Logo
শিরোনাম

শোকাবহ পিলখানা ট্র্যাজেডি দিবস আজ

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ১২৭জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আজ শোকাবহ পিলখানা ট্র্যাজেডি দিবস। আজ থেকে ঠিক ১৪ বছর আগে ২০০৯ সালের এই দিনে তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) (বর্তমান বিজিবি) সদর দপ্তর পিলখানায় বিপথগামী সৈনিকরা নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায়। ওই হত্যাকাণ্ডে প্রাণ হারান ৫৭ সেনা সদস্য ছাড়াও নারী-শিশুসহ ৭৪ জন। তাদের স্মরণে আজ শাহাদাতবার্ষিকী পালন করবে বিজিবি। এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সংস্থাটি।

এ ট্র্যাজেডির পর দীর্ঘ সময়ে হত্যা মামলাটি বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টে শেষ হয়েছে।  হাইকোর্টের রায়ে পিলখানায় হত্যার দায়ে অন্যতম পরিকল্পনাকারী ডিএডি তৌহিদসহ ১৩৯ জনকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ বহাল রেখেছে। একইসঙ্গে  ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন ও ১৯৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- প্রদান করেছেন হাইকোর্ট। এ রায়ের বিরুদ্ধে শীঘ্রই আপিল বিভাগে শুনানি হবে বলে জানা গেছে। তবে বিস্ফোরক আইনে হওয়া মামলা এখনো ঝুলছে। রাষ্ট্রপক্ষের এখনো সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। 

২০০৯ সালের এই দিনে তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস বা বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায় বিপথগামী  সৈনিকরা নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায়। ওই বছরের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিপথগামী কিছু বিডিআর সদস্য ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা ছাড়াও নারী ও শিশুসহ আরও ১৭ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। তাদের স্মরণে আজ শনিবার  শাহাদাতবার্ষিকী পালিত হবে।    বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)   জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম, পিবিজিএমএস স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে  জানিয়েছেন, শহীদ ব্যক্তিবর্গের রুহের মাগফিরাতের উদ্দেশ্যে পিলখানাস্থ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তরসহ সকল রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর ও ইউনিটের ব্যবস্থাপনায় খতমে কোরআন, বিজিবির সকল মসজিদ এবং বিওপি পর্যায়ে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর সকল স্থাপনায় বিজিবি রেজিমেন্টাল পতাকা অর্ধনমিত থাকবে এবং বিজিবির সকল সদস্য কালোব্যাজ পরিধান করবেন।

এ ছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় আজ সকাল ৯টায় বনানী সামরিক কবরস্থানে রাস্ট্রপতির প্রতিনিধি, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি, স্বরাস্ট্রমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধানগণ (সম্মিলিতভাবে), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ও বিজিবি মহাপরিচালক (একত্রে) এবং শহীদদের নিকটাত্মীয়গণ স্মৃতিস্তম্ভে  পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

এদিকে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা (অ্যাটর্নি জেনারেল ) এ এম আমিন উদ্দিন জানিয়েছেন, বহুল আলোচিত ও নৃশংসতম পিলখানা হত্যা মামলার সর্বোচ্চ আদালতে আপিল শুনানি চলতি বছরেই শুরু হতে পারে। আপিল বিভাগ যেদিন শুনানি শুরু করবে সেদিনই চূড়ান্ত শুনানি শুরু হবে। আমরা আদালতকে শুনানির আর্জি জানাতে পারব। চাঞ্চল্যকর মামলা হিসেবে অগ্রাধিকার  ভিত্তিতে এই শুনানি হতে পারে।

পিলখানায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যার ঘটনায় করা মামলা ১৩ বছর পরও সর্বোচ্চ আদালতে চূড়ান্ত শুনানির অপেক্ষায় আছে। দেশের ইতিহাসে নৃশংসতম এই হত্যাযজ্ঞে বিস্ফোরক আইনে করা অন্য মামলার বিচার এখনো বিচারিক আদালতেই শেষ হয়নি। আসামির সংখ্যার দিক থেকে দেশের ইতিহাসে বৃহত্তর পিলখানা হত্যা মামলা। নিয়মিত যে আপিল বিভাগ বেঞ্চ আছে সেখানেই এর বিচার হবে।

এরই মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দিয়েছেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম জনকন্ঠকে বলেছেন, আমরা সারসংক্ষেপ জমা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।  আমরা এক মাসের  মধ্যে সারসংক্ষেপ দিয়ে দেব।  এরপর আপিল শুনানির জন্য রেডি হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, হাইকোর্টে রায় হলেও নিম্ন আদালতে বিস্ফোরক দ্রব্যের মামলাটি ঝুলে রয়েছে। সেখানে ১২৬৪ সাক্ষীর মধ্যে ২৫৭ জনের সাক্ষী গ্রহণ করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ ও নৃশংস হত্যাকান্ডের এক মামলার বিচারের দুই ধাপ শেষ হয়েছে বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টে। রায় কার্যকর করতে হলে আপিল বিভাগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পর রিভিউ এবং রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে হবে। রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, শেষ ধাপটি চলতি বছরই হতে পারে। ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি হাইকোর্ট বিডিআর হত্যা  মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করে। রায়ে মৃত্যুদন্ডসহ ৫৫২ জনকে বিভিন্ন ধরনের দন্ড প্রদান করা হয়েছে।  মোট ২৯ হাজার ৫৯ পৃষ্ঠার রায়। ২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ নবেম্বর দুদিন ধরে এ রায়টি প্রদান করা হয়।

এর আগে ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি থেকে বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিশেষ (বৃহত্তর) বেঞ্চে ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শুরু হয়ে ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল ৩৭০ কার্যদিবসে শেষ হয়। বেঞ্চের অন্য দুই জন বিচারপতি হলেন বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি  মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআরের বিদ্রোহী জওয়ানরা নারকীয় তান্ডব চালায় পিলখানায়। ওই ঘটনায় দুটি ফৌজদারি মামলা করা হয়। একটি ছিল হত্যা মামলা আর অন্যটি বিস্ফোরক আইনের মামলা। হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। এতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেওয়া হয়। ২৭৮ জন খালাস পান। ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর এ মামলায় হাইকোর্টের আপিলের রায়ও হয়ে যায়।

অপরদিকে বিস্ফোরক মামলায় ৮৩৪ জন আসামি রয়েছে। হত্যা মামলার সঙ্গে এ মামলার  বিচার কাজ শুরু হয়েছিল ২০১০ সালে। কিন্তু মাঝ পথে শুধু হত্যা মামলার সাক্ষ্য উপস্থাপন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।   যে কারণে বিস্ফোরক মামলার কার্যক্রম ঝুলে রয়েছে।


আরও খবর

বায়ুদূষণে আজ সপ্তম ঢাকা

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




ইউক্রেন ইস্যুতে ভোট না দেওয়ার কারণ জানাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | ১০০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের রেজুলেশনে বাংলাদেশের ভোটদানে বিরত থাকার ব্যাখ্যা দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ব্যাখায় ঢাকা বলছে, প্রস্তাবে ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় টেকসই ও বাস্তবসম্মত পথরেখা না থাকায় ভোটদানে বিরত ছিল বাংলাদেশ। আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

ভোটের ব্যাখ্যায় মুখপাত্র বলেন, আমরা এই সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানাই। আমাদের অঙ্গীকারে প্রতিজ্ঞ যে জাতিসংঘ সনদের উদ্দেশ্য ও নীতি যেকোনো মূল্যে বহাল রাখা উচিত। এই বিষয়ে আমরা প্রস্তাবিত রেজুলেশনে ইউক্রেনে একটি ব্যাপক, ন্যায্য এবং স্থায়ী শান্তির প্রচারের জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব এবং সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানোর গুরুত্ব দেই।

সেহেলী সাবরীন বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, বর্তমান সংঘাতের যেকোনো অর্থবহ এবং টেকসই সমাধানের জন্য অবশ্যই সংঘাতে জড়িত পক্ষগুলোর মধ্যে নিবিড় কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা ও সংলাপ প্রয়োজন। আমাদের মতে এই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টটি রেজুলেশনে অনুপস্থিত ছিল। সে কারণে আমরা বিরত থাকতে বাধ্য ছিলাম।

মুখপাত্র বলেন, বঙ্গবন্ধুর সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং কারও প্রতি শত্রুতা  নয়-এ নীতি অনুযায়ী বাংলাদেশ একটি শান্তিকেন্দ্রিক পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে। সার্বভৌম সব রাষ্ট্রের আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধা, আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি এবং সম্মানের নীতির ওপর ভিত্তি করে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি জাতিসংঘের সনদে উল্লেখিত নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

সেহেলী সাবরীন বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি অবশ্যই সর্বজনীনভাবে সর্বত্র সবার জন্য, সব পরিস্থিতিতে কোনো ব্যতিক্রম ছাড়াই মেনে চলতে হবে। যদিও বর্তমান রেজুলেশনের চূড়ান্ত উদ্দেশ্য ইউক্রেনে একটি ব্যাপক, ন্যায্য এবং দীর্ঘস্থায়ী শান্তি খোঁজা।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব পাস হয়। প্রস্তাবে ভোটাভুটিতে বাংলাদেশ, চীন, ভারত, পাকিস্তানসহ ৩২টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল।

প্রস্তাবটিতে ভোটদানে বিরত থাকা আরও উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দেশ হলো শ্রীলঙ্কা, আলজেরিয়া, বলিভিয়া, ইরান, কিউবা, ইথিওপিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুদান, ভিয়েতনাম ও জিম্বাবুয়ে।

এদিকে, যুদ্ধ বন্ধ করে রাশিয়াকে ইউক্রেন ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আনীত রেজুলেশনে ভোটদানে বিরত থাকায় বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে মস্কো।


আরও খবর

বায়ুদূষণে আজ সপ্তম ঢাকা

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্প: মৃত্যু ৪৮ হাজার ছাড়াল

প্রকাশিত:বুধবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ৬০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৪৮ হাজার ছাড়িয়েছে। বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এখন পর্যন্ত ৪৮ হাজার ১২৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কের ৪২ হাজার ৩১০ এবং সিরিয়ায় ৫ হাজার ৮১৪ জন। তবে জাতিসংঘের ধারণা নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে।

এর আগে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভোরের দিকে সিরিয়া এবং তুরস্কে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর কিছুক্ষণ পর ফের ৬ দশমিক ৭ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প হয়। এরপর গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে ফের ৬ দশমিক ৪ এবং ৫ দশমিক ৮ মাত্রায় দুটি ভূমিকম্প আঘাত হানে।

টিআরটি ওয়ার্ল্ডের তথ্যমতে, গত ৬ ফেব্রুয়ারির পর তুরস্কে ৭ হাজার ২০০ এর বেশি আফটারশক রেকর্ড করা হয়েছে। ভূমিকম্পে লাখেরও বেশি ভবন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভূমিকম্পটিকে গত ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্যোগ বলে উল্লেখ্য করা হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ভূমিকম্পে ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য ১০০ কোটি ডলার সহায়তা চেয়েছে জাতিসংঘ।

উল্লেখ্য, ১৯৩৯ সালে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্কের পূর্ব এরজিনকান প্রদেশে ৩৩ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল।


আরও খবর

ট্রাম্প বললেন, ‘আই এম ব্যাক’

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের বৈঠক

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ৫৬জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও টনি ব্লেয়ার ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল চেঞ্জের নির্বাহী চেয়ারম্যান টনি ব্লেয়ার। শনিবার (৪ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এই প্রাতরাশ বৈঠক অনুষ্ঠিত।

বৈঠকে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তার ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম সম্পর্কে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।

প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, শেখ হাসিনা এবং টনি ব্লেয়ার উভয়েই বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক পর্যালোচনা করেন। শেখ হাসিনা ভবিষ্যৎ বিশ্বের নেতা এবং সরকারকে সক্ষম করে গড়ে তোলার জন্য টনি ব্লেয়ার ইনস্টিটিউটের মিশনের প্রশংসা করেন।

টনি ব্লেয়ার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তার সঙ্গে বৈঠকের কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তারা খেলাধুলা বিশেষ করে ক্রিকেট নিয়েও কথা বলেছেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের এখন বাংলাদেশ সফরের বিষয়টিও আলোচনায় আসে।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাউদ্দিন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন উপস্থিত ছিলেন। খবর বাসস।


আরও খবর

বায়ুদূষণে আজ সপ্তম ঢাকা

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ছে

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ৩৬জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আগের দুটি শর্তেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ছে। এ-সংক্রান্ত আবেদনে দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে মত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।

রোববার (১২ মার্চ) সচিবালয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

খালেদার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আগামী ২৪ মার্চ শেষ হবে। এ অবস্থায় কিছুদিন আগে খালেদার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো এবং চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়। এ নিয়ে নির্বাহী আদেশে সাতবারের মতো খালেদার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।

আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করেছেন। ফৌজদারি কার্যবিধির নিয়ম অনুযায়ী এ দরখাস্ত করতে হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে, এ দরখাস্ত তারা প্রথম থেকেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে করে আসছিলেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোন পদক্ষেপ নেওয়ার আগে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে থাকে।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার ষষ্ঠবারের মুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। সেজন্য তারা আবেদন করেছিলেন। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তাকে আগের মতো, আগের যে দুটো শর্ত ছিল, সেই দুটো শর্ত সাপেক্ষে আবারও মুক্তির মেয়াদ ছয় মাসের জন্য বৃদ্ধি করছি।

শর্ত দুটি তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, তিনি ঢাকাস্থ নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন। নিজ বাসা থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন মানে তিনি হাসপাতালে যেতে পারবেন না, তা নয়। তিনি হাসপাতালেও যেতে পারবেন।

আর তিনি (খালেদা জিয়া) এ সময়ে বিদেশে গমন করতে পারবেন না। এ দুই শর্ত সাপেক্ষে তার দণ্ডাদেশ আরও ছয় মাস স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে।

আনিসুল হক বলেন, আমরা মতামত দিয়েছি। আমাদের মতামতের ভিত্তিতেই গত কয়েকবার এটা (দণ্ড স্থগিত) কার্যকর করা হয়েছে। আশা করি, এ মতামতের ভিত্তিতেই এবারও সেটা কার্যকর হবে।

তিনি বাসায় থেকে রাজনীতি করতে পারবেন কি না- এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি একটা কথা বারবার বলেছি। দরখাস্তে যেটা বলা হচ্ছে, তিনি গুরুতর অসুস্থ। সেক্ষেত্রে রাজনীতি করার প্রশ্নটা তো অবান্তর। তিনি মুক্ত, তিনি অসুস্থ, তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। এখানে রাজনীতির কথাটা আসাটা আমরা মনে হয় প্রয়োজন নেই।

একজন অসুস্থ মানুষ কী করতে পারবেন, কী করতে পারবেন না আমি সেটা ডিকটেশন দিয়ে দেব না। কিন্তু এটা সবাই স্বীকার করছেন যে, তিনি অসুস্থ।

শর্তে নেই কিছুদিন ধরে তো এটা (রাজনীতি করা) নিয়ে আলোচনা হচ্ছে- এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আপনারা আইন পড়েন। আইনে কী আছে, আইনই বলে দিবে। আমার এখানে স্পষ্টীকরণের কিছু নেই। একটা বাস্তবতা আপনাদের মেনে নিতে হবে। মুক্তির আবেদনের মধ্যে যে কথাটা প্রথম থেকে রয়েছে- তা হলো তিনি অসুস্থ, গুরুতর অসুস্থ। সেই পরিপ্রেক্ষিতে রাজনীতি করার প্রশ্নটা তো অবান্তর।

আমরা আমাদের মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করবে। প্রয়োজন হলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সামারি পাঠাবেন বলেন তিনি।

সাতবারের মতো খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। এর মধ্যে কী রাজনীতি রয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, এর মধ্যে কোন রাজনীতি নেই। এটা সম্পূর্ণভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতা।

আজকে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশের রাষ্ট্রদূতরা বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বিএনপি তাদের বলেছেন, এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। ইইউ রাষ্ট্রদূতরা জানিয়েছেন, তারা আগামী নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন- এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, এর মধ্যে আমার কী বলার আছে। জনগণ যেটা চায়, সংবিধানের বাইরে আমরা যাবো না। এটাই হলো সারা বাংলাদেশের অবস্থান।

খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। অসুস্থতা বাড়লে মাঝে মাঝে তাকে হাপাতালে নিতে হচ্ছে।

দুটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া কারাবন্দি ছিলেন। নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত রয়েছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর খালেদাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। এরপর ৩০ অক্টোবর এই মামলায় আপিলে তার আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট।

একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন একই আদালত। রায়ে সাত বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারি শুরু হলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে সরকার শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়। এরপর পরিবারের আবেদনের দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ ছয়বার বাড়ানো হয়।


আরও খবর



‘রাশিয়ার তলবের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ ফেব্রুয়ারী 20২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | ৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা রুশ জাহাজ বাংলাদেশে ভিড়তে না দেওয়ায় মস্কোয় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসানকে রাশিয়ার তলবের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে ঢাকা। এ বিষয়ে ঢাকা বৃহস্পতিবার প্রতিক্রিয়া জানাবে।

বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মস্কোয় আমাদের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে রাশিয়ার যে বৈঠক হয়েছে, সে বিষয়ে আমরা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি। সেখানে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকও হয়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রেক্ষিতে যখন যেখানে যে ভোটিং ভেটিং দরকার ছিল, সেটা আমাদের নীতিগত অবস্থান থেকে আমরা সবসময় করেছি। এ নিয়ে জাতিসংঘে আরও একটি রেজ্যুলুশনও আসছে।

শাহরিয়ার আলম আরও বলেন, তবে গতকালের (রাশিয়ায় বৈঠক) বৈঠকের বিষয়ে আমরা আগামীকাল প্রতিক্রিয়া জানাবো।

বৈঠকের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, বঙ্গোপসাগরে জাহাজ ইস্যু ছাড়াও আরও বেশ কিছু ইস্যুতে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। রাশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে বিশ্লেষণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।

গত মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশে নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা রুশ জাহাজ ভিড়তে না দেওয়ায় মস্কোয় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসানকে তলব করে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ রাশিয়ার পণ্যবাহী জাহাজ দেশটির বন্দরে ভিড়তে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে বিষয়ে মস্কোর বাংলাদেশ কূটনৈতিক মিশনের প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। বাংলাদেশের এই পদক্ষেপ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ঐতিহ্যগত বন্ধুত্বপূর্ণ চরিত্রের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এই পদক্ষেপ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের সহযোগিতার সম্ভাবনার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘ ও পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ৬৯টি জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এসব জাহাজ অভ্যন্তরীণ বন্দরে প্রবেশ করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। এ প্রেক্ষিতে মস্কোয় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে রাশিয়া।


আরও খবর

বায়ুদূষণে আজ সপ্তম ঢাকা

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩