Logo
শিরোনাম

শরীয়তপুরে আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে শতাধিক বোমা বিস্ফোরণ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | ১৪১৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

শরীয়তপুর সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় শতাধিক বোমা বিস্ফোরণ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

বুধবার সকালে উপজেলার চিতলীয়া বাজারে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবদুস সালাম হাওলাদার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হারুন-অর রশীদ হাওলাদারের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

উভয়পক্ষ মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন পালং মডেল থানার ওসি মো. আক্তার হোসেন। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

জেলা পরিষদের সদস্য সাখাওয়াত হোসেন হাওলাদার জানান, গত সোমবার রাতে সদর উপজেলার মজুমদারকান্দি এলাকার চিতলীয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবদুস সালাম হাওলাদারের সমর্থক লিটন বেপারি, আউয়াল সরদার, সৈয়াদ সরদার আংগারিয়া বাজারে যাচ্ছিলেন।

পথে চিতলীয়া বাজারের কাছে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হারুন-অর রশীদ হাওলাদারের সমর্থক জাহাঙ্গীর হাওলাদার রফিক মৃধাসহ ১০-১২ জন মিলে তাদের গতিরোধ করেন। এর পর তাদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। একপর্যায়ে তাদের বেদম মারধর করে আহত করেন।

এর জের ধরে মঙ্গলবার রাতভর দেশীয় অস্ত্রসহ বোমার মজুদ করে বলে অভিযোগ রয়েছে।

বুধবার সকালে দুপক্ষের সমর্থকরা চিতলীয়া বাজারে মুখোমুখি অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় একে ওপরের ওপর বোমার বিস্ফোরণ ঘটাতে থাকে। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলে। শরীয়তপুর পালং মডেল থানার পুলিশ, ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে; বাকিদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে চিতলীয়া বাজারে ছয়টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও একটি স্থানীয় আওয়ামী লীগের ক্লাবঘর ভাঙচুর করা হয়। এ সময় সন্ত্রাসীরা প্রায় শতাধিক বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে পুরো ইউনিয়নে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

বোমা হামলায় আহত আবু গনি চৌকিদার বলেন, সকালে চিতলীয়া বাজারে চা-নাস্তা করতে যাই। এ সময় আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার ডান কাধে এসে বোমা লাগে। এতে আমার পিঠের কিছু অংশ ও কানের কিছু অংশ পুড়ে যায়। কোনোমতে আমি প্রাণে রক্ষা পাই।

চিতলীয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের সভাপতি আহত কাওসার হাওলাদার বলেন, জীবনে অনেক মারামারি দেখেছি। এ রকম বৃষ্টির মতো বোমার বিস্ফোরণ দেখিনি।

এ ব্যাপারে সালাম হাওলাদারের সমর্থক মানিক হাওলাদারকে একাধিকবার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

শরীয়তপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হারুন-অর রশীদ হাওলাদার বলেন, চিতলীয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান সালাস হাওলাদারের সমর্থক মানিক হাওলাদারের নির্দেশে আমাদের ক্লাবে ও বাজারে হামলা করা হয়। এতে আমাদের ২৫-৩০ কর্মী-সমর্থক আহত হন। এর পর বাজারের ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগের লোকজন মিলে সন্ত্রাসীদের গণপিটুনি দিয়ে বাজার থেকে তাড়িয়ে দেয়।

জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বর্তমার চেয়ারম্যান আবদুস সালাম হাওলাদার বলেন, আমার ৩ সমর্থককে হারুর হাওলাদারের সমর্থকরা কুপিয়ে পিটিয়ে মারান্তকভাবে আহত করে। বুধবার সকালে মানিক হাওলাদার ও সাত্তার হাওলাদার চিতলীয়া বাজারে গেলে তাদেরও লাঞ্ছিত করে হারুর হাওলাদারের সমর্থকরা। এ নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে আমার ২০-২৫ জন আহত হয়।

পালং মডেল থানা ওসি মো. আক্তার হোসেন বলেন, মঙ্গলবার চিতলীয়ার একটি ছোট ঘটনা কেন্দ্র করে বুধবার সকালে বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হারুর-অর রশীদ হাওলাদারের সমর্থকদের সংঘর্ষ বাধে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখনো কোনো পক্ষ মামলা করতে আসেনি।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৯০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর