোভাবেই আমরা চাইব নাকোনো জেলা প্রশাসকের আচরণে পক্ষপাতমূলক আচরণ প্রতিফলিত হোক। 

জামালপুরের ডিসি প্রত্যাহারের মতো আরও কোনো উদ্যোগ নেবেন কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, যদি আমাদের কাছে এ রকম কিছু প্রতীয়মান হয়, আমরা নিশ্চয়ই তখন এই ধরনের উদ্যোগ নেব।

আপনারা রোডম্যাপে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করেছিলেন, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা, প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করাএমন প্রশ্নে সিইসি বলেন, নো কমেন্টস, থ্যাংক ইউ। ওইটার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করব না।

এখন কেউ ভোট চাইতে পারবেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই প্রশ্নের উত্তর আমি এখন দিচ্ছি না। 

আপনি বলছেন যে তফসিলের আগেও নির্বাচনের পরিস্থিতি নিয়ে আপনাদের কিছু করার সুযোগ আছে। সে ক্ষেত্রে যখন প্রধানমন্ত্রীর সফরে বা সরকারি বা রাষ্ট্রীয় কোনো কাজে যাচ্ছেন। ওখানে সরকারি কাজে যাওয়ার পরও যখন ভোট চাইছেন। সেখানে কি কমিশনের কথা বলার এখতিয়ার রয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এই প্রশ্নের উত্তর এই মুহূর্তে চট করে আপনাকে দিতে পারব না। এখন সবাই নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেনবিএনপি কথা বলছে, আওয়ামী লীগ কথা বলছে, জাতীয় পার্টি কথা বলছে। সবাই কথা বলছে তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি বলেন, আপনারা আমাকে ছাড়া আর কাউকে ভোট দেবেন না। তাহলে নিশ্চয়ই আমরা ইন্টারফেয়ার করতে পারব। কিন্তু উনি ভোট চাইছেন, বিএনপি ভোট চাইছে, জাতীয় পার্টি ভোট চাইছে, সবাই ভোট চাইছে। এ বিষয়টি আমরা ওইভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখিনি।

সরকারি সফরে গিয়ে যদি কেউ ভোট চান? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়টি কেউ উত্থাপন করেননি। আমরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখিনি। যখন তফসিল ঘোষণা হয় এরপর যে নির্বাচনী আচরণ...কারণ উনি নির্বাচনে দাঁড়াবেন কি দাঁড়াবেন না, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কি করবেন না, সেটি আমরা এখনো জানি না। কাজেই সময় হলে তখন আমরা দেখব।


আরও খবর

আবারও বন্ধ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র

শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ওমরাহ পালনে সৌদি আরবের নতুন নির্দেশনা

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১০৯জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

সৌদি আরবে ওমরাহ পালন করতে অনেক বাবা মা তাদের সন্তানদের নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে যেন শিশুদের নিয়ে কোনো বিড়ম্বনায় পড়তে না হয় সে কারণে অভিভাবকদের জন্য অভিভাবকদের জন্য চারটি নির্দেশনা জারি করেছে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। আর তাই ওমরাহ পালনে ইচ্ছুক যাত্রীদের জন্য শিশুদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে নতুন নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।

নির্দেশনাগুলো হলো

১. পরিচিতিমূলক ব্রেসলেট: উমরাহর সময় প্রত্যেক শিশুর ডান অথবা বাঁ-হাতের কবজিতে অবশ্যই পরিচিতিমূলক ব্রেসলেট থাকতে হবে। লাখ লাখ ওমরাহযাত্রীর ভিড়ে কোনো শিশু হারিয়ে গেলে তার পরিচিতি সম্পর্কিত প্রাথমিক কিছু তথ্য পাওয়া যাবে সেই ব্রেসলেটে।

২. যথাসম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলা: যেসব ওমরাহযাত্রী তাদের শিশুদের নিয়ে ওমরায় এসেছেন, তাদেরকে ওমরাহর আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদনের জন্য ভিড় কম হয়- এমন সময় ও স্থান বেছে নিতে বলা হয়েছে।

৩. শিশুদের ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা: শিশুদের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য তাদেরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে অভিভাবকদের যত্নশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শিশুদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার প্রাথমিক দায়িত্ব অবশ্যই অভিভাবকদের।

৪. শিশুদের খাদ্যের প্রতি নজর রাখা : ওমরাহর সময় শিশুরা যেন স্বাস্থ্যকর ও তাদের শরীরের জন্য উপযোগী খাদ্য গ্রহণ করতে পারে, সেজন্য অভিভাবকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়।

এর আগে, হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় মক্কা গ্র্যান্ড মসজিদ পরিদর্শনকালে মুসল্লিদের জন্য পাঁচটি নির্দেশনা জারি করেছিল।


আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩




আবারও বন্ধ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১২১জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আবারও বন্ধ হয়ে গেছে বাগেরহাটের রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যুৎকেন্দ্রের এক কর্মকর্তা জানান, এবার কয়লা সংকট নয়, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

এ বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপ-মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজীমকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এর আগে টারবাইন (বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদনের ঘূর্ণায়মান যন্ত্র) ত্রুটির কারণে গত ১৬ জুলাই বন্ধ হয়ে যায় রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। টারবাইন মেরামত শেষে ২০ জুলাই দুপুর থেকে পুনরায় উৎপাদন শুরু হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর উৎপাদন শুরুর পর প্রথম ১৪ জানুয়ারি, এরপর ১৫ এপ্রিল, ২৩ এপ্রিল, ৩০ জুন, ১৬ জুলাই ৩০ জুলাই ও সবশেষ ১৫ সেপ্টেম্বর বন্ধ হয় এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।


আরও খবর



এদেশে জন্ম নেওয়া কেউই সংখ্যালঘু নয়: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৯০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

এদেশে যারা জন্মগ্রহণ করেছেন তারা যে ধর্মেরই হোক, কেউই সংখ্যালঘু নয়। নিজেদের সংখ্যালঘু না ভাবতে সনাতন ধর্মের মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার দুপুরে গণভবনে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আয়োজিত শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, কে জাতীয় পার্টি, কে বিএনপি, কে আওয়ামী লীগ, বা কে হিন্দু, কে মুসলমান, কে খ্রিষ্টান, তা দেখে সেবা করি না আমরা। সব রক্তের রং লাল। মুক্তিযুদ্ধে সবার রক্ত মিশে গেছে এক স্রোতে। তাই এই দেশ সবার।

সরকারপ্রধান বলেন,  যোগ্যতা দেখেই মূল্যায়ন করা হয়, এখানে ধর্মীয়ভাবে কোনো চিন্তা করা হয় না। বাংলাদেশ ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ। এদেশে সব ধর্মের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে আওয়ামী লীগ। ধর্ম যার যার উৎসব সবার- এই নীতিতে সরকার বিশ্বাস করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণভবনের মাটি আজ ধন্য হয়েছে। যারা এই দেশের মাটিতে জন্ম নিয়েছেন, তারা সবাই এই মাটিরই সন্তান ও নাগরিক। এই মাটির ওপরই আপনাদের অধিকার। কেন সংখ্যালঘু বলেন নিজেদের?

শেখ হাসিনা বলেন, শ্রী কৃঞ্চের আবির্ভাব হয়েছিল দুষ্টের দমন শিষ্টের লালনের জন্য। সব ধর্মের মর্মবাণী এক ও অভিন্ন। ভাষা হয়ত ভিন্ন হতে পারে।

এ সময় বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ভূলুণ্ঠিত করেছিল। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চালায়।

প্রধানমন্ত্রী জানান, সরকার সব ধর্মের উন্নয়নে সমানভাবে কাজ করছে। মসজিদভিত্তিক শিক্ষার যেমন ব্যবস্থা করা হয়েছে তেমনি মন্দিরভিত্তিক শিক্ষারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। হিন্দুরা মন্দিরে যাবে, মুসলিমরা মসজিদে যাবে। সবাই প্রাথমিক শিক্ষা পাবে।


আরও খবর

আবারও বন্ধ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র

শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩