Logo
শিরোনাম

সৌদিকে কেন ছাড় দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | ৭৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

মাত্র মাস তিনেক আগে গত অক্টোবরেও সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত দৃঢ়। হঠাৎ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনের সময়ে রাশিয়ার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে তেলের উৎপাদন কমিয়ে দেয় সৌদি আরব, যা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির জন্য ছিল বড় ধরনের ধাক্কা। তার আগে জুলাইতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন জেদ্দায় গিয়ে তেলের উৎপাদন বাড়ানোর অনুরোধ করলেও ক্ষমতাধর সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান পাত্তা দেননি।

এর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সৌদি আরবকে হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, সৌদিকে এর জন্য অনির্দিষ্ট পরিণাম ভোগ করতে হবে। সম্পর্কের চরম অবনতির পর দুই দেশের কর্মকর্তারা একে অপরকে ছোটখাটো অপমানও করেন। তবে এ ঘটনার তিন মাস পরও সৌদি আরবের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা দেখা যাচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্রকে। শাস্তিহীন রয়ে গেছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।  সৌদি আরবের বিরুদ্ধে কী ধরনের প্রতিশোধ নেওয়া হবে সে বিষয়ে বিশেষভাবে নীরব ছিলেন বাইডেন। সৌদি আরবের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের প্রস্তাবিত পদক্ষেপের বিষয়েও নীরব থেকেছেন বাইডেন। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা চলতি জানুয়ারির শুরুতে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেছিলেন, সৌদি আরবের ওপর থেকে হুমকি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে গালফ স্টেট অ্যানালিটিক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জর্জিও ক্যাফিয়েরো বিজনেস ইনসাইডার সাময়িকীকে বলেছেন, সৌদিকে পরিণতি ভোগ করতে হবে- হোয়াইট হাউসের এমন হুমকি ম্লান হয়ে গেছে। এর একটি মূল কারণ, সৌদি আরব সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ার কারণে তেলের দাম যে হারে বেড়ে যাবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল, সেটা ঘটেনি। চীনে বোভিড প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশটির অর্থনীতি শ্লথ হয়ে পড়ায় তেলের চাহিদা কমেছে। ফলে তেলের দাম আশঙ্কা অনুযায়ী বাড়েনি। 

ক্যাফিয়েরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরব উভয়ই অভিন্ন স্বার্থের দিকে মনোনিবেশ করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ হলো ইরানের হুমকি। ইরানের নিজস্ব ওয়ারহেড (ক্ষেপণাস্ত্রের বিস্ফোরকমুখ) তৈরির ক্ষমতা সীমিত করার জন্য ২০১২ সালের পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য বাইডেন প্রশাসন যে প্রচেষ্টা চালিয়েছে, দেশটি তা প্রত্যাখ্যান করেছে। এই ইসলামিক প্রজাতন্ত্র (ইরান) রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক জোরদার করেছে। রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহ করেছে যা যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ইউক্রেনের বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলায় ব্যবহৃত হয়েছে। ইয়েমেনে ইরানের হয়ে (প্রক্সি) যুদ্ধ চালাচ্ছে হুথিরা। দীর্ঘ এবং ব্যয়বহুল এই সংঘাতে সৌদি আরব-সমর্থিত বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে হুথিরা। হিজাব নিয়ে ইরানে চলমান দাঙ্গা ইয়েমেনের সংঘাতকে বাড়িয়ে তুলতে পারে বলেও যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের কর্মকর্তাদের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে।

ক্যাফিয়েরো বলেন, ইরানের পরিস্থিতি এখানে প্রাসঙ্গিক কারণ যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব উভয়েরই উদ্বেগ রয়েছে যে তেহরান তার অভ্যন্তরীণ অস্থিরতাকে এমনভাবে আঞ্চলিক করার চেষ্টা করছে যা আশেপাশের দেশগুলোতে আঘাত করতে পারে। সৌদি আরবে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান- গত গত নভেম্বরে এমন একটি খবর প্রকাশ হলে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমানগুলো মহড়া দেয়, যা ইরানের আগ্রাসন প্রতিরোধে সহায়তা করার একটি পদক্ষেপ। পাশাপাশি সৌদি আরবকে বৃহত্তর নিরাপত্তা সহায়তা দেওয়া অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত বছর সৌদি আরবের কাছে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি অনুমোদন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের কর্মকর্তারা বিজনেস ইনসাইডারকে বলেছেন, তারা একসঙ্গে তেহরানকে প্রতিহত করতে সংবেদনশীল গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান এবং সামরিক প্রকল্পে সহযোগিতা করছে। ইরানকে নিয়ে যৌথ পারস্পরিক স্বার্থ থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মধ্যে উত্তেজনা রয়েই গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে রিয়াদ। গত ডিসেম্বরের শুরুতে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সাত বছর পর সৌদি আরব সফরে গেলে তাকে নিয়ে আরব বিশ্বের নেতাদের মধ্যে যে মাত্রার যে আগ্রহ-উচ্ছ্বাস দেখা গেছে তার নজির বিরল। সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং কাতারসহ উপসাগরীয় সহযোগিতা জোট জিসিসির সব দেশের নেতারা প্রেসিডেন্ট শির সঙ্গে বৈঠকের জন্য রিয়াদে আসেন। হাজির হন মিশর, তিউনিসিয়া, লেবানন, ইরাক এবং সুদানের শীর্ষ নেতারাও। ওই সফরে দুই দেশের মধ্যে (চীন ও সৌদি আরব) নানা ক্ষেত্রে তিন হাজার কোটি ডলার মূল্যের ৩৪টি চুক্তি ও সমঝোতা চুক্তি হয়।

প্রেসিডেন্ট শির ওই সফর এবং তাকে নিয়ে সৌদি আরবসহ আরব নেতাদের এই মাতামাতি যুক্তরাষ্ট্রের যে একবারেই পছন্দ হয়নি তাতে সন্দেহ নেই। কারণ জ্বালানি সম্পদে সমৃদ্ধ উপসাগরীয় আরব অঞ্চলকে আমেরিকা বহুদিন ধরে তাদের প্রভাব বলয়ের অন্যতম মূল কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করে এবং যে দেশের নেতাকে নিয়ে সেখানে এত উদ্দীপনা, সেই চীন বর্তমান বিশ্বে আমেরিকার এক নম্বর কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী।

অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, বেশ কিছুদিন ধরেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে, বিশেষ করে সৌদি আরব বা ইউএইর মধ্যে, নিরাপত্তা, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্কের জন্য আমেরিকার ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর তাগিদ দেখা যাচ্ছে।  চীনের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং সৌদির অভ্যন্তরীণভাবে নির্মমভাবে ভিন্নমতকে যেভাবে দমন করছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান, তা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যাপক ফাটল সৃষ্টি করতে পারে। তবে আপাতত দেশ দুটি অভিন্ন স্বার্থকে প্রাধান্য দিচ্ছে এবং অভিন্ন স্বার্থের জন্য সৌদি আরবকে ছাড় দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এই অভিন্ন স্বার্থের জন্য যুক্তরাষ্ট্র আর কত ছাড় দেবে- সেটাই দেখার বিষয়।


আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩




জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬১০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর