খাবার আমাদের
শরীরে শক্তি উৎপাদনে সহায়তা করে। সঠিক ও সুষম খাবার গ্রহণের ফলে সুস্থ থাকা যায়। খাবারের
তারতম্যের কারণে অনেক সময় শরীর নির্জীব হয়ে যায়।
দিনের মধ্যে কখনও
কখনও শক্তি কম-বেশি মনে হওয়াটা স্বাভাবিক বিষয়।
আর এটি মূলত হয়ে থাকে আপনার খাবারের প্রভাবের কারণেই। এ ছাড়া আরও কয়েকটি কারণে এটি হতে পারে। যেমন— ঘুম, কাজকর্মের
মাত্রা, চাপের মাত্রা ইত্যাদি।
খাবার যেমন আপনার
শরীরে শক্তি জোগাতে সহায়তা করে, তেমনি কিছু খাবার রয়েছে; যেগুলো আপনার শক্তি কমিয়ে
ফেলার কারণ হিসেবেও কাজ করে। জানুন এমন কয়েকটি খাবার সম্পর্কে যেগুলো আপনার শরীরের
সঞ্জীবনী শক্তি কমিয়ে দেয়।
১. প্রক্রিয়াজাত
শস্য
আমরা সবাই জানি
যে, শস্যে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেড থাকে, যা আমাদের শরীরে শক্তির উৎস হিসেবে
কাজ করে। কিন্তু প্রক্রিয়াজাত শস্যের কিছু খাবার যেমন, সাদা পাউরুটি, সাদা পাস্তা এবং
সাদা ভাত এগুলো আপনার শক্তির মাত্রাকে বৃদ্ধি করার চেয়ে কমাতে পারে বেশি।
এগুলো খাবার প্রক্রিয়াজাত
করার সময়ে শস্যের বাইরের ব্রন নামের একটি স্তরকে সরিয়ে ফেলা হয়। তখন এ খাবারগুলো শক্তি
উৎপাদনের চেয়ে শক্তি হ্রসে বেশি কার্যকরী হয়ে ওঠে। তাই এ খাবারগুলো এড়িয়ে প্রক্রিয়াজাত
ছাড়া খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন।
২. সকালের নাস্তায়
চিনিযুক্ত খাবার
চিনিযুক্ত যে
কোনো খাবারই আমাদের জন্য ক্ষতিকর। আর এটি যদি হয় সকালের নাস্তায়, তবে সেটি আপনার শক্তির
পরিমাণ কমিয়ে ফেলতে পারে অনেকটাই। খুব কম পরিমাণে ফাইবার থাকে এমন খাবারের সঙ্গেও যদি
আপনি চিনিযুক্ত করেন, তাও সেটি উপকারের চেয়ে ক্ষতি করতে পারে বেশি। তাই শক্তির মাত্রা
ঠিক রাখতে হলে সকালের নাস্তায় চিনি যুক্ত করা এড়াতে হবে।
৩. কফি
পরিমিত পরিমাণে
কফি পান করলে সেটি আমাদের ওপরে ইতিবাচকভাবে শারীরিক ও মানসকি প্রভাব ফেলতে পারে। এ
ছাড়া এটি ডায়বেটিসসহ বেশ কয়েকটি রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। তবে বেশি পরিমাণে কফি
খেলে এতে থাকা ক্যাফেইন আপনার ঘুমের ওপরে প্রভাব ফেলতে পারে। আর এর ফলে এটি আপনার শরীরে
শক্তির মাত্রা কমিযে ফেলতে পারে।
৪. ফ্রাইস ও ফাস্টফুড
বর্তমান সময়ের
অতিজনপ্রিয় খাবারের তালিকায় ফ্রাইস ও ফাস্টফুডগুলো প্রথমে দিকেই থাকে। আর মজার বিষয়
হচ্ছে— এগুলো যারা খান তারা বিভিন্ন ক্ষতি জেনেই
খেয়ে থাকেন। তবে এসব খাবারের অন্যতম একটি ক্ষতিকারক দিক হচ্ছে, এগুলো আপনার শরীরের
শক্তির মাত্রা কমিয়ে ফেলতে পারে।
৫. এনার্জি ড্রিংকস
এ নামটি শুনেই
মনে হতে পারে অনেকের যে, এটি শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এসব ড্রিংকস সাময়িকভাবে
আপনার শক্তি বাড়িয়ে তুললেও পরে শক্তি হ্রাস করে ফেলে। বেশ কয়েকটি গবেষণায় মিলেছে যে,
এনার্জি ড্রিংকস ঘুমের সময়কাল এবং গুণগতমান কমিয়ে ফেলতে পারে। ফলে শরীরে শক্তি উৎপাদনের
মাত্রা কমে যেতে পারে। তাই এসব পানীয় পরিহার করাই ভালো।
৬. কম ক্যালোরিযুক্ত
খাবার
অনেকে মনে করেন যে, কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যকর। এগুলো এলেও স্বাস্থ্যকর। তবে এ ধরনের খাবার আপনার সারাদিনের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যলোরি শরীরকে প্রদান করতে পারে না। ফলে আপনার শরীরের শক্তির মাত্রা মারাত্মকভাবে কমে যেতে পারে।